Just In
- 2 hrs ago
খেলতে খেলতে চোট লেগেছে? এই পদ্ধতি প্রয়োগে নিমেষেই কমবে ব্যথা!
- 6 hrs ago
বুধ প্রবেশ করতে চলেছে কুম্ভ রাশিতে, জানুন এটি ১২টি রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে
- 9 hrs ago
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান? রান্নাঘরের এই মশলাগুলো যোগ করুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়!
- 14 hrs ago
আজকের রাশিফল : ২০ জানুয়ারি ২০২১
Don't Miss
গুরু নানক জয়ন্তী ২০২০ : জানুন এই উৎসবের ইতিহাস ও তাৎপর্য
গুরুপর্ব, যা প্রকাশ পর্ব নামেও পরিচিত, এইদিনে গোটা শিখ সম্প্রদায় তাঁদের গুরু-কে স্মরণ করে। শিখ সম্প্রদায়ের প্রথম গুরু, গুরু নানক দেবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর গুরুপর্ব উদযাপিত হচ্ছে। এটি 'গুরু নানক জয়ন্তী' নামে পরিচিত। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি শিখ ধর্মের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তাই, তাঁর ভক্তরা যুগ যুগ ধরে এই দিনটি অত্যন্ত ভালবাসা এবং উৎসাহের সহিত উদযাপন করে। তাঁর জন্মদিন চন্দ্র ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভর করে প্রতিবছর পরিবর্তিত হয়। এইবছর ৫৫১তম গুরু নানক প্রকাশ পর্ব উদযাপিত হচ্ছে।
শিখ সম্প্রদায়ের ১০ জন গুরু রয়েছে এবং প্রত্যেকেরই নিজস্ব গুরু পর্ব রয়েছে। কিন্তু, শিখ ধর্মের প্রবক্তা এবং এই ধর্মের প্রথম গুরু হলেন গুরু নানক। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে তাঁর জন্মোৎসব পালিত হয়। আসুন আমরা এই উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিভাবে জানি।
ইতিহাস
১৪৬৯ সালে কার্তিক পূর্ণিমাতে গুরু নানক দেব রায়-ভোয়-কি তালবন্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা তৎকালীন দিল্লির সুলতানির একটি প্রদেশ ছিল। বর্তমানে, এই জায়গাটি পাকিস্তানে নানকান সাহেব নামে পরিচিত। তাঁর পিতা কল্যাণ চাঁদ দাস বেদী পরিচিত ছিলেন কল্যাণ দাস মেহতা এবং মাতা ছিলেন তৃপ্তি দেবী।
তিনি ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তিনি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন, বলতেন হিন্দু বা মুসলমান বলে কিছু নেই। তাঁর মতানুসারে, স্মরণ করার মাধ্যমেই ঈশ্বরের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায় , যে কোনও নামেই ঈশ্বরের উপাসনা করা যায়। পঞ্চদশ শতাব্দীতে তিনি শিখ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন।
গুরু নানক দেবের বাণীগুলি শিখ ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ 'গুরু গ্রন্থ সাহেব' নামক বইতে সংরক্ষিত আছে। তাঁর শিক্ষায় বিভিন্ন নীতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ধার্মিকতা, পবিত্রতা এবং নিঃস্বার্থ সেবার গুণাবলী ভিত্তিক। গুরু গ্রন্থ সাহেবেও এক ঈশ্বরের নামে বিশ্বাস ও ধ্যানের পাঠ রয়েছে।
১৪৯৬ সালে তিনি তাঁর পরিবার ত্যাগ করে তাঁর শিক্ষা প্রচারের জন্য আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি বহু স্থানে ভ্রমণ করে মানুষের মধ্যে এক ঈশ্বরের মতবাদ প্রচলন করেন। তিনি সমতা, ভ্রাতৃত্ব ও সদাচরণের ওপর নির্ভর করে একটি অনন্য ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলন করতে সক্ষম হন।
শিখ ধর্মে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, পরবর্তী শিখ গুরুদের গুরুপদ লাভের সময় তাদের মধ্যে গুরু নানকের ঐশ্বরিক ক্ষমতা, ধর্মীয় কর্তৃত্ব ও পবিত্রতা প্রবাহিত হয়ে থাকে।
তাৎপর্য
শিখ সম্প্রদায়ের কাছে এই উৎসবটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং তাই তারা গুরুপর্বের ১৫ দিন আগে প্রতি ভোরে প্রভাত ফেরি-র আয়োজন করে। এছাড়াও, গুরুপর্ব উদযাপনের একদিন আগে নগরকীর্তনের আয়োজন করা হয়।
এই দিনে শিখ ধর্মাবলম্বীরা গুরু নানক দেবের শিক্ষা অনুসরণ করে শপথ নেয়। গুরু নানক দেব অনুসারে শিখ ধর্মের তিনটি মূলনীতি হল, নাম জাপানা (সারাক্ষণ ঈশ্বরের স্মরণ করা), কিরত কর্ণ (নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা), ভন্ড ছকনা (আপনার যা কিছু আছে তা সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়া)।
গুরুপর্বের দিন, ভোর ৪-টের সময় প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে দিন শুরু হয়। এই সময়টি 'অমৃত ভেলা' নামেও পরিচিত। এরপর, আবৃত্তি এবং কীর্তন (শিখ রীতি অনুসারে স্তব) হয়।
তারপর, গুরুদ্বার প্রাঙ্গনে ল্যাঙ্গারের আয়োজন করা হয় যা শিখ ঐতিহ্য অনুসারে এক ধরনের কমিউনিটি রান্নাঘর। ল্যাঙ্গার আয়োজনের মূলমন্ত্র হল ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলকে খাওয়ানো। এটি নিঃস্বার্থভাবে করা হয়।