Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 12 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 16 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 17 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
Good Friday : কেন পালন করা হয় গুড ফ্রাইডে? জেনে নিন এর ইতিহাস ও তাৎপর্য
প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে খ্রীষ্টধর্মের মানুষরা ইস্টারের আগের শুক্রবারে গুড ফ্রাইডে পালন করে। এই দিনটি প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশারোহণ-কে চিহ্নিত করে। খ্রীষ্টধর্মের মানুষরা এইদিনটিতে উপবাস এবং ব্রত পালন করেন। এই দিনটি খ্রিস্টানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই বছর ১৫ এপ্রিল গুড ফ্রাইডে পালিত হবে। এই উৎসবের অন্য নাম হোলি ফ্রাইডে, অনেকে দিনটিকে ব্ল্যাক ফ্রাইডেও বলে থাকেন। তাহলে চলুন জেনে নিই গুড ফ্রাইডে সম্পর্কে কিছু তথ্য -
গুড ফ্রাইডের ইতিহাস
গুড ফ্রাইডে বলতে সেই দিনের কথা উল্লেখ করা হয়, যেদিন যীশুর অন্যতম শিষ্য জুডাস ইসকারিয়ত যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার পর যীশুখ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল।
চারিদিকে যখন পাপ ও অত্যাচারে ভরে উঠেছিল, তখন যীশু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তিনি মানবতা ও শান্তির বার্তা দিতে শুরু করেন। তখন ইহুদি ধর্মীয় নেতারা যীশুর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তারা তৎকালীন রোমান গভর্নর পীলাত-কে বলেছিলেন যীশুকে সাজা দিতে। পীলাত ইহুদি সমাজপতিদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী যীশুর বিচার ও শাস্তিদানের অনুমতি দিলেন। যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রভু যীশুর শিষ্য জুডাস ইসকারিয়তের সহায়তায় মন্দিরের রক্ষীদল গেৎশিমানি উদ্যানে যীশুকে গ্রেপ্তার করে। যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার পুরস্কার স্বরূপ জুডাস-কে ৩০টি রৌপ্যমুদ্রা দেওয়া হয়েছিল। জুডাস রক্ষীদলকে বলে রেখেছিলেন যে তিনি যাঁকে চুম্বন করবেন তিনিই হবেন যীশু। সেইমতোই জুডাস গিয়ে যীশুখ্রিষ্টকে হালকা চুম্বন করে তাঁকে ধরিয়ে দেয়।
কথিত আছে যে, যখন যীশুকে নির্যাতন করা হচ্ছিল, তখন তিনি প্রার্থনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, "হে ঈশ্বর ওদের ক্ষমা করুন, কারণ ওরা জানে না যে ওরা কী করছে।"
যীশু ছয় ঘণ্টা ক্রুশে যন্ত্রণাভোগ করার পর হঠাৎই সমগ্র অঞ্চলটি অন্ধকারে ঢেকে যায়। যীশু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভূমিকম্প হয়, সমাধিপ্রস্তরগুলি ভেঙে যায় এবং প্রধান মন্দিরের পর্দা ছিঁড়ে যায়। যিনি ক্রুশবিদ্ধকরণের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি চিৎকার করে বলে ওঠেন, "ইনি সত্যই ঈশ্বরপুত্র ছিলেন।"
আরও পড়ুন : গুড ফ্রাইডে : গুড ফ্রাইডের দিনে এই কাজগুলি করুন
বিশ্বাস করা হয় যে, প্রভু যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিনটি শুক্রবার ছিল। প্রভু নিঃস্বার্থভাবে মানবতার জন্য তাঁর জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন, তাই একে গুড ফ্রাইডে বলা হয়। তবে খ্রীস্টান ধর্মগ্রন্থ অনুসারে তাঁর মৃত্যুর তৃতীয় দিনে প্রভু যীশু জীবিত হয়ে উঠেছিলেন এবং সেদিনটি ছিল রবিবার। এই দিনটিকে ইস্টার সানডে বলা হয়।
গুড ফ্রাইডে-এর তাৎপর্য
ক) ভক্তরা এই দিনটিকে যীশুখ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধকরণ ও মৃত্যুর দিন হিসেবে পালন করেন।
খ) খ্রীস্টানরা এই দিনে উপবাস করে এবং সক্রিয়ভাবে সামাজিক সেবায় অংশ নেয়। এইদিন তারা তাদের পবিত্র জায়গা চার্চ বা গীর্জা-তে যায়।
গ) পুরোহিতরা এই দিনটিতে কালো পরিধান করে এবং প্রয়োজনীয় রীতিগুলি পালন করে।
ঘ) প্রভু যীশুখ্রীষ্টের শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই দিন ভক্তরা মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলেন।
ঙ) অনেকে প্রভু যীশুখ্রীস্টের মৃত্যুর স্মরণে মোমবাতি জ্বালান না।
চ) এই দিনে বিশ্বব্যাপী খ্রীস্টান গীর্জাগুলিতে সামাজিক কাজের জন্য অনুদান দেওয়া হয়।
ছ) গুড ফ্রাইডের দিন খ্রীষ্টধর্মের অনুগামীরা প্রভু যীশুর ত্যাগ ও বলিদানের কথা স্মরণ করতে গীর্জায় যান। তারা যীশুখ্রীষ্টের প্রতীক ক্রসকে চুম্বন করে এবং ধন্যবাদ জানায়।