Just In
- 8 hrs ago
Weekly Horoscope : কেমন কাটবে এই সপ্তাহটি? জেনে নিন
- 11 hrs ago
Ajker Rashifal : কেমন কাটবে আজকের দিন? পড়ুন ২২ মে-র রাশিফল
- 22 hrs ago
Mango Parota Recipe : এই গরমে স্বাদ বদল করতে চেখে দেখুন আমের পরোটা, দেখে নিন রেসিপি
- 23 hrs ago
কুকুর, বিড়ালের সঙ্গই পারে আপনার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে! জেনে নিন বাড়িতে পোষ্য রাখার উপকারিতা
Gita Jayanti 2021: এই দিনেই শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার উপদেশ দিয়েছিলেন, জানুন গীতা জয়ন্তীর তিথি ও গুরুত্ব
হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয় শ্রীমদ ভগবদগীতা-কে। গীতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানব জীবনের সম্পূর্ণ সারমর্ম। বিশ্বাস করা হয় যে, মহাভারতের যুদ্ধের সময় মোক্ষদা একাদশীর দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে গীতার উপদেশ দিয়েছিলেন। তাই এই তারিখে গীতা জয়ন্তীও পালিত হয়। গীতা জয়ন্তীর দিনে গীতা পাঠ করা বা শ্রবণ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। মোক্ষদা একাদশীও এই দিনে পড়ার কারণে ব্রত রাখার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। এই দিনে ভগবান কৃষ্ণের উপাসনা করা খুব ফলদায়ক হতে পারে।
গীতায় ১৮টি অধ্যায় রয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তির জীবনের সারমর্ম বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, গীতার সাহায্যে একজন ব্যক্তি তাঁর অবস্থা এবং দিক উভয়ই পরিবর্তন করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ২০২১ সালে গীতা জয়ন্তী কোন দিনে পড়েছে এবং ব্রত বিধি।

গীতা জয়ন্তীর তারিখ
এবছর গীতা জয়ন্তী পড়েছে ১৪ ডিসেম্বর, মোক্ষদা একাদশীর দিন। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি শুরু হবে ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৩২ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে। গীতায় মোহের ক্ষয় হওয়া অর্থাৎ শেষ হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাই এই দিনে পড়া একাদশীকে মোক্ষদা বলা হয়। ১৪ ডিসেম্বর গোটা দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করতে পারেন।

গীতা জয়ন্তীর তাৎপর্য
মানব জীবনের সারমর্ম গীতায় রয়েছে। একজন ব্যক্তির জীবনে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয় তার বিশদ ব্যাখ্যা গীতায় পাওয়া যায়। এতে পার্থিব, ব্যবহারিক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও সামাজিক আচার-আচরণ সম্পর্কিত উপদেশ রয়েছে। নিয়মিত গীতা পাঠ করলে একজন ব্যক্তি তার জীবন সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন এবং সঠিক দিক নির্দেশনা মিলবে।

পূজা ও ব্রত বিধি
গীতা জয়ন্তীর দিনে মোক্ষদা একাদশীও পড়েছে। এর একদিন আগে আমীষ জাতীয় খাবার ত্যাগ করুন। ১৪ তারিখ ভোরে ঘুম থেকে উঠে গঙ্গাজল যুক্ত জলে স্নান করুন এবং "ওঁ গঙ্গে" মন্ত্রটি উচ্চারণ করুন। এরপর পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করে হলুদ ফল, ফুল, ধূপ-দীপ ইত্যাদি দিয়ে ভগবান বিষ্ণু ও শ্রীকৃষ্ণের পূজা করুন। এরপর শ্রীমদ্ভাগবত গীতার পূজা করে পাঠ করুন। শেষে আরতি করে সকালের পূজা সম্পন্ন করুন। সারাদিন ব্রত পালন করুন এবং সন্ধ্যায় আরতির পর ফলাহার করুন।