Just In
Don't Miss
Festivals in April 2022 : এপ্রিলেই বাসন্তী পূজা ও পয়লা বৈশাখ, আর কোন কোন উৎসব উদযাপিত হবে? দেখে নিন
২০২২ সালের এপ্রিল মাস শুরু হয়েছে অমাবস্যা তিথি দিয়ে এবং শেষও হবে অমাবস্যা দিয়ে। ব্রত এবং উৎসবের দিক দিয়ে এই মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকেও এ বছরের এপ্রিল মাসটি খুবই বিশেষ। পয়লা বৈশাখ, বাসন্তী পূজা, রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তীর মতো উৎসব উদযাপিত হতে চলেছে এই মাসে। তাছাড়া, মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসও এপ্রিলেই শুরু হবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই উৎসবগুলি ছাড়াও এপ্রিলে আর কোন কোন উৎসব উদযাপিত হতে চলেছে।
০২ এপ্রিল - চৈত্র নবরাত্রি শুরু
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে চৈত্র নবরাত্রি শুরু হয়। ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এবার ০২ এপ্রিল থেকে চৈত্র নবরাত্রি শুরু হচ্ছে। এই দিনেই ঘটস্থাপন করা হবে। নবরাত্রি চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
০২ এপ্রিল - রমজান মাস সূচনা (রোজা শুরু)
এ বছর ২ এপ্রিল থেকে ভারতে 'রমজান' মাস শুরু হতে পারে। সেইমতো তার পরদিন অর্থাৎ ৩ এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। রমজান মাস শেষ হবে ২ মে। তবে চাঁদ দেখার উপরই নির্ভর করছে রমজানের দিনক্ষণ।
০৮ এপ্রিল - বাসন্তী পূজা
চৈত্র মাসের দুর্গা পুজো বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত। পুরাণ অনুযায়ী, চন্দ্র বংশীয় রাজা সুরথ বসন্ত কালে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন, যা বাসন্তী পুজো নামে প্রসিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গে জাঁকজমক করে এই পুজো করা হয়। ২০২২ সালে ০৮ এপ্রিল বাসন্তী পুজো উদযাপিত হবে।
০৯ এপ্রিল - অন্নপূর্ণা পূজা
চৈত্র মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে দেবী অন্নপূর্ণার পূজা করা হয়। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্নপূর্ণার পূজা করলে গৃহে অন্নাভাব থাকে না। নিষ্ঠাভরে দেবীর আরাধনায় সংসার হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ। এ বছর ০৯ এপ্রিল অন্নপূর্ণা পূজা পড়েছে।
১০ এপ্রিল - রাম নবমী
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই বছর ১০ এপ্রিল রামনবমী উদযাপিত হবে। এ দিন অযোধ্যায় চৈত্র রাম মেলার আয়োজন করা হয়।
১২ এপ্রিল - কামদা একাদশী
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীকে কামদা একাদশী বলা হয়। কথিত আছে, এই ব্রত পালন করলে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। বিষ্ণু পুরাণে বলা হয়েছে, এই ব্রত করলে হাজার বছরের তপস্যার সমান ফল পাওয়া যায়।
১৩ এপ্রিল - নীল পূজা
বাঙালিদের একটি বিশেষ উৎসব নীল পূজা এবং চড়ক। বাঙ্গালী গৃহিণীরা সন্তানের মঙ্গল কামনায় নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করেন। সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক উৎসবের আগের দিন নীল পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই সময় শিবের পূজা করা হয়। নীল পূজা বা নীলষষ্ঠীতে শিব-দুর্গার বিয়ে দেওয়ার রীতিও পালিত হয়। নীলষষ্ঠীর পরদিন চড়ক অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসব মূলত পশ্চিম বাংলার গ্রামাঞ্চলে উদযাপিত হয়।
১৪ এপ্রিল - মহাবীর জয়ন্তী
জৈন ধর্মের তীর্থঙ্কর মহাবীর-এর জন্মবার্ষিকী এই বছর ১৪ এপ্রিল উদযাপিত হবে। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবীর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
১৫ এপ্রিল - পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ
পয়লা বৈশাখের মাধ্যমেই বাংলা নতুন বছর শুরু হয়। প্রত্যেক বাঙালীর কাছে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি মহাধুমধাম করে পালিত হয়।
১৫ এপ্রিল - গুড ফ্রাইডে
গুড ফ্রাইডেকে হলি ফ্রাইডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে বা গ্রেট ফ্রাইডেও বলা হয়। খ্রিস্ট ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি বিশেষ দিন। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনেই যীশু খ্রিস্টকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল। ১৫ এপ্রিল গুড ফ্রাইডের পরে, ১৭ এপ্রিল ইস্টার উদযাপিত হবে। কথিত আছে, ইস্টারের দিনেই যীশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান হয়েছিল।
১৬ এপ্রিল - হনুমান জয়ন্তী
এবার হনুমান জয়ন্তী পালিত হবে ১৬ এপ্রিল। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই এই দিনে হনুমান জয়ন্তী পালিত হয়।
২৬ এপ্রিল - বরুথিনী একাদশী
বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে বরুথিনী একাদশী বলা হয়। এই দিনে পূর্ণ ভক্তি সহকারে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে তাঁর আশীর্বাদ মেলে এবং সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।