Just In
- 9 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 13 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 15 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 17 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
Eid al-Adha 2022 : এ বছর কবে উদযাপিত হবে বকরি ঈদ? জেনে নিন এই উৎসবের তাৎপর্য
ঈদ-উল-আজহা বা বকরি ঈদ, মুসলিম ধর্মের অন্যতম পবিত্র উৎসব। এটি ত্যাগ ও বলিদানের উৎসব। ইসলামে এই উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব আছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হল ঈদ-উল-ফিতর, অন্যটি হল ঈদ-উল-আজহা। সাধারণত, ঈদ-উল-ফিতরের ৭০ দিন পরে কোরবানি ঈদ বা বকরি ঈদ উদযাপন করা হয়। এই দিন সকালে নামাজ পড়ার পড়ে মুসলমানরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, ২০২১ সালে বকরি ঈদ কবে এবং এই উৎসবের তাৎপর্য।
কেন বকরি ঈদ উদযাপন করা হয়?
ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, হজরত ইব্রাহিম আল্লাহর স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী নিজের ছেলেকে ঈশ্বরের কাছে কোরবানি বা উৎসর্গ করতে গিয়েছিলেন। তখন স্বয়ং আল্লাহ তাঁকে দেখা দিয়ে একটি ভেড়া তাঁর হাতে তুলে দেন এবং বলেন যে, ছেলের বদলে এই ভেড়াটাকে কোরবানি হিসেবে উৎসর্গ করতে। তারপর থেকেই এই উৎসবের আগে থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ভেড়া, ছাগল, উট কিনে তাকে যত্ন সহকারে পালন করে বকরি ঈদের দিনে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করেন।
এই দিনে মানুষ হজরত ইব্রাহিমের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, যিনি সত্যের জন্য নিজের সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন। ইসলাম মতে, ত্যাগের অন্যতম প্রতীক এই কোরবানির ঈদ।
২০২২ সালে বকরি ঈদ কবে?
বকরি ঈদ প্রথমে সৌদি আরবে উদযাপিত হয় এবং পরের দিন এটি ভারতে উদযাপিত হয়। এবার ভারতে ঈদ-উল-আজহা অর্থাৎ বকরি ঈদ ১০ জুলাই, রবিবার উদযাপিত হবে।
বকরি ঈদ পালনের নিয়ম
এই উৎসবে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রথমে মসজিদে নামাজ পড়েন। তারপরে ছাগল বা ভেড়া কোরবানি দেওয়া হয়, যা তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রথম অংশটি দরিদ্রদের দানের জন্য নেওয়া হয়। দ্বিতীয় অংশটি আত্মীয়-বন্ধুদের জন্য, তৃতীয় এবং শেষ অংশটি পরিবারের সদস্যদের জন্য রাখা হয়। আরবি 'বকরা' শব্দের অর্থ গাভী বা গরু। আর এই কারণে, গরুকে বলি দেওয়ার মধ্যে দিয়েও পালন করা হয় বকরি ঈদ।
কেন পালন করা হয় বকরি ঈদ? জেনে নিন এই উৎসবের কাহিনী
এই দিনে মুসলিমরা ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলে এই পবিত্র উৎসবে একত্রিত হয়ে ওঠেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব প্রত্যেকেই ঈদের আনন্দে মেতে ওঠে। এই উৎসবের রীতি অনুযায়ী এলাকার দরিদ্র ও দুঃস্থদের জামাকাপড়, খাবার ইত্যাদি দান করা হয়।