Just In
Vastu Tips : বাস্তু দোষ কাটাতে মেনে চলুন এই ৫ টিপস, বাড়িতে আসবে ইতিবাচক শক্তি!
বাস্তু শাস্ত্রের নিয়মগুলি আমাদের জীবন থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করায়। বাস্তু অনুসারে, প্রতিটি দিক বা অভিমুখেই কোনও না কোনও দেবতার প্রভাব থাকে। তাই কোনও অভিমুখে কোনও ত্রুটি হলে বা ভুল জিনিস রাখলে সেই দিকের অধিপতি ক্রুদ্ধ হন এবং বাস্তু দোষের উদ্ভব হয়। বাস্তু দোষের কারণে জীবনে নানান সমস্যা ও রোগভোগ দেখা দিতে থাকে।
আজ এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের বাস্তু দোষ দূর করার কিছু উপায় জানাব। এগুলি মেনে চললে কেবল আপনার ঘরে সুখ-সমৃদ্ধিই আসবে না, পাশাপাশি বাস্তু দোষেরও অবসান হবে।
প্রথম উপায়
যদি আপনার বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকে, তবে তা দূর করার জন্য বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে একটি মাটির কলসে জল ভরে রাখুন। এতে আপনার ঘর থেকে শীঘ্রই বাস্তু দোষ দূর হবে। এছাড়াও, ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে ঘর মোছার সময় জলে লবণ বা ফটকিরি মেশান।
দ্বিতীয় উপায়
যেসব বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো আসে, সেখানে নেতিবাচক শক্তি বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না। বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিককে বলা হয় বায়ু কোণ এবং এই দিকে বায়ু দেবতা অধিষ্ঠিত থাকেন। তাই এই দিকে পর্যাপ্ত আলো আসলে বাস্তু দোষ দূর হতে পারে। এছাড়া, এই দিকে ভুলেও ভাঙা বা অকেজো জিনিস রাখা উচিত নয়।
তৃতীয় উপায়
হিন্দু ধর্মে স্বস্তিক চিহ্নকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, বাড়িতে স্বস্তিক চিহ্ন থাকলে নেতিবাচক শক্তি বাস করতে পারে না। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করলে বাস্তু দোষ দূর হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এই জিনিসগুলি একেবারেই দেখবেন না, সারাদিন খারাপ কাটবে!
চতুর্থ উপায়
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির মূল দরজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এই পথ দিয়েই বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে। তাই বাড়ির মূল দরজা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। যদি আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে বাড়ির প্রধান দরজায় রাতে একটি পাত্রে জল এবং নুন ভরে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দূরে কোথাও তা ফেলে দিন। এটি করলে আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে।
পঞ্চম উপায়
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিককে নৈঋত্য কোণ বলা হয়। সন্ধ্যায় এই নৈঋত্য কোণে প্রদীপ জ্বালালে বাড়ির বাস্তু দোষ দূর হয়।