Just In
Durga Puja 2023: কেন করা হয় কুমারী পুজো? জানুন এর কারণ এবং তাৎপর্য
দুর্গা পুজোর আরেকটি অন্যতম অঙ্গ হল কুমারী পূজা। সাধারণত অষ্টমী বা নবমী তিথিতে বহু জায়গায় সাড়ম্বরে কুমারী পুজো হয়ে থাকে। কুমারী পুজোকে নিয়ে আজও আমাদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। কেন করা হয় কুমারী পুজো, সেই প্রশ্ন কিন্তু মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়।
১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে প্রথম কুমারী পূজা শুরু করেন। সেই থেকেই প্রতিবছর বেলুড়ে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর প্রথা চলে আসছে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক দুর্গাপুজোয় কেন করা হয় কুমারী পুজো।
কেন করা হয় কুমারী পুজো?
সেকালে মুনি ঋষিরা প্রকৃতিকে নারীর সমান মনে করতেন। তাই কুমারী পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পূজা করতেন তাঁরা। কারণ, তাঁরা মনে করতেন মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বর। বিশেষ করে যাদের মন সৎ, যারা নিষ্পাপ তাদের মধ্যেই ভগবানের প্রকট সবথেকে বেশি। এই গুণ কেবলমাত্র কুমারীদের মধ্যে থাকতে পারে, এই ভেবে তাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়।
দেবী পুরাণেও কুমারী পূজার উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত ঋতুমতী না হওয়া বালিকাদের কুমারী রূপে পূজা করা হয়। নতুন বস্ত্র, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে সিঁদুরের টিপ ও তিলক পরিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় কুমারীদের। বয়সভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। তবে কুমারী পূজার জন্য সাধারণত পাঁচ থেকে সাত বছরের কন্যাকে মনোনীত করা হয়।
শাস্ত্রানুযায়ী, কোলাসুর-কে বধ করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় কুমারী পুজোর। গল্পে বর্ণিত রয়েছে যে, কোলাসুর যখন স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করেন, তখন কোলাসুর-এর থেকে মুক্তি পেতে দেবতাগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবতাগণের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারীরূপে কোলাসুর-কে বধ করেন। এর থেকে মর্ত্যে কুমারীপুজোর প্রচলন শুরু হয়।
শত্রুদের ধ্বংস, সকল কর্মের শুভ ফল পেতেও এই পুজো হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মে, সম্মানের দিক থেকে নারীকে শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো হয়েছে। তাই শাস্ত্রকাররা নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে এই পুজো করার কথা বলেছেন।
কুমারী পুজোয় বয়সভেদে কী কী নাম হয়?
১ বছর - সন্ধ্যা
২ বছর- সরস্বতী
৩ বছর - ত্রিধা
৪ বছর - কালিকা
৫ বছর - সুভগা
৬ বয়স - উমা
৭ বছর - মালিনী
৮ বছর - কুব্জিকা
৯ বছর - কালসন্দর্ভা
১০ বছর - অপরাজিতা
১১ বছর -রুদ্রাণী
১২ বছর - ভৈরবী
১৩ বছর - মহালক্ষী
১৪ বছর - পীঠনায়িকা
১৫ বছর - ক্ষেত্রজ্ঞা
১৬ বছর - অম্বিকা
Disclaimer: এই আর্টিকেলটি ইন্টারনেটে উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত। এর সত্যতার দাবি করে না বোল্ডস্কাই বাংলা।