For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

জন্মকুষ্টিতে থাকা সব গ্রহ দোষ কেটে যাক এমনটা চান নাকি? তাহলে এই লেখাটা পড়তেই হবে!

শাস্ত্র মতে মা দুর্গার শরীরের এক একটি অংশ, সঙ্গে সিংহ এবং তাঁর ছেলে-মেয়ারাও এক একটি গ্রহের প্রতীক।

|

শরতের মিঠে রোগ গায়ে মেখে, কাশফুল বন পেরিয়ে মায়ের আগমণ হল বলে! এত দিনে নানা লেখা, নানা প্রবন্ধ, এমনকি বেশ কিছু টক শোয়ের দৌলতেও নিশ্চয় আপনারা জেনে গেছেন যে নানা দিক থেকে দুর্গা পুজোর মাহাত্ম কতটা। শুধু তাই নয়, নবরাত্রির এই বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণে দেবীর আরাধনা করলে কী কী উপকার মিলতে পারে, তাও নিশ্চয় আর বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু একটা বিষয়ে হয়তো অনেকই জানেন না যে আমাদের জন্মকুষ্টিতে উপস্থিত নটি গ্রহ এবং নক্ষত্রের সঙ্গে মায়ের এক গভীর যোগ রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু দুর্গা মন্ত্র পাঠ করা মাত্র সেই সব দোষ কেটে যেতেও সময় লাগে না!

জ্যোতিষ শাস্ত্রের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারবেন। আমাদের প্রত্যেকের জন্মকুষ্টিতেই কোনও না কোনও গ্রহ বেজায় দুর্বল, নয়তো বক্রভাবে অবস্থান করার কারণে এ জীবনকালে নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। কখনও মঙ্গল দোষের কারণে বৈবাহিত জীবনে নানা ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তো কখনও শুক্র গ্রহের প্রভাবে পারিবারিক সুখ-শান্তি দূরে পালায়। এদিকে বৃহস্পতি গ্রহ দুর্বল হয়ে পরলে তো বারে বারে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতেও সময় লাগে না। আর শনি গ্রহের প্রভাব পরলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে সাড়ে সাত বছর ধরে এত ঝামেলা সইতে হয় যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

এখন প্রশ্ন হল নানাবিধ গ্রহ দোষের সঙ্গে দুর্গা মায়ের সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? শাস্ত্র মতে মা দুর্গার শরীরের এক একটি অংশ, সঙ্গে সিংহ এবং তাঁর ছেলে-মেয়েরাও এক একটি গ্রহের প্রতীক। যেমন মায়ের সোনালী শরীর সূর্য দেবতার প্রতীক। আর সাদা সিংহ চাঁদের স্বরূপ। শুধু তাই নয়, সিংহের খোলা মুখ রাহুর প্রতীক এবং লেজ কেতুর। তবে এখানেই শেষ নয়, মা দুর্গার ছেলে কার্তিক যেখানে মঙ্গল গ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করে থাক, সেখানে বুধ গ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করেন মায়ের আরেক পুত্র গণপতি। অন্যদিকে মা লক্ষ্মী হলেন বৃহস্পতির প্রতীক, আর সরস্বতী দেবী শুক্র গ্রহের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর মা দুর্গার হাতে থাকা নাগ, শনি গ্রহের কুপ্রভাবকে কমাতে নানাভাবে সাহায্য করে। তাই তো বলি বন্ধু, এবার পুজোয় বাড়ির ঠাকুর ঘরে দেবীকে প্রতিষ্টিত করে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে প্রতিদিন পুজো করুন। দেখবেন গ্রহ দোষ তো কাটবেই, সেই সঙ্গে মায়ের আশীর্বাদে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগবে না।

প্রসঙ্গত, গ্রহ দোষ কাটাতে যে যে নিয়মগুলি মেনে দেবীর অরাধনা করতে হবে, সেগুলি হল...

১. এই বিশেষ মন্ত্রটি পাঠ করা মাস্ট:

১. এই বিশেষ মন্ত্রটি পাঠ করা মাস্ট:

"ওম হ্রিম দাম দুর্গায়ে নমহ", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে করতে মায়ের অরাধনা করলে যে কোনও ধরনের গ্রহ দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। আর যদি মন্ত্রটি নিয়মিত ৮০০০ বার পাঠ করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে মা দুর্গার লকেট পরলেও নানা গ্রহের নানা খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।

২. দুর্গা মূর্তি:

২. দুর্গা মূর্তি:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সোনার দুর্গা মূর্তি গঙ্গা নদীতে চুবিয়ে বাড়িতে প্রতিষ্টা করলে বৃহস্পতি এবং বুধ গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মায়ের আশীর্বাদে এই দুই গ্রহ এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে অর্থৈতিক উন্নতি ঘটে চোখের পলকে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চটজলদি পদন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়।

৩. রূপোর দুর্গা মূর্তি:

৩. রূপোর দুর্গা মূর্তি:

শাস্ত্র মতে নিয়মিত রূপোর তৈরি দুর্গা মূর্তির আরাধনা করলে চাঁদের খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি বুধের কু প্রভাব কেটে যেতেও সময় লাগে না। আর যদি তামা বা মাটির তৈরি দুর্গা মূর্তির আরাধনা করতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। কারণ সেক্ষেত্রে মঙ্গল দোষ কেটে যায়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে লোহার তৈরি মায়ের মূর্তির পুজো করলে রাহু এবং কেতুর দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না।

৪. লাল কাপড় সঙ্গে সিঁদুর:

৪. লাল কাপড় সঙ্গে সিঁদুর:

তন্ত্র বিদ্যা মতে নিয়মিত লাল কাপড় এবং সিঁদুর নিবেদন করে যদি দেবীর পুজো করা যায়, তাহলে নাকি সূর্য দেব এবং মঙ্গল গ্রহের খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, মঙ্গলের প্রভাবে বৈবাহিক জীবনে নানা ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও কমে।

৫. চাঁদ এবং শুক্রের খারাপ প্রভাব কমাতে:

৫. চাঁদ এবং শুক্রের খারাপ প্রভাব কমাতে:

এক্ষেত্রে মায়ের পুজো করার সময় তাঁর সারা শরীরে ভাল করে চন্দন লেপে যে কোনও দেবী মন্ত্র জপ করতে হবে, তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

৬. কালো কাপড়:

৬. কালো কাপড়:

জন্ম কুষ্টিতে কি শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার যোগ রয়েছে? তাহলে বন্ধু এবার পুজোর সময় নিয়মিত কালো কাপড় নিবেদন করে মায়ের অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! কারণ তন্ত্র মতে এমনটা করলে একদিকে যেমন শনি গ্রহের কুপ্রভাব পরার আশঙ্কা কমে, তেমনি রাহুর দোষ কেটে যেতেও সময় লাগে না।

৭. ব্রাহ্মণ ভোজ:

৭. ব্রাহ্মণ ভোজ:

এমন বিশ্বাস রয়েছে যে মা দুর্গার আরাধনা করার পর ব্রাহ্মণদের পাত পেরে খাওয়ালে শুক্র এবং বুধের খারাপ প্রভাব কমে যেতে শুরু করে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে পারিবারিক জীবনে সুখ-শান্তিও বজায় থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, আপানার কুষ্টিতে যদি এই দুই গ্রহ বক্রভাবে অবস্থান করে থাকে, তাহলে ব্রহ্মণ ভোজের আয়োজন করতে দেরি করবেন না যেন!

Read more about: ধর্ম
English summary

Durga Puja 2018: Goddess Durga and Nine Planets!

The main idol of Durga is golden yellow in colour and represents the planet sun who gives spiritual energy. The white lion, the vehicle of Goddess is the Moon. Sun rays falls on Moon and nourishes the vegetable and animal kingdom.The open mouth of lion is north node Rahu and the tail of lion is Ketu. Lord Ganapati represents Buddhi and Siddhi is the planet ‘Mercury’. Lord Kumar is the planet Mars who is known as the commander of Divine Army. Goddess Laxmi is Jupiter who gives wealth and prestige. Goddess Saraswati is the planet venus who gives music and fine arts. The Serpent bitting Buffalo is Saturn the latest poison.
Story first published: Saturday, October 13, 2018, 11:46 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion