Just In
- 12 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 13 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 15 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 19 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
প্রতিদিন পুজো করার সময় এই নিয়মগুলি মেনে চলেন তো? না হলে কিন্তু...!
হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে দেবের আরাধনা করার সময় যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে না চলেন, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রকোপ বেড়ে যায়।
কথায় বলে সারা দিন ধরে দেবের কথা মনে মনে ভাবলে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। কথাটা যে বেজায় ভুল, এমন নয় কিন্তু! তবে যেটা চিন্তার বিষয়, তা হল সিংহভাগই এই কাজটি করেন না, উল্টে সকাল সকাল স্নান সেরে অফিস বেরনোর আগে কোনও মতে নম নম করে সারেন পুজো। শুধু তাই নয়, নিত্য পুজো করার সময় যে যে নিয়ম মেনে চলা উচিত, তাও মানেন না। ফলে ভাল হওয়ার থেকে খারাপ হয় বেশি।
আসলে হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে দেবের আরাধনা করার সময় যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে না চলেন, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রকোপ এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো বলি এমনটা যাতে আপনার সঙ্গে ঘটুক, যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
এই লেখায় আসলে সেই সব নিয়ম সস্পর্কে আলোচনা করা হল, যা পুজো করার অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত...
১. ফুলের দিকে নজর দিতে হবে:
নিয়মিত পুজো করার সময় অল্প পরিমাণে হলেও দেবের সামনে ফুল নিবেদন করবেন! কারণ দেব-দেবীরা ফুল খুব পছন্দ করেন। তাই তো যদি চান আপনার মনের সব ইচ্ছা চটজলদি পূরণ হক, তাহলে যে দেবের যে ফুল পছন্দ, তাঁকে সেই ফুলসহ পুজো করুন, দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে নাতে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল ভুলেও শুকিয়ে যাওয়া ফুল নিবেদন করবেন না। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শুকনো ফুল পরিবেশন করলে ঠাকুর ঘরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলে যে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
২. তুলসি পাতা:
শাস্ত্র মতে পুজো করার সময় তুলসি পাতা নিবেদন করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এই পাতাটি ঠাকুর ঘরের পরিবেশকে শুদ্ধ করে। ফলে পজেটিভ শক্তির ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আর এমনটা হলে জীবন পথে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি মনের সব ইচ্ছাও পূরণ হয় চোখের পলকে। প্রসঙ্গত, বাড়িতে তুলসি গাছ রাখলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তুলসি পাতার ঘ্রাণ শরীরে প্রবেশ করার কারণে নানাবিধ রোগ-ভোগের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৩. প্রদীপ জ্বালাতে ভুলবেন না যেন:
প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ঠাকুর ঘরে প্রদীপ জ্বালাবেন। এমনটা করলে আলোকিত হয়ে উঠবে দেবালয়, সেই সঙ্গে দেখবেন আপনার জীবনের অন্ধকারও কেটে যাবে। আর এমনটা হলে সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে জীবন। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কী বিষয়? ঠাকুরের আসনের দু কোনে একটা করে প্রদীপ জ্বালাবেন। আর খেয়াল রাখবেন প্রতিদিন প্রদীপের পলতে বদলাতে ভুলবেন না যেন! কারণ পোলতের কোনও দিক কালো হয়ে গেলে, সেই প্রাদীপ জ্বালানো উচিত নয়। এক্ষেত্রে আরেকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। তা হল আপনি যদি বিবাহিত হন, তাহলে দুটো করে পোলতে জ্বালানো উচিত। কারণ এমনটা করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। ফলে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে।
৪. নিয়মিত ঠাকুরের ছবি পরিষ্কার করতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিত্য পুজো করার সময় যদি ঠাকুরের মূর্তি এবং ছবিকে পরিষ্কার করা যায়, তাহলে ঠাকুর ঘরের পরিবেশ পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে। ফলে দেবের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আর আপনার গৃহস্থে দেবের ক্ষমতা বাড়লে আপনারও যে উন্নতি ঘটে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! প্রসঙ্গত, একটা পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে দেবের ছবি পরিষ্কার করার পাশাপাশি ঠাকুর ঘর ভাল করে মুছে নিতেও ভুলবেন না যেন!
৫. মন্ত্র শক্তি:
পুজো করার সময় ঠাকুরকে প্রসাদ নিবেদনের পর প্রদীপ জ্বালিয়ে যে ভগবানকে মানেন, তার মন্ত্র জপ করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মনের সব ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে।
৬. ধূপের মহিমা:
রোজের পুজো করার পর ঠাকুর ঘরে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে দিতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে ঠাকুর ঘরের পরিবেশ শুদ্ধ হয়ে উঠবে। ফলে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বাড়বে যে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।
৭. গায়েত্রী মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে নিত্য পুজো করার সময় যদি নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র জপ করা যায়, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনা যায় বাড়ে। এক কথায় এ জীবনে সুখে-শান্তিতে থাকতে যা যা কিছুর প্রয়োজন পরে, তা সব কিছুই পাওয়া যায়, যদি নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র জপ করা যায় তো!