Just In
Don't Miss
বাড়িতে শিব ঠাকুরের মূর্তি এনে রাখার সময় এই নিয়মগুলি না মানলে কিন্তু ভীষণ বিপদ!
দেবাদিদেব শিব হলেন সর্বশক্তির আধার। তিনি যেমন সৃষ্টিকর্তা, তেমনি ধ্বংসের প্রতীকও বটে। তাই তো ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে বাড়়ির ঠাকুর ঘরে শিব ঠাকুরের মূর্তি না রাখলে কিন্তু উপকারের থেকে, অপকার হবে।
দেবাদিদেব শিব হলেন সর্বশক্তির আধার। তিনি যেমন সৃষ্টিকর্তা, তেমনি ধ্বংসের প্রতীকও বটে। তাই তো ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে বাড়়ির ঠাকুর ঘরে শিব ঠাকুরের মূর্তি না রাখলে কিন্তু উপকারের থেকে, অপকার হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। আসলে শাস্ত্র মতে শিব ঠাকুরের বেশ কিছু অবতার হল সৃষ্টির পরিপন্থী। তাই তো ভুল করে যদি এই সব অবতারের ছবি বা মূর্তি বাড়িতে এনে রাখা হয়, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে মারাত্মক বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, খারাপ শক্তিকে দূরে রাখতে, চরম অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে, কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভ করতে এবং পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখতে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে শিব ঠাকুরের আরাধনা শুরু করুন। দেখবেন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগবে না।
এখন প্রশ্ন হল বাড়িতে শিব ঠাকুরের ছবি এনে রাখার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১. বাড়ির ঈশান কোন:
শাস্ত্র মতে বাড়ির উত্তর দিকে বা ঈশান কোনে শিব ঠাকুরের ছবি রাখা উচিত। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নির্দিষ্ট দিকে দেবের ছবি রাখলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক শুভ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল শিব ঠাকুরের ছবি ভুলেও মাটিতে বা মাটিতে কোনও কাপড় পেতে প্রতিষ্টিত করা চলবে না। বরং একটা টেবিলের উপরে অথবা ঠাকুরের আসনে দেবের ছবি রাখতে হবে। তাহলেই কিন্তু উপকার মিলবে, না হলে...
২. অফিসে শিব ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি রাখা চলবে না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অফিস ডেস্কে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখলে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। কিন্তু ভুলেও শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখা চলবে না। কারণ শাস্ত্র মতে শিব ঠাকুরের অন্দরে প্রচুর মাত্রায় শক্তি মজুত থাকে। তাই তো অফিসে দেবের ছবি রাখলে উপকারের থেকে অপকার হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো বন্ধু, অফিসে নাম-ডাক হোক, এমনটা যদি চান, তাহলে যে, যা কিছুই বলুক না কেন, অফিস ডেস্কে ভুলেও শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখা চলবে না কিন্তু!
৩. শিব লিঙ্গ:
অনেকেই বাড়ির ঠাকুর ঘরে শিব লিঙ্গ প্রতিষ্টিত করে থাকেন। কিন্তু এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কেন এমন উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে শাস্ত্র মতে শিব লিঙ্গ হল শক্তির আধার। তাই তো ঠিক ঠিক নিয়ম মনে শিব লিঙ্গের আরাধনা করা উচিত। আর যদি এমনটা করা সম্ভব না হয়, তাহলে শিব লিঙ্গ ঠান্ডা হওয়ার পরিবর্তে তার অন্দরে মজুত শক্তি সারা গৃহস্থে ছড়িয়ে পরতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, আজকের দিনে সবাই এত ব্যস্ত যে মনোযোগ সহকারে শিব লিঙ্গের পুজো করার মধ্যে দিয়ে তাঁকে ঠান্ডা করা মোটেও সম্ভব নয়। তাই তো বাড়িতে শিব লিঙ্গ রাখতে মানা করা হয়। এখন প্রশ্ন হল, যারা ইতিমধ্যেই বাড়িতে শিব লিঙ্গ এনে প্রতিষ্টিত করেছেন, তারা কী করবেন? সেক্ষেত্রে বাড়িতে রাখা শিব লিঙ্গটি কোনও মন্দিরে গিয়ে দান করে দিন। না হলে...!
৪. আসনে বসা শিব নাকি তান্ডব নৃত্য করছেন দেবাদিদেবের মূর্তি:
এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব বুঝেশুনে। কারণ বাড়িতে ধ্যানরত শিব ঠাকুরের মূর্তি এনে রাখলে সব দিক থেকে উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সারা পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। আর যদি নৃত্য করছে, এমন ছবি বা মূর্তি এনে রাখেন, তাহলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। ফলে শারীরিক এবং মানসিক শক্তি চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কেউ যদি এমনিতেই এনার্জিটিক হন, তাহলে ভুলেও এমন মূর্তি এনে রাখা উচিত নয়। কারণ সেক্ষেত্রে এনার্জির সংঘাতে উপকারের থেকে অপকার হওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তাই তো শরীরিকভাবে দুর্বল যারা, তাদেরই কেবলমাত্র নৃত্য করছেন এমন শিব ঠাকুরের ছবি এনে রাখা উচিত।
৫. একের অধিক নয়:
শাস্ত্র মতে বাড়ির ঠাকুর ঘরে একাধিক শিব ঠাকুরের ছবি রাখলে মারাত্মক বিপদ ঘটে যেতে পারে কিন্তু! কারণ এক্ষেত্রে এক স্থানে শক্তির মাত্রা বাড়িতে শুরু করে। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে ভাল কিছুও মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে হওয়া উচিত নয়। তাই তো পরিবারে শুভ শক্তির পরিমাণও মাত্রা ছাড়ালে বিপদ! তাই ভুলেও বাড়িতে একটার বেশি শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখতে ভুলবেন না যেন!
বাড়িতে রাখা শিবের মূর্তি পুজো করতে হবে কীভাবে?
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে একবার যদি শিব ঠাকুরকে প্রসন্ন করতে পারেন, তাহলে কিন্তু দেখবেন উপকার পেতে সময় লাগবে না। তাই তো বলি বন্ধু দেবকে প্রসন্ন করতে এই নিয়মগুলি মেনে শিবের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল- প্রতিদিন সকালে উঠে স্নান সেরে এক মনে "ওম নম শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করতে করতে করতে শুরু করতে হবে দেবের অরাধনা। এরপর দেবের সামনে ধূপ বা প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রসাদ নিবেদন করতে হবে। অল্প করে চন্দন নিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে দেবের শরীরে। এরপর ঠান্ডা দুধে, বেল পাতা ফেলে দেবকে স্নান করাতে হবে। আর সবশেষে শিব ঠাকুরের মূর্তি বা ছবিকে মুছে নিয়ে নিজের মনের কথা দেবকে জানাতে হবে। এইভাবে প্রতিদিন দেবের আরাধনা করলে দেখবেন মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল, শিব ঠাকুরের পুজো করার আগে গণেশ দেবের পুজো করতে হবে। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে দেখবেন আরও বেশি মাত্রায় এবং দ্রুত উপকার পাবেন।