Just In
- 41 min ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 2 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 2 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 16 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
Don't Miss
দেবোত্থান একাদশী : এই দিনেই ভগবান বিষ্ণু নিদ্রা থেকে জাগ্রত হবেন এবং শুরু হবে মাঙ্গলিক কার্য
হিন্দুধর্মে একাদশী তিথির গুরুত্ব অনেক বেশি। সমস্ত একাদশীর মধ্যে দেবোত্থান একাদশী বা প্রবোধিনী একাদশীর বিশেষ গুরুত্ব আছে। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর দিন দেবোত্থান একাদশী পালিত হয়। এই দিনটি চতুর্মাসের সমাপ্তিও চিহ্নিত করে।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দেবশয়নী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণু পাতাললোকে নিদ্রা যান এবং প্রায় চার মাস পর ভগবান বিষ্ণু দেবোত্থান বা দেব-প্রবোধিনী একাদশীর দিন নিদ্রা থেকে জাগ্রত হন। হিন্দু নিয়ম-নীতি অনুযায়ী, দেবশয়নী একাদশী থেকে শুরু করে দেব-প্রবোধিনী একাদশী পর্যন্ত সময়কালকে চতুর্মাস বলা হয়। এই সময়ে, বিবাহ, গৃহ প্রবেশ, নতুন যানবাহন বা বাড়ি কেনাকাটা এবং মুণ্ডণের মতো কোনও শুভ কাজ করা যায় না। দেবোত্থান একাদশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণু নিদ্রা থেকে জাগ্রত হন এবং পুনরায় মাঙ্গলিক কার্য শুরু হয়।
২০২০ সালে দেবোত্থান একাদশীর তারিখ
দেবোত্থান একাদশী তিথি - ২৫ নভেম্বর, বুধবার
একাদশী তিথি শুরু হবে - ২৫ নভেম্বর, রাত ০২টা ৪২ মিনিটে
একাদশীর তিথি সমাপ্ত - ২৬ নভেম্বর, সকাল ০৫টা ১০ মিনিটে
তুলসী বিবাহ
দেবোত্থান একাদশীতে তুলসী বিবাহের রীতি আছে। হিন্দুধর্মে একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচিত হয় তুলসী। এইদিন, তুলসী গাছের সঙ্গে ভগবান বিষ্ণু বা তাঁর অবতার শ্রীকৃষ্ণ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, তুলসী হলেন বিষ্ণুর পত্নী। তাই এইদিন তুলসীর সঙ্গে বিষ্ণুর আনুষ্ঠানিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি তুলসী বিবাহ নামে পরিচিত।
দেবোত্থান একাদশীর পৌরাণিক কাহিনী
একবার দেবী লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুকে বললেন, ''হে ঈশ্বর! আপনার অনিশ্চিত ঘুম এবং জাগ্রত হওয়ার সময় গোটা বিশ্বকে চিন্তায় ফেলে দেয়। কখনও কখনও আপনি বছরের পর বছর ঘুমিয়ে থাকেন এবং কখনও কখনও আপনি দিন-রাত জেগে থাকেন। এই কারণে পৃথিবীর সমস্ত কিছুই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি আমার বিশ্রামে বাধা দেয় এবং আমি বিশ্রামের জন্য কোনও সময় পাই না। অতএব, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে আপনার সময়মতো ঘুমোনো উচিত।''
ভগবান বিষ্ণু হেসে দেবীকে বললেন যে, এখন থেকে আমি চার মাসের জন্য ঘুমোবো। বিশ্বাস করা হয়, যে ভক্ত ভগবান বিষ্ণুর জাগরণ এবং ঘুমের সময় অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত তাঁর পূজা করেন, সে ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করেন।