Just In
- 3 hrs ago কেন ভারতীয়দের মধ্যে ওবেসিটির হার বাড়ছে, কী তথ্য উঠে এল গবেষণা থেকে, জানুন
- 5 hrs ago কবে পড়েছে ফাল্গুন পূর্ণিমা, আর্থিক সঙ্কট কেটে সুখের মুখ দেখবেন কোন রাশির ব্যক্তিরা?
- 24 hrs ago চাকরি থেকে ব্যবসায় সফলতা পেতে চাইছেন, হোলিকা দহনের দিন করুন এই প্রতিকারগুলি
- 1 day ago শনিদেবের কৃপা পান কারা, অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে পটু এই রাশির ব্যক্তিরা
Charak Puja : চৈত্র সংক্রান্তিতে উদযাপিত হয় চড়ক পুজো, জেনে নিন এই উৎসবের ইতিহাস
কথায় আছে, বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই কথাটা যে কতখানি সত্যি তা আমরা সকলেই জানি। উৎসব শুরু হয় পয়লা বৈশাখ দিয়ে, আর শেষ হয় চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে। প্রতিটি উৎসবই কিছু না কিছু মাঙ্গলিক বার্তা বহন করে। বাঙালীর এই সমস্ত উৎসবের মধ্যে চৈত্র সংক্রান্তি ও চড়কের পুজো বেশ বিখ্যাত। এটি মূলত বাঙালী হিন্দুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষ দিন বা চৈত্র সংক্রান্তিতে এই উৎসব পালিত হয়। চড়কের ঠিক আগের দিন নীলষষ্ঠী পালিত হয়। আর, নববর্ষের প্রথম দু-তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজার উৎসবও চলে। এই পূজার বিভিন্ন নাম রয়েছে - নীল পূজা, গম্ভীরা পূজা, শিবের গাজন ইত্যাদি। এবছর ১৪ এপ্রিল পড়েছে চড়ক পূজা। কিন্তু জানেন কি এই চড়ক পূজার উদ্ভব কীভাবে?
চড়ক পূজার ইতিহাস
চড়ক কীভাবে এসেছে, তা নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। এর সঠিক ইতিহাস এখনও তেমন পরিষ্কার নয়। তবে প্রচলিত রয়েছে, রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর ১৪৮৫ সালে এই পুজোর প্রচলন করেন। তবে রাজ পরিবারের লোকজন এই পুজো আরম্ভ করলেও চড়ক পুজো কখনও রাজবাড়ির পুজো ছিল না, বরং এটি ছিল হিন্দু সমাজের লোকসংস্কৃতি। তবে সব পুজোয় ব্রাহ্মণ প্রয়োজন হলেও, এই পুজোর ক্ষেত্রে কিন্তু নিয়ম একেবারেই আলাদা। শোনা যায়, চড়ক পুজোর সন্ন্যাসীরা প্রত্যেকেই ছিলেন হিন্দু ধর্মের তথাকথিত নীচু সম্প্রদায়ের লোক। তাই এই পূজায় এখনও কোনও ব্রাহ্মণের প্রয়োজন পড়ে না।
চড়ক পূজার নিয়ম
চড়ক পূজার আগের দিন চড়ক গাছকে ভাল করে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়। তারপর জলভরা একটি পাত্রে শিবলিঙ্গ রাখা হয়, যা 'বুড়োশিব' নামে পরিচিত। এই পুজো করেন পতিত ব্রাহ্মণরা। চড়কগাছে সন্ন্যাসীদের চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুতবেগে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তার পিঠে, হাতে, পায়ে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গে জ্বলন্ত বাণ শলাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার রীতিও রয়েছে। এছাড়াও, কুমিরের পুজো, জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর হাঁটা, গায়ে ধারালো জিনিস ফোটানো, ধারালো কিছুর ওপর লাফানো, শিবের বিয়ে, অগ্নিনৃত্য, ইত্যাদি এই পুজোর বিশেষ অঙ্গ হিসেবে মনে করা হয়।
চড়ক পুজোর উৎসবে যারা অংশ নেয়, তারা বিভিন্ন রকমের দৈহিক যন্ত্রণা সহ্য করে মনোরঞ্জন করে, যা ধর্মের অঙ্গ বলে বিশ্বাস করা হয়। এই সব পুজোর মূলে রয়েছে ভূতপ্রেত ও পুনর্জন্মবাদের ওপর বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, নদীয়া, তারকেশ্বর, বাঁকুড়া, হুগলী-এর বেশ কয়েকটি গ্রামে এই উৎসব পালিত হয়। এছাড়াও আরও অনেক জায়গায় চড়ক পূজা প্রচলন রয়েছে। মূলত গ্রামাঞ্চলে এই উৎসব উদযাপন করা হয়। চড়কের জন্য বিশেষ মেলাও বসে।