Just In
(ছবি) যে চরিত্রগুলির উল্লেখ মহাভারত ও রামায়ণ উভয় মহাকাব্যেই রয়েছে!
হিন্দু পুরাণের দুই মহাকাব্য মহাভারত ও রামায়ণ। সেই অতীত কাল থেকেই এই দুই গ্রন্থকে হিন্দু ধর্মে পূণ্যগ্রন্থরূপে পুজো করা হয়। এই মহাকাব্যে যে গল্পগুলির উল্লেখ রয়েছে তা শুধু ইতিহাস নয়, পুরাণের বাস্তব বলেই বিশ্বাস করা হয়। পৃথিবীতে কুশক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে দেবতারা এক একটি অবতারে এই ধরিত্রীতে জন্ম নিয়েছিলেন বলে আজও হন্দু ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করেন। ['৪ হাজার বছর' পর মাটি ফুঁড়ে জেগে উঠল পবিত্র সরস্বতী নদী!]
রামায়ণের সূচনা ত্রেতা যুগে এবং মহাভারতের সূচনা দ্বাপর যুগে। তাই এই দুই কাব্যের সৃষ্টিতে একটা বিশাল সময়ের পার্থক্য রয়েছে। তবুও এমন একাধিক চরিত্র রয়েছে যাদের উল্লেখ মহাভারত ও রামায়ণ উভয় মহাকাব্যেই পাওয়া যায়। আজ এখানে এমন ৬টি চরিত্রের উল্লেখ এখানে করা হচ্ছে য়াঁদের উল্লেখ দুই মহাকাব্যেই যে শুধু ছিল তা না, তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল সেই গল্পে। [(ছবি) মহাভারতের নানা অজানা ঘটনা, যা আপনি শোনেননি]
কোন ৬ টি চরিত্র মহাভারত ও রামায়ণ উভয় মহাকাব্যেই থিল তা নিচের স্লাইডে ক্লিক করে দেখে নিন।
জাম্বুবান
রামায়ণ: জাম্বুবান ভাল্লুক সেনা। রামের সেনার এক অন্যতম সদস্য। সীতার খোঁজ নিতে যখন হনুমানকে পাঠানোর কথা হয় তখন কোনও এক অভিশাপের জেরে নিজের শক্তি সম্পর্কে ভুলে গিয়েছিলেন হনুমান। তখন ডাম্বুবানই হনুমানকে তাঁর পরিচয় ও শক্তি সম্পর্কে অবহিত করেন।
মহাভারত: কৃষ্ণর আসল পরিচয় না জেনেই তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করেন জাম্বুবান। যখন কৃষ্ণ নিজের পরিচয় প্রকাশ করে বলেন রাম ও তিনি একই , তখন লজ্জায় মাথা নিচু করে ক্ষমা চান ডাম্বুবান। এবং নিজের মেয়ে জামবতীর সঙ্গে কৃষ্ণর বিবাহ দেন।
হনুমান
রামায়ণ: রামায়ণে হনুমানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভগবান রামের একনিষ্ঠ ভক্ত হনুমান। বারণের লঙ্কা জ্বালানো থেকে সীতা উদ্ধারে হনুমান ছিলেন অত্যন্তভাবে প্রাসঙ্গিক।
মহাভারত : সুগন্ধিকা পুষ্প আনার সময় পথে এক বৃদ্ধ বাঁদর দেখেন ভীম। ভীম দেখে ওই বৃদ্ধ বানরের লেজে রাস্তা আটকে রয়েছে। ভীম ওই বৃদ্ধ বানরকে নিজের লেজ সরানোর অনুরোধ করেন। বানর বলেন, তিনি বৃদ্ধ, নিজের লেজ নাড়ানোর ক্ষমতাও তাঁর নেই। তাই ভীমকেই সেউ লেজ সরিয়ে দিতে হবে। ভীমের নিজের শক্তির উপর অগাধ বিশ্বাস ও অহঙ্কার ছিল। সেই অহঙ্কার চূর্ণ হয় যখন সে বৃদ্ধ বানরের লেজ নড়াতে অপারগ হয়। ভীম বৃদ্ধ বানরের আসল পরিচয় জানতে চান। তখন নিজের পরিচয় দেন ভগবান হনুমান।
পরশুরাম
রামায়ণ : সীতার স্বয়ম্বর সভায় রাম মহাদেব শিবের ধনুক ভেঙেছেন এই ছবর জানতে পেরে উদ্বিগ্ন পরশুরাম রামকে প্রতিযোগিতার জন্য আহ্বান জানান। কিন্তু পরে যখন তিনি জানতে পারেন রাম আসলে শিবেরই অবতার তখন তিনি ক্ষমাপ্রার্থণা করেন, পাশাপাশি রামকে আশীর্বাদও দেন।
মহাভারত :মহাভারতে পিতামহ ভীষ্ম ও কর্ণের গুরু হিসাবে পরশুরামের উল্লেখ রয়েছে।
বিভীষণ
রামায়ণ : রাবণের ছোট ভাই বিভীষণ, যিনি রামের তরফে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর লঙ্কার রাজার পদে বসেন বিভীষণ।
মহাভারত: পাণ্ডবরা যখন রাজাসুয়া যজ্ঞের আয়োজন করেন তখন বিভীষণ তাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এবং তাঁদের বহুমূল্য সমস্ত সামগ্রী ও উপহার প্রদান করেন।
মায়াসূর
রামায়ণ : মায়াসুর বারণের শ্বশুর। রাবণের স্ত্রী মন্দোদরী আসলে মায়াসুরের কন্যা।
মহাভারত : যখন পাণ্ডবরা দণ্ডকারণ্য জ্বালিয়ে দিয়েছিল তখন একমাত্র মায়াসূরই বেঁচে গিয়েছিল। কৃষ্ণ তাঁকের মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে অর্জুণের কাছে প্রাণভিক্ষা চায়। পরে এই মায়াসূরই ইন্দ্রপ্রস্থ তৈরি করেন।
মহর্ষি দুর্বাসা
রামায়ণ : মহর্ষি দুর্বাসাই সেই ব্যক্তি যিনি রাম ও সীতার বিচ্ছেদের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
মহাভারত : মহর্ষি দুর্বাসার মন্ত্রেই কুন্তী পাঁচ সন্তানের (পাণ্ডব) মা হয়েছিলেন।