Just In
- 1 hr ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 17 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 19 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 21 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
অর্থ, সমৃদ্ধি এবং মানসিক শান্তির অধিকারি হতে পুজো শুরু করুন শ্রী কৃষ্ণের!
বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক যদি হতে চান, সেই সঙ্গে সুখ এবং সমৃদ্ধিকে বানাতে চান রোজের সঙ্গী, তাহলে শ্রী কৃষ্ণের নানা অবতারের পুজো করা উচিত।
কথায় বলে প্ল্যান যত নিখুঁত হবে, সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে তত বেশি। তাই সফলতার স্বাদ পেতে কর্মক্ষেত্র থেকে আধ্যাত্মিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট প্ল্যান থাকা জরুরি।
হঠাৎ করে সাত সকালে এইসব কথা কেন বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে দেখুন সবাই আমরা কমবেশি পুজো অর্চনা করে থাকি। কিন্তু ঠিক ঠিক দেবতার পুজো কজনই বা করি বলুন। এই যেমন ধরুন শাস্ত্রে লেখা রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক যদি হতে চান, সেই সঙ্গে সুখ এবং সমৃদ্ধিকে বানাতে চান রোজের সঙ্গী, তাহলে শ্রী কৃষ্ণের নানা অবতারের পুজো করা উচিত। এমনটা করলে নাকি সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ই, সেই সঙ্গে জীবন পথে আসা নানা বাঁধাও সরতে শুরু করে।
হিন্দু শাস্ত্রে দিকে নজর ফেরালে জানা যায় শ্রী কৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্ঠম অবতার। যিনি তাঁর জীবনকালে একাধিক মিরাকেল ঘটিয়েছিলেন। কখন বিশালাকায় পুতুনা রাক্ষসিকে মেরে, তো কখনও কুরুক্ষেত্রের ময়দানে সত্যের জয় ঘটিয়ে। শুধু কি তাই, জীবনেকে কোনও পথে এগিয়ে নিয়ে গেলে শান্তি পাওয়া যায়, তারও দিশা দেখিয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ, যার উধাহরণ পাওয়া যায় ভগবত গীতায়। তাই হাজারো কষ্ট এবং মানসিক চাপের মাঝেও যদি সুখের সন্ধান পেতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, ভগবান কৃষ্ণের যে যে অবতারের পুজো করা জরুরি, সেগুলি হল...
১. প্রচুর পরিমাণ অর্থের মালিক হতে:
এমন স্বপ্ন যদি দেখে থাকেন, তাহলে পুজো শুরু করুন বাল গোপালের, যার হাতে রয়েছে লাডডু। এমনটা বিশ্বাস করা হয় সবুজ কাপড়ের উপর বাল গোপালের ছবি বা মূর্তি স্থাপন করে প্রতি বুধবার যদি পুজো করা যায়, তহলে দারুন উপকার মেলে। প্রসঙ্গত, পুজো করার সময় প্রসাদ হিসেবে ক্ষীর নিবেদন করে ধূপ-ধুনো এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে করতে হবে এই পুজো। আর গোপালের আরাধনা করার সময় "ওম সাম কে ক্লিম কৃষ্ণায়া নমহ!", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে। এই নিয়মগুলি মেনে যদি দেবের আরধনা করতে পারেন, তাহলে পকেট ভরে যেতে দেখবেন সময় লাগবে না।
২. সুখ এবং ভালবাসার সন্ধান পেতে:
হাজারো ক্ষত সইতে সইতে কি হাঁপিয়ে উঠেছেন? মরিয়া হয়ে খুঁজছেন একটু ভালবাসা আর সুখ, তাহলে যে ছবিতে শ্রী কৃষ্ণ বাঁশি বাজাচ্ছেন, এমন ছবি বা মূর্তি পুজো করা শুরু করুন। দেখবেন জীবন বদলে যেতে সময় লাগবে না। শাস্ত্র মতে প্রতি সোমবার শ্রী কৃষ্ণের পুজো করতে হবে এবং আরাধনা করার সময় পাঠ করতে হবে "ওম শ্রী কৃষ্ণ ক্লিম নামাহ" মন্ত্রটি। নিয়মিত যদি এইসব নিয়মগুলি মেনে গোপালের পুজো করতে পারেন, তহালে সুখের ঝাঁপি তো ভরবেই, সেই সঙ্গে সফলতাও রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত, পূর্ব দিকে মুখে করে বসে এই মন্ত্রটি যদি নিয়মিত পাঠ করতে পারেন, তাহলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৩. কর্মক্ষেত্রে মানসিক শান্তি পেতে:
খেয়াল করে দেখবেন আপনার আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা কর্মক্ষেত্রে একেবারেই সুখের সন্ধান পান না। ফলে মানসিক অশান্তিকে সঙ্গী করে দিনের পর দিন কাজ করে যান। এক সময় গিয়ে স্ট্রেস লেভেল এতটা বেড়ে যায় যে মানসিক অবসাদের কবলে পরার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদ শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। কারণ ক্রনিক ডিপ্রেশনের কারণে নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ফলে আয়ু তো কমেই, সেই সঙ্গে জীবন দুর্বসহ হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। তাই বন্ধু সময় থাকতে থাকতে শ্রী কৃষ্ণের পুজো শুরু করুন। দেখবেন কর্মক্ষেত্রে মানসিক শান্তির সন্ধান পেতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে ছবি বা মূর্তিতে ভগবান কাল নাগের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন, এমন ছবির পুজো করতে হবে। এক্ষেত্রে দেবের সামনে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে, দেবকে প্রসাদ হিসেবে মাখন নিবেদন করে পুজো শুরু করতে হবে। এই সময় "ওম হাম আম নামাহ কৃষ্ণায়া", এই মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি। এইসব নিয়ম মেনে প্রতি রবিবার যদি দেবের পুজো করতে পারেন, তাহলেই দেখবেন সুফল মিলতে শুরু করেছে।
৪. মা হাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে:
নানা কারণে অনেকেরই মা হওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হয়ে থাকে। এমনক্ষেত্রে বাল গোপালের পুজো শুরু করতে হবে। দোলনায় বসা শ্রী কৃষ্ণকে হলুদ কাপড়ের উপর বসিয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার পুজো করা শুরু করলে দেখবেন ফল মিলতে সময় লাগবে না। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কয়েক সপ্তাহ এইসব নিয়ম মেন পুজো করলে মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে বাল গোপালকে মিছরি অথবা মিষ্টি নিবেদন করে "ওম ক্লিম ক্লিম ক্লিম কৃষ্ণায় নমহ", এই মন্ত্রটি ১৬ বার জপ করতে হবে। তবেই মিলবে উপকার।
৫. সুস্থ শরীরের অধিকারি হতে:
একটু খেয়াল করে দেখুন কী হারে বেড়েছে মারণ রোগের প্রকোপ! আজকের ডেটে প্রতিটি বাড়িতেই একজন করে সদস্য হয় ডায়াবেটিস, নয়তো উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, নয়তো হার্টের রোগের শিকার। সেই সঙ্গে মানসিক চাপের কারণে নানা রোগের খপ্পরে পরার ঘটনা তো আখছাড়ই ঘঠে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থভাবে বাঁচতে, শ্রী কৃষ্ণ মাখন খাচ্ছেন এমন ছবি বা মূর্তি পুজো করা শুরু করতে হবে। দেবের সামনে ফল এবং মিষ্টি নিবেদন করে প্রতি মঙ্গলবার যদি পুজো করতে পারেন, তাহলে রোগমুক্ত, সুস্থ শরীরের অধিকারি হয়ে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে "ওম হাম হোম হাম কৃষ্ণায়া নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে।
৬. কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করতে:
অফিসে বা ব্যবসা চরম সফল হতে শ্রী কৃষ্ণের পুজো শুরু করুন। দেখবন সুফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে। এক্ষেত্রে শ্রী কৃষ্ণ, গরুর পালের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, এমন ছবি বা মূর্তি পুজো করতে হবে। প্রতি শুক্রবার বাদামী কাপড়ের উপর দেবকে প্রতিষ্টা করে শুরু করতে পুজো। এই সময় ধূপ-ধুনে জ্বালিয়ে পাঠ করতে হবে, "ওম রোম রোম ক্লিম নামাহ কৃষ্ণায়", এই মন্ত্রটি।