Just In
শিব ঠাকুরের আশীর্বাদ পেতে যদি চান তাহলে বাড়িতে এই জিনিসগুলি এনে রাখতে ভুলবেন না যেন!
শিব পূরণে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে নিয়মিত দেবের পুজো করার পাশাপাশি যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি বাড়িতে এনে রাখতে পারেন, তাহলে গ্রহ দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শনি দেবের প্রকোপও কমে।
প্রশ্ন করতে পারেন দেবাদিদেবের আশীর্বাদ পেয়ে কী হবে? শাস্ত্রে বলে ভোলে বাবার নেক দৃষ্টি যখন কারও উপর পরে, তখন তার জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। শুধু কি তাই, কারও কু-দৃষ্টি হোক কি কালো যাদু, কোনও কিছুরই খারাপ প্রভাব পরে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুখ-সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়।
প্রসঙ্গত, শিব পূরণে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে নিয়মিত দেবের পুজো করার পাশাপাশি যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি বাড়িতে এনে রাখতে পারেন, তাহলে গ্রহ দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শনি দেবের প্রকোপও কমে। এই কারণেই তো যারা শনির সাড়ে সাতিতে ভুগছেন, তাদের এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট! তবে এখানেই শেষ নয়, দেবাদিবের আশীর্বাদ প্রাপ্তি ঘটলে আরও নানা সব উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন, ছোট-বড় নানা রোগ দূরে পালাতে শুরু করে, মঙ্গল দোষ কেটে যায়, যে কোনও ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা কমে, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে, পরিবারে কোনও ধরনের অশান্তি বা মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা কমে, কর্মজীবনে পদন্নতি হয় এবং মনের জোড় বাড়তে শুরু করে।
তাহলে বন্ধু এতদূর পড়ার পর কী সিদ্ধান্ত নিলেন, এই প্রবন্ধটি পড়ে দেবের আশীর্বাদ পেতে চান নাকি...! প্রসঙ্গত, যে যে জিনিসগুলি বাড়িতে এনে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে দেবাদিদেবের আগমণ ঘটে, সেগুলি হল...
১.রুদ্রাক্ষের মালা:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবাদিদেবের চোখের জল থেকে জন্ম হয়েছিল রুদ্রাক্ষের মালার। তাই তো এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে ঠাকুর ঘরে রাখলে দেবের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে বাড়ির প্রতিটি কোন পবিত্র হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, রুদ্রাক্ষের মালা পরে থাকলে যেমন উপকার মেলে, তেমনি ১০৮ টি রুদ্রাক্ষের বীজ দিয়ে বানানো মালার সাহায্যে ১০৮ বার "ওম নম শিবায়" মন্ত্রটি জপ করলেও মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়। তবে প্রতিদিন এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। তবেই মিলবে উপকার।
২. ছাই:
দেবাদিদেব সারা শরীর ছাইয়ে ডাকা থাকে। তাই তো শিব ভক্ত নাগা এবং আগোরি সাধুরাও সারা শরীরে ছাই মেখে থাকেন। প্রসঙ্গত, আপনিও যদি দেবের আশীর্বাদ পেতে চান, তাহলে ঠাকুর ঘরে রাখা শিবের ছবি বা মূর্তির সামনে অল্প পরিমাণে ভস্ম বা ছাই এনে রাখতে পারেন। শাস্ত্র মতে এমনটা করলে দেবের নেক দৃষ্টি পরে সেই পরিবারের উপর। ফলে নানাবিধ উপকার মেলে।
৩. গঙ্গা জল:
এই ধরাধামে পবিত্র গঙ্গাকে এনেছিলেন শিব ঠাকুরই, যার জটা থেকে জন্ম হয়েছিল মায়ের। তাই তো প্রতিদিন গঙ্গা জল দিয়ে দেবের মূর্তি বা ছবি মুছে শিবের আরাধনা শুরু করলে শিব টাকুর বেজায় সন্তুষ্ট হন। আর দেব যখন খুশি হন, তখন কী কী সুফল মেলে তা তার আলাদ করে বলে দিতে হবে না। কি তাই তো! প্রসঙ্গত, এই নিয়মটি মেনে দেবাদিবের পুজো করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।
৪. ত্রিশূল:
দেবাদিদেবের হাতে থাকা এই অস্ত্রটিকে যদি বাড়িতে এনে রাখা যায়, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে চরম সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। তবে খেয়াল রাখবেন ত্রিশূলটি যেন তামা বা রূপোর হয়। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে তামা বা রূপো দিয়ে তৈরি ত্রিশূল শুভ শক্তিকে আকৃষ্ট করে। ফলে গৃহস্তের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে নানাবিধ সুফল মিলতে শুরু করে।
৫. তামার পাত্র:
পূরাণ এবং বেদ অনুসারে একটি তামার পাত্রে জল রেখে যদি তা ঠাকুর ঘরে রাখা যায়, তাহলে শিব ঠাকুরের আশীর্বাদ মেলে। সেই সঙ্গে সারা বাড়ির পরিবেশ এতটা সুন্দর হয়ে ওঠে যে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, বাড়ির অন্দরে সুখ এবং সমৃদ্ধিরও ছোঁয়া লাগে।
৬. ডামরু:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে একটা ছোট ডামরু এনে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া খারাপ শক্তি দূরে পালাতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, বাচ্চাদের পড়ার ঘরে যদি ডামরু এনে রাখতে পারেন, তাহলে তাদের পড়াশোনায় উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে বাচ্চাদের উপর শুভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তাদের জীবন সুন্দর হয়ে উঠতেও সময় লাগে না।
৭. নাগ:
শাস্ত্রে বলে রূপো দিয়ে তৈরি একটি ছোট্ট নাগের মূর্তি বাড়ির সদর দরজার সামনে যদি রাখা যায়, তাহলে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। সেই সঙ্গে কালো যাদুর প্রভাব কাটতেও সময় লাগে না। ফলে জীবন একদিকে যেমন সুন্দর হয়ে ওঠে, তেমনি নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে।
এবার বুঝেছেন তো বন্ধু এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি বাড়িতে এনে রাখলে কী কী হতে পারে!