Just In
রাত্রি বেলা ঘুমতে যাওয়ার আগে হনুমান চল্লিশা পাঠের উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে?
হনুমানজির পুজোর পর হনুমান চল্লিশা পাঠের উপকারিতা সম্পর্কে তো মনে হয় সবারই জানা আছে। কিন্তু যেটা জানা নেই মনে হয়, সেটা হল রাত্রি বেলা এই বিশেষ স্তোত্রটি পাঠ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে!
প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির পুজোর পর হনুমান চল্লিশা পাঠের উপকারিতা সম্পর্কে তো মনে হয় সবারই জানা আছে। কিন্তু যেটা জানা নেই মনে হয়, সেটা হল রাত্রি বেলা এই বিশেষ স্তোত্রটি পাঠ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে! তাই তো আজ এই লেখায় এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে। তবে প্রবন্ধের দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার আগে একটা কথা বলতে চাই পাঠক বন্ধুরা, তা হল এত দূর পড়ার পর যদি দোটানায় থাকেন যে লেখাটি পড়বেন কী পড়বেন না, তাহলে একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে পারি, তা হল এই প্রবন্ধটি পড়া মাত্র আপনার জীবনটা যে অনেক সহজ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, মিলবে আরও অনেক উপকার। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা সুখে-শান্তিতে থাকতে মাত্র ৫-১০ মিনিট খরচ করতে কিপটামো করবেন না যেন!
তুলসি দাসের লেখা হনুমান চল্লিশা হল সেই শক্তির আধার, যা পাঠ করা মাত্র আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে খারাপ সময় কেটে যেতে একেবারেই সময় লাগে না, সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের সব ইচ্ছা পূরণের পথ প্রশস্ত হয় চোখের পলকে। তবে এখানেই শেষ নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে শুধু মঙ্গলবার নয়, প্রতিদিন যদি এই স্তোত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না, সেই সঙ্গে জন্ম কুষ্টিতে এই বিশেষ গ্রহটির অবস্থান এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে দুঃখ-কষ্ট ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
সবই তো বুঝলান, কিন্তু রাত্রি বেলা হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে, সে সম্পর্কে তো বললেন না!
১. পাপের শাস্তির হাত থেকে মুক্তি মেলে:
যে যতই সৎ মানুষ হোক না কেন, জীবনে কোনও না কোনও সময় আমরা সবারই নানা খারাপ বা পাপ কাজ করে থাকি, যা হয়তো আমাদের করা উচিত হয়নি। আর সেই সব পাপ কাজের ফল যে এ জীবনেই মেলে তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বরং একথা বেশ নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, যে যেমন গর্হিত কাজ করেন, তার শস্তি ততটাই কঠিন হয়। তাই তো বলি বন্ধু, আপনি যদি এ জীবনে নানা খারাপ কাজ করে থাকেন, তাহেল সেই পাপ কাজের শাস্তি এড়াতে রাত্রি বেলা কম করে ৮ বার হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে হনুমানজির আশীর্বাদে পাপের খণ্ডন হয়। ফলে শাস্তি পাওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
২. খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যায়:
একথা তো মানতেই হবে যে আমাদের আশেপাশে যেমন শুভ শক্তি রয়েছে, তেমনি রয়েছে অশুভ শক্তিও, যা সারাক্ষণ আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টায় লেগে রয়েছে। আর কোনও কারণে যদি খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে কোনও বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই, সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে নানা ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। লেজুড় হয় আরও নানা সমস্যাও। যেমন ধরুন: টাকা-পয়সা সংক্রান্ত ঝামেলা দেখা দেয়, প্রিয় মানুষজনেদের সঙ্গে ঝগড়া-ঝাটি বাড়তে থাকে, বাস্তু দোষ দেখা দেয় এবং মানসিক অশান্তি মাত্রা ছাড়ায়। তাই তো খারাপ শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর সেই কারণেই নিয়মিত রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে হনুমান চল্লিশা পাঠ করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এমনটা করলে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
৩. যে কোনও সমস্যা মিটে যায় চোখের পলকে:
নানাবিধ সমস্যার কারণে কি জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই প্রতিদিন রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এক মনে হনুমান চল্লিশা পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন। আসলে শাস্ত্রে মতে দিনের এই বিশেষ সময়ে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে বায়ু পুত্র এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তিও ফিরে আসে।
৪. কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতির স্বাদ মেলে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার যদি রাত্রিবেলা কম করে ১০০৮ বার হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে নাকি কর্মক্ষেত্রে উন্নতির পথ প্রশস্ত হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত নানা সমস্যাও যেমন মিটে যায়, তেমনি চরম অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ মিলতেই সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, অল্প সময়েই যদি কেরিয়ারে উন্নতি লাভ করতে চান এবং হয়ে উঠতে চান অনেক অনেক টাকার মালিক, তাহলে এই বিশেষ দিনগুলিতে রাত্রিবেলা হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে মুলা নক্ষত্রের দিন রাতের বেলা যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে নাকি আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫. মনের ছোট থেকে ছোট ইচ্ছা পূরণ হয়:
স্বপ্ন কে না দেখে বলুন! কিন্তু সেই সব স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিশ্রম যেমন করতে হয়, তেমনি ভাগ্যের সঙ্গ পাওয়াটাও জরুরি। আর ঠিক এই কারণেই আমাদের সবারই রাত্রিবেলা হনুমান চল্লিশা পাঠ করা জরুরি। কারণ এমনটা করলে একদিকে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের মণিকোঠায় সযত্নে সাজানো প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ হতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!