For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কষ্টকে দূরে রাখতে এবং জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে জপ করুন এই শিব মন্ত্রটি!

অনেকেই মনে করে দুঃখ-কষ্ট তো রোজের সঙ্গী। তাদেরকে বাইপাস করে জীবন পথে এগনো বেজায় কঠিন! কিন্তু জানেন কি একথা একেবারেই ঠিক নয়।

|

অনেকেই মনে করে দুঃখ-কষ্ট তো রোজের সঙ্গী। তাদেরকে বাইপাস করে জীবন পথে এগনো বেজায় কঠিন! কিন্তু জানেন কি একথা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ শাস্ত্র মতে প্রতিদিন যদি ভগবান শিবের এই মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলে যে কোনও ধরনের কষ্ট কমতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মেলে অনেক শারীরিক উপকারও।

ভগবান শিব হলেন সর্বশক্তিমান। এই জগতের প্রাণের আধার তো তাঁর শরীরেরই। তাই তো তাঁকে প্রসন্ন করতে পারলে জীবন যুদ্ধে জয়লাভ করাটা অনেকটাই সহজ হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণেই তো মুনি-ঋষিরা নিয়মিত "ওম নমঃ শিবায়" মন্ত্রটি জপ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে শরীর এবং মস্তিষ্কের যে কোনও ক্ষত দূর করতে পারে। তাই তো নিয়মিত এই শিব মন্ত্রটি পাঠ করলে একাধিক রোগের খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...

১. পঞ্চ শক্তিকে জাগিয়ে তোলে:

১. পঞ্চ শক্তিকে জাগিয়ে তোলে:

খেয়াল করে দখুন "ওম নমঃ শিবায়" মন্ত্রটির মধ্যে রয়েছে "ন", "ম", "শি", "ভা", এবং "ইয়া"। এই পাঁচটি বিভাগ পৃথিবী, জল, আগুন, বাতাস এবং স্পেস। এই পাঁচটি এলিমেন্টের প্রতীক। আর শাস্ত্র মতে এই পাঁচটি উপাদান দিয়েই তৈরি হয়েছে আমাদের শরীর। তাই তো এই শিব মন্ত্রটি পাঠ করলে ভিতর এবং বাইরে থেকে আমাদের শরীরে এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও নেগেটিভ শক্তি আমাদের কোনও ক্ষতি করতে পারে না। ফলে একদিকে যেমন খারাপ চিন্তার হাত থেকে রক্ষা মেলে। তেমনি শারীরিক কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

২. আত্মার শুদ্ধি ঘটে:

২. আত্মার শুদ্ধি ঘটে:

কখনও জেনে তো কখনও অজান্তে আমরা নানা সময় নানা পাপ কাজ করে থাকি। আর যার শাস্তি আমাদের এই জীবনেই ভোগ করতে হয়। কখন মানসিক বা শারীরিক কষ্টের সাক্ষী থেকে তো কখনও কোনও প্রিয় জনকে হারিয়ে আমরা লেই পাপের ঘরাকে খালি করে থাকি। কিন্তু নিয়মিত যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন,তাহলে পাপের কষ্টের থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে আত্মার শুদ্ধি ঘটে। ফলে মৃত্যু পরবর্তি সময়ে স্বর্গের সন্ধান পেতে কষ্ট হয় না।

৩. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৩. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

শাস্ত্রে তো উল্লেখ রয়েছেই, সেই সঙ্গে একাধিক গবেষণাতেও এই কথা প্রমাণিত হয়েছে যে "ওম নমঃ শিবায়" মন্ত্রটি পাঠ করলে মস্তিষ্কের বিশেষ একটি অংশে কম্পন সৃষ্টি হয়। যার প্রভাবে মানসিক অবসাদ এবং ইনসমনিয়া সহ একাধিক ব্রেন ডিজিজের খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার এতটা বৃদ্ধি পায় যে মনযোগ ক্ষমতার বিকাশ ঘটার পাশাপাশি বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তির বাড়তেও সময় লাগে না।

৪. স্ট্রেস লেভেল কমায়:

৪. স্ট্রেস লেভেল কমায়:

আধুনিক কালে হওয়া একাধিক গবেষণা অনুসারে এই মন্ত্রটি পাঠ করার সময় মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেঅ স্ট্রেস লেভেল কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে জানা যায়, বর্তমান সময়ে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে, সেগুলির সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে এই মন্ত্রটি পাঠ করার প্রয়োজন কতটা, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না!

৫. পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটে:

৫. পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটে:

এই মন্ত্রটি বিশ্ব শক্তির সঙ্গে আমাদের শরীরের যোগাযোগ স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করলে দেহের অন্দরে এত মাত্রায় পজিটিভ শক্তির বিকাশ ঘটে যে আমাদের কর্মক্ষমতা তো বাড়েই। সেই সঙ্গে দুঃখ-কষ্টের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে। খেয়াল করে দেখবেন যখনই আমরা কোনও কষ্টের সম্মুখিন হই, তখনই আমাদের শরীর এবং মন ভাঙতে শুরু করে। এমনটা যাতে আর না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা নেয় এই মন্ত্রটি।

৬. রাগ কমে:

৬. রাগ কমে:

হিন্দু শাস্ত্র মতে ক্রোধ বা রাগ হল আগুনের সমান, যা যে কোনও সম্পর্ককে নিমেষে শেষ করে দিতে পারে। তাই রাগ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই ভাল। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই মন্ত্রটি। নিয়মিত ১০৮ বার "ওম নমঃ শিবার" মন্ত্রটি পাঠ করলে রাগ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনও শান্ত হয়। ফলে অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৭. নানা গ্রহের প্রভাব কমে:

৭. নানা গ্রহের প্রভাব কমে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে নটি গ্রহের অবস্থানের উপর আমাদের ভাল-মন্দ অনেকাংশেই নির্ভর করে থাকে। তাই তো গ্রহদের সঠিক অবস্থান একান্ত কাম্য। কিন্তু এমনটা হওয়া তো সম্ভব নয়, তাহলে উপায়? এক্ষেত্রে নিয়মিত যদি দেবাদিদেবকে এই মন্ত্রের মাধ্যমে স্বরণ করতে পারেন, তাহলে গ্রহের খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা কমে। ফলে আমাদের সঙ্গে খারাপ কোনও ঘঠনা ঘটার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করলে দেহের অন্দরে জিনের গঠনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। যার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না।

৯. উচ্চরক্ত চাপকে স্বাভাবিক করে:

৯. উচ্চরক্ত চাপকে স্বাভাবিক করে:

আপনি কি ব্লাড প্রেসারের রোগী? তাহলে তো নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন এমনটা করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক লেভেলে চলে আসতে সময়ই লাগবে না। প্রসঙ্গত, "ইজিপ্সার" পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণা পত্রটি অনুসারে দিনে ১০৮ বার এই মন্ত্রটি জপ করলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসে।

Read more about: ধর্ম
English summary

অনেকেই মনে করে দুঃখ-কষ্ট তো রোজের সঙ্গী। তাদেরকে বাইপাস করে জীবন পথে এগনো বেজায় কঠিন! কিন্তু জানেন কি একথা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ শাস্ত্র মতে প্রতিদিন যদি ভগবান শিবের এই মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলে যে কোনও ধরনের কষ্ট কমতে সময় লাগে না।

Beneficial aspects of chanting 'Om Namah Shivay'!Traditionally, it is accepted to be a powerful healing mantra beneficial for all physical and mental ailments. Soulful recitation of this mantra brings peace to the heart and joy to the [Ātman] or Soul. Sages consider that the recitation of these syllables is sound therapy for the body and nectar for the soul
Story first published: Tuesday, March 6, 2018, 11:27 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion