Just In
বলরাম জয়ন্তি ব্রত : জেনে নিন ইতিহাস, সময় ও তাৎপর্য
বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন জাতির মানুষ বাস করে ভারতে। তাই, প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উত্সব হয়। সেরকমভাবেই , রাখী বন্ধন বা শ্রাবণ পূর্ণিমার ঠিক ছয় দিন পরে হিন্দুধর্মের মানুষজন হর ছঠ বা হাল ষষ্ঠী ব্রত পালন করে। এটি হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই ভগবান বলরামের জন্মবার্ষিকীতে পালিত হয়। তাই এই উৎসবের অনেক নাম আছে। সেগুলি হল- বলরাম জয়ন্তী, লালাহী ছঠ, বলদেব ছঠ, রন্ধন ছঠ, হর ছঠ, চন্দন ছঠ, তিন ছাঠি এবং তিন্নি ছঠ ইত্যাদি। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত এই উত্সব। রাজস্থানে এটি চন্দ্র ষষ্ঠী নামে পরিচিত, গুজরাটে এটি রন্ধন ছঠ এবং ব্রজ অঞ্চলে একে বলদেব ছঠ বলা হয়।
ইতিহাস :
বলরাম হলেন মাতা দেবকী ও বাসুদেবের সপ্তম সন্তান ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। তিনি বলদেব, বলভদ্র ও হলায়ুধ নামেও পরিচিত। অত্যাচারী কংসের হাত থেকে বাঁচাতে দেবী যোগমায়া দেবকীর সপ্তম গর্ভের ভ্রূণ বাসুদেবের আর এক পত্নী রোহিণীর গর্ভে স্থাপিত করেন। ফলে, রোহিণীর গর্ভে বলরামের জন্ম হয়। শ্রাবণ পূর্ণিমা বা রাখী পূর্ণিমা তিথিতে মাতা রোহিণীর গর্ভে জন্ম নেয় বলরাম। অমিত বলশালী বলে তাঁর নাম হয় বলরাম। ত্রেতা যুগে লক্ষ্মণ নামে শ্রীরামের ছোট ভাই হয়ে এবং দ্বাপরে বলরাম নামে শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই হয়ে আবির্ভাব হন তিনি।
তারিখ ও সময় :
এই বছর হাল ষষ্ঠী ২১ অগাষ্ট 21বুধবার উদযাপিত হবে। তিথি শুরু হবে ২১ অগাষ্ট সকাল ৫.৩০3টায় এবং 2শেয হবে ২২2আগস্ট, 201সকাল ৭.০৬ টায়।
তাৎপর্য :
বলরামের
প্রধান
হাতিয়ার
হল
লাঙল।
এই
কারণে
তিনি
হলধারী
নামেও
পরিচিত।
আর
কৃষিকাজে
হাল,
বলদ
ইত্যাদির
গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা
থাকে।
গবাদি
পশুর
মাধ্যমে
মাটিতে
কর্ষণ
করিয়ে
তারপর
সেই
ঊর্বর
জমিতে
শস্য
রোপণ
করা
হয়।
সে
জন্যই
লাঙল
বা
হালকে
পুজো
দেওয়ার
রীতি
প্রচলিত।
বলরামের
হাতে
ধরা
থাকে
মৃত্তিকা
কর্ষণের
প্রধান
অস্ত্র
লাঙল
বা
হাল।
তাই
হিন্দুধর্মের
কৃষক
সম্প্রদায়ের
মানুষরা
এইদিন
অত্যন্ত
জাঁকজমক
করে
ভগবান
বলরামের
পুজো
করেন।
মহিলারা
তাঁদের
সন্তানের
আশীর্বাদ
ও
সুস্বাস্থ্যের
জন্য
উপবাসও
করেন।
এই
দিনটিতে
কৃষি-নির্ভর
গৃহস্থ
পরিবারে
ভালো
করে
ঘর
পরিষ্কার
করে
দেওয়ালে
সাদা
প্রলেপ
দিয়ে
সেখানে
কৃষি
যন্ত্রপাতি,
লাঙল,
গরুর
গাড়ি,
মহিষ
বা
গরুর
ছবির
আলপনা
আঁকা
হয়।
বাড়ির
গৃহপালিত
পশুকে
যত্ন
করে
স্নান
করিয়ে
নতুন
বস্ত্র
পরানো
হয়
তাদের।
গবাদি
পশুর
মাথায়
হলুদ-কুমকুম-চন্দনের
পবিত্র
তিলক
এঁকে
দেওয়া
হয়।