Just In
- 1 hr ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 3 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 6 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 8 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
সুখে-শান্তিতে থাকেতে ভুলেও শ্রাবণ মাস চলাকালীন এই ভুল কাজগুলি করবেন না যেন!
শ্রাবণ মাস চলাকালীন এই প্রবন্ধে আলোচিত হতে চলা নিয়মগুলি মেনে না চললে কিন্তু কোনও ফলই মেলে না। উল্টে দেবাদিদেব এতটাই ক্ষুন্ন হন যে হঠাৎ করে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে শিবের আরাধনা করলে একাধিক উপকার মেলে। বিশেষত গৃহস্থের অন্দরে কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, শিব পুরানেও এই বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন এই গ্রন্থটি অনুসারে এই বিশেষ মাসে দেবাদিদেবের পুজো করলে সাধারণ দিনের থেকে প্রায় ১০৮ গুণ বেশি উপকার মেলে। কারণ ইংরেজির জুলাই-আগষ্ট মাসে আসা শ্রাবণ মাস হল সবথেকে পবিত্র মাস। তাই তো এই সময় প্রতি সোমবার দেবের অরাধনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আঐর যদি প্রতিদিন সর্বশক্তিমানের নাম জপ করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!
শ্রাবণ মাসের প্রতিটি দিন শিবের অরাধনা করার পাশাপাশি প্রতি সোমবার যদি উপোস করে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা যায়, তাহলে সর্বশক্তিমান বেজায় প্রসন্ন হন। আর একবার দেবাদিদেব কারও উপর খুশি হলে তার জীবন বদলে যেতে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। প্রসঙ্গত, সারা শ্রাবণ মাস জুড়ে শিব ঠাকুরের পুজো করলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি মেলে, সেগুলি হল...
১. কর্মক্ষেত্রে চরম সফলার স্বাদ মেলে:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সারা শ্রাবণ মাস জুড়ে এক মনে শিবের আরাধনা করলে এবং নিয়মিত ১০৮ বার "ওম নমঃ শিবায়" মন্ত্রটি জপ করতে পরালে মনের মতো চাকরি তো মেলেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চটজলদি পদন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
২. দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে শ্রাবণ মাস হল বছরের সবথেকে পবিত্র মাস। তাই তো এই সময় দেবের আরাধনা করলে একাধিক সুফল মিলতে শুরু করে, যার অন্যতম হল পরিবারের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের কলহ বা বিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে সুখের ঝাঁপি খালি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে। শুধু তাই নয়, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটে।
৩. ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে প্রতিদিন ১০৮ বার "ওম নম শিবায়" মন্ত্রটি জপ করার পাশাপাশি প্রতি সোমবার যদি দেবের পুজো করা যায়, তাহলে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধির ধারও বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয়, শরীরের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে ক্লান্তি দূর হয় চোখের পলকে।
৪. ভয় দূর হয়:
শাস্ত্র মতে দেবাদিদেব হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই তো শ্রাবণ মাসে দেবের আরাধনা করলে যে কোনও ধরনের ভয় দূর হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনোবল এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে মানসিক আবসাদ এবং দুশ্চিন্তা দূর হতে শুরু করে।
তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল শ্রাবণ মাস চলাকালীন এই প্রবন্ধে আলোচিত হতে চলা নিয়মগুলি মেনে না চললে কিন্তু কোনও ফলই মেলে না। উল্টে দেবাদিদেব এতটাই ক্ষুন্ন হন যে হঠাৎ করে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, এত ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, জীবনকে সুখে-শান্তিতে ভরিয়ে তুলতে এবং মনের ছোট থেকে ছোটকর ইচ্ছা পূরণ করতে সারা শ্রাবণ মাস জুড়ে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল...
১. হলুদ যেন না থাকে:
দেবের আরাধনা করার সময় ভুলেও যেন হলুদ নিবেদন করবেন না। কারণ শাস্ত্র মতে দেবাদিদেব হলেন যোগী। তাই তো মহিলারা ব্যবহার করেন এমন কোনও জিনিস তাঁকে পরিবেশন করা উচিত নয়। মূলত এই কারণেই শিব ঠাকুরের পুজো করার সময় হলুদ এবং সিঁদুর নিবেদন করতে মানা করা হয়।
২. কাঁচা দুধ নৈব নৈব চ:
দেবাদিদেবর পুজো মানেই তাঁকে কাঁচা দুধ নিবেদন করা হবেই হবে! এমনকী কোনও কোনও সময় শিব লিঙ্গকে কাঁচা দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়ে থাকে। কিন্তু শ্রাবণ মাস চলাকালীন ভুলেও দেবকে কাঁচা দুধ পরিবেশন করা চলবে না। এই সময় দুধ ফুটিয়ে, তারপর তা নিবেদন করতে হবে সর্বশক্তিমানকে।
৩. বেগুন খাওয়া চলবে না:
শুনতে আজব লাগলেও হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা জাবী করা হয়েছে যে শ্রাবণ মাসে বেগুন খেলে পাপ হয়। তাই তো এই সময় এই সবজিটিকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৪. সাকাল সকাল উঠতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শ্রাবণ মাস চলাকালীন ভুলেও দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা উচিত নয়। বরং ব্রহ্ম মুহূর্তে, অর্থাৎ সকাল ৪-৬ টার মধ্যে উঠে স্নান সেরে নিতে এবং তারপর এক মনে জপ করতে হবে ওম নম শিবায় মন্ত্রটি। প্রসঙ্গত, এমনটা যদি নিয়মিত করতে পা পারা যায়, তাহলে দারুন সব ফল মেলে। আসলে শাস্ত্র মতে ব্রহ্ম মুহূর্তে পরিবেশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বেশি থাকে। তাই তো এই সময় দেবের নাম নিলে বেশি মাত্রায় উপকার মেলে।