Just In
বাড়িতে কেমন ধরনের হনুমানজির মূর্তি রাখা উচিত জানা আছে?
কম-বেশি সব বাড়িতেই হনুমানজির মূর্তি রাখা হয়। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবের ছবি রাখলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।
বাঙালি বাড়িতে ঠাকুর ঘর থাকবে না, তা আবার হতে পারে নাকি! তাই তো ভগবানে বিশ্বাস করেন প্রতিটি বাঙালিরই এই প্রবন্ধটিতে চোখ রাখা উচিত। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে কম-বেশি সব বাড়িতেই হনুমানজির মূর্তি রাখা হয়। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবের ছবি রাখলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও ধরণা আছে কি যে কোন ধরনের হনুমানজির মূর্তি বা ছবি বাড়িতে রাখা যেতে পারে আর কোন ধরনের নয়?
আসলে শাস্ত্র মতে সব ধরনের হনুমানজির ছবি বা মূর্তি বাড়াতে রাখা উচিত নয়। আর যদি কেউ এই নিয়মগুলি না মানেন, তাহলে উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি। শুধু কি তাই, গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো যারাই হনুমানজির ছবি বা মূর্তি বাড়িতে রাখতে চান, তাদের এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতেই হবে। না হলে কিন্তু হঠাৎ করে কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারে!
প্রসঙ্গত, এই লেখায় দেবের কী কী ধরনের ছবি রাখা যেতে পারে শুধু যে সে সম্পর্কে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে, এমন নয়। সেই সঙ্গে এই ধরনের ছবিগুলি বাড়িতে রাখলে কী কী উপকার পেতে পারেন, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এখন প্রশ্ন হল হনুমানজির কেমন ধরনের ছবি রাখতে হবে বাড়ির ঠাকুর ঘরে?
১. রামের আরাধনা করছেন দেব:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমানজি, শ্রী রাম এবং সীতার সামনে ঝুঁকে তাঁদের প্রণাম করছেন, এমন ছবি বাড়িতে এনে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ সময় কেটে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে একের পর এক বাঁধা কাটতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না।
২. সাদার আবরণ:
হনুমানজি উজ্জ্বল রঙের ধুতি পরে রয়েছেন আর ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডটা একেবারে সাদা। এমন ধরনের ছবি ঠাকুর ঘরে রাখলে কর্মজীবন সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে চোখে পরার মতো পদন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, মাইনেও বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমন ছবি গৃহস্থের অন্দরে জায়গা করে নিলে মনের মতো চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না।
৩. ধ্যানরত হনুমান:
শ্রী হনুমান এক মনে বসে রামের নাম জপ করছেন, এমন ছবিকে ঠাকুর ঘরে জায়গা করে দিলে একদিকে যেমন অশান্ত মন শান্তু হয়ে ওঠে, তেমনি রাগ কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, মনোযোগ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ারও ক্ষমতা যায় বেড়ে। ফলে কর্মজীবনে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, বাচ্চাদের পড়ার ঘরে এমন ছবি রাখলেও কিন্তু দারুন সব উপকার মেলে।
৪. গদা হাতে দাঁড়িয়ে সর্বশক্তিমান:
যে ছবিতে দেবের শারীরিক ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে, তা ঠাকুর ঘরে রাখলে মনের জোর বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে জীবন পথে সামনে আসা একের পর এক বাঁধা পেরিয়ে যেতে সময় লাগে না। তবে এখানেই শেষ নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের ছবি বা মূর্তি সঙ্গে রাখলে যে কোনও ধরনের মানসিক এবং শারীরিক কষ্ট কমে যেতে সময় লাগে না।
৫. সূর্য দেবের আরাধনা করছেন!
হনুমানজি ধ্যানরত অবস্থায় বসে সূর্য দেবের পুজো করছেন, এমন ছবি বাড়িতে এনে রাখলে শরীর ভিতর এবং বাইরে থেকে চাঙ্গা হতে শুরু করে। ফলে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমস্যাও মিটে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, অল্প সময় অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু চটজলদি যদি বড়লোক হয়ে উঠতে চান, তাহলে হনুমানজির এমন ছবি বাড়িতে এনে নিয়মিত আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
৬. উত্তর দিকে মুখ করে রয়েছেন দেব:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমানজির মুখ উত্তর দিকে রয়েছে এমন মূর্তি বা ছবি ঠাকুর ঘরে জায়গা করে নিলে সমস্ত দেব-দেবীর আশীর্বাদ মেলে। ফলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৭. দক্ষিণ দিকে মুখ রয়েছে:
উত্তর দিকে দেবের মুখ রয়েছে এমন ছবি বাড়িতে এনে রাখলে কী কী উপকার মিলতে পারে, তা তো জানলেন, কিন্তু একথা জানা আছে কি, যে ছবি বা মূর্তি শ্রী হনুমানের মুখ দক্ষিণ দিকে থাকে, তা গৃহস্থে এনে রাখলে মৃত্যু ভয় কেটে যায়। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের ভয় কেটে যেতেও সময় লাগে না।