Just In
ঋণে জর্জরিত? এই ৭ উপায়ে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন ধার-দেনা থেকে
আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে কোনও ব্যক্তিই চান না। কিন্তু জীবনে তো উত্থান-পতন লেগেই থাকে। তাই, কখনও কখনও এমন পরিস্থিতি আসে যে ঋণ নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েও মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। ঋণের চাপে পড়ে অনেকেই আত্মহত্যার পথও বেছে নেন।
জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন কিছু প্রতিকার রয়েছে, যেগুলি মেনে চললে আপনি ধার-দেনা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। দেখে নিন সেই উপায়গুলি কী কী -
ভক্তি সহকারে হনুমান জীর পূজা করুন
ভক্তিভরে হনুমান জীর পূজা করলে সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা এবং ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। মঙ্গলবার এবং শনিবার হনুমান জীর বিশেষ পূজার দিন, এই দিনে নিষ্ঠাভরে পূজা করলে ভালো ফল মেলে। সপ্তাহের এই দু'টি দিনেই ভগবান হনুমানকে কেশর রঙের সিঁদুর লাগিয়ে পুজো করতে হবে।
ভোলেনাথের পূজা করুন
ঋণ থেকে মুক্তি পেতে হৃদয় দিয়ে শিবের পূজা করুন। মঙ্গলবার শিব মন্দিরে গিয়ে জল ও দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। এছাড়াও, ঋণ মুক্তি মন্ত্র 'ওঁ রিন্মুক্তেশ্বর মহাদেবায় নমঃ' কমপক্ষে ১০৮ বার জপ করুন।
যব দান শুভ হতে পারে
একটি পাত্রে বার্লি বা যব ভিজিয়ে সারারাত মাথার কাছে রেখে দিন। পরের দিন স্নানের পর কোনও অসহায় ব্যক্তিকে দান করুন। এতে কেবল ঋণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন না, পাশাপাশি আপনার আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হবে।
পশু ও পাখিকে খাওয়ান
হনুমানকে গুড়-ছোলা-কলা, গরুকে রুটি, মাছেদের আটা এবং পাখিদের শস্য খাওয়ালে আপনি ঋণমুক্ত হতে পারেন।
লাল সলতে ব্যবহার করুন
বাড়িতে দেব-দেবীর পুজো করার সময় সাদা সলতের পরিবর্তে প্রদীপে লাল সলতে ব্যবহার করুন। এর ফলে আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটবে এবং ঋণ মুক্তি হবে!
একাক্ষী নারকেলের ব্যবহার
ঋন থেকে মুক্তি পেতে, শুক্লপক্ষের প্রথম শুক্রবার একটি একাক্ষী নারকেলের ওপর সিঁদুরের তিলক এঁকে, আর্থিক সমস্যা নিবারণের প্রার্থনা জানিয়ে, সেটা লাল রেশমি কাপড়ে বেঁধে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন। খুব শীঘ্রই আপনার আর্থিক সমস্যা দূর হবে।
অন্যান্য সমাধান
বিশ্বাস করা হয় যে, প্রতি মাসের শুক্লপক্ষের বুধবার গণেশ স্তোত্র পাঠ করলে ঋণ থেকে মুক্তি মেলে। এছাড়া, বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এটি করলে আপনি দ্রুত ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।