Just In
অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করতে আজ রাতে শ্রী কৃষ্ণের পুজোর আয়োজন করতে ভুলবেন না!
১১ বছর পর আজ এসেছে সেই বিশেষ রাত, যে রাতে বাসুদেবের অরাধনা করলে মিলতে পারে নানান সুফল।
১১ বছর পর আজ এসেছে সেই বিশেষ রাত, যে রাতে বাসুদেবের অরাধনা করলে মিলতে পারে নানান সুফল। যেমন ধরুন অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন তো পূরণ হবেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিত জীবন সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, মিলবে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই তো বলি বন্ধু, এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থেকে যদি জীবনকে অনন্দে ভরিয়ে তোলার সুযোগ আসে, তাহলেই সেই চার্স হারানো যে বোকামি হবে, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই, কি তাই না বন্ধু!
আজ রাত ৭:২০ নাগাদ শেষ হতে চলেছে জন্মাষ্টমীর লগ্ন। এর ঠিক আগে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে শ্রী কৃষ্ণের পুজোর আয়োজন করতে হবে। প্রসঙ্গত, মনের কোন ইচ্ছাটি পূরণ করতে আপনি ইচ্ছুক, তার উপর নির্ভর করবে পুজোর বিধি। সেই নিয়ম মেনে যদি দেবের অরাধনা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন সেই স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগবে না। আসলে তান্ত্রিক অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে আজকের রাত বেজায় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় পরিবেশে এমন সব শক্তির আবির্ভাব ঘটে, যার প্রভাবে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে বিশেষ পুজোর আয়োজন করতে হবে, সেগুলি হল...
১. অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে:
আজ জন্মাষ্টমীর লগ্ন শেষ হওয়ার আগে স্নান সেরে পরিষ্কার জামা কাপড় পরে শ্রী কৃষ্ণের মন্দিরে গিয়ে এক মনে দেবের নাম নিতে হবে। সেই সঙ্গে সর্বশক্তিমানকে হলুদ ফুলের মালা পরিয়ে তার সামনে হলুদ কাপড়, হলুদ মিষ্টি, ফল এবং হলুদ ডাল নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলেই দেখবেন বড় লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যাও মিটবে চোখের পলকে। শুধু তাই নয়, ধার-দেনার বোঝ থেকেও মুক্তি মিলবে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আজ রাতে এইসব নিয়ম মেনে শ্রী কৃষ্ণের পুজো করলে মামলা-মোকদ্দমা সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যেতেও সময় লাগে না।
২. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়:
মনের মণিকোঠায় সজত্নে সাজিয়ে রাখা ছোট থেকে ছোটতর সব ইচ্ছা পূরণ হোক, এমনটা যদি চান, তাহলে শঙ্খে গঙ্গা জল নিয়ে সেই জল দেবের শরীরের ঢেলে অভিষেক করুন। সেই সঙ্গে এক মনে শ্রী কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করে দেবের অরাধনা করুন। দেখবেন মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে এই ভাবে প্রতি শনিবারে যদি দেবের অভিষক করতে পারা যায়, তাহলে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে।
৩. সাম্মান বৃদ্ধি পাক এমনটা যদি চান:
কর্মক্ষেত্রে থেকে সামাজিক জীবনে, সবক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধি পাক, এমনটা যদি চান, তাহলে আজ রাতে দেবের ছবি বা মূর্তির সামনে সাদা রঙের মিষ্টি, সেই সঙ্গে সাবুদানা, ভাত এবে মিছরি সহযোগে বানানো ক্ষীর পরিবেশ করলে বাসুদেব এতটাই প্রসন্ন হন যে দেবের আশীর্বাদে সমাজের সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত দেবের সামনে ক্ষীর নিবেদন করার সময় তাতে ১-২ টো তুলসি পাতা ফেলে দিতে ভুলবেন না যেমন!
৪. কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় আজ থেকে আগামী ২৭ দিন, দেবকে এতটা করে নারকেল এবং ১১ টি বাদাম নিবেদন করলে শ্রী কৃষ্ণ এতটাই প্রসন্ন হবেন যে কর্মক্ষেত্রে চটজলদি পদন্নতি লাভের স্বপ্ন পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, যারা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাদেরও নানাভাবে উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে। প্রসঙ্গত, এমনটাও অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই রীতি মেনে সর্বশক্তিমানের অরাধনা করলে যে কোনও কাজেই সফলতা লাভের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
৫. মনের মতো চাকরি মেলে:
শাস্ত্র মতে আজ রাতে দেবের পুজো করার পর পাঁচজন মহিলাকে সাদা মিষ্টি, ভোগ হিসেবে খাওয়ালে মনের মতো চাকরি পেতে যেমন সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কোনও সমস্যাও মিটে যাবে চোখের পলকে। প্রসঙ্গত, আগমী পাঁচটি শুক্রবার যদি একইভাবে পাঁচ জন মহিলাকে সাদা মিষ্টি খাওয়াতে পারেন, তাহলে কিন্তু আরও উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!
৬. পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে:
গৃহস্থে সদা সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকুক, এমনটা যদি চান, তাহলে একটি পান পাতায় শ্রী মন্ত্র লিখে দেবের সামনে রেখে পুজো করুন। পুজো শেষে সেই পান পাতাটি যেখানে টাকা রাখেন, সেখানে রেখে দিন। এমনটা করলে একদিকে যেমন নানাবিধ অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে, তেমনি পরিবারে কোনও ধরনের অশান্তি বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
৭. যে কোনও সমস্য়া মিটে যাবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আজ সন্ধ্যা সাতটার আগে দেবকে তুলসির মালা পরিয়ে যদি "ওম নামো ভগবতে বাসুদেবায় নমহ", এই মন্ত্রটি এক মনে পাঠ করা যায়, তাহলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও সমস্যার পাহাড় সেরে যেতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমবে। ফলে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি ফিরে আসবে। প্রসঙ্গত, আজ দেবের পুজো করার পর তুলসি তলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে যদি ১১ বার পরিক্রমা করতে পারেন, তাহলে কিন্তু আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।