Just In
রাতে কি ঠিক করে ঘুম হয় না? বন্ধু তাহলে এই মন্ত্রগুলি পাঠ করলে কিন্তু সুফল মিলতে পারে!
এই প্রবন্ধে এমন কিছু মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা কর হল, যা নিয়মিত শোয়ার সময় পাঠ করলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না।
পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারা যায় আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৩ শতাংশই "স্লিপ ডিপ্রাইভ"। অর্থাৎ রাত্রে ঠিক মতো ঘুম হয় না। আর যেমনটা আপনাদের জানা আছে যে ঠিক মতো যদি ৮ ঘন্টা ঘুম না হয়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে, তেমনি শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতাও হ্রাস পেতে শুরু করে। দুর্বল হয়ে পরে হার্টও। ফলে আয়ু কমে চোখে পরার মত। তাই বন্ধু এই বিষয়ে সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ!
প্রসঙ্গত, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং স্ট্রেসের কারণে যুবসমাজের সিংহভাগই ইনসমনিয়ার শিকার। তাই তো চিন্তাটা আরও বেশি। কারণ আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশেরই বয়স কম, আর তারা যদি এমন রোগে আক্রান্ত হয়ে পরে, তাহলে দেশের উন্নতি কতটা ব্যাহত হয়, সে বিষয়ে নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না!
এখন প্রশ্ন হল অনিদ্রার সমস্যাকে কীভাবে দূর করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্য নিতে পারেন। কিন্তু অন্য একটি উপায়ও আছে। কী সেই উপায়? এই প্রবন্ধে এমন কিছু মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা কর হল, যা নিয়মিত শোয়ার সময় পাঠ করলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বাড়তে থাকে যে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে মন্ত্রগুলি পাঠ করা যেতে পারে, সেগুলি হল...
১. বৈদিক মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে বিছানায় শোয়ার পর কয়েক বার জোড়ে জোড়ে শ্বাস নেওয়ার পর এক মনে এই মন্ত্রটি জপ করলে ঘুম আসতে সময় লাগে না। কারণ মন্ত্র পাঠ করার সময় আমাদের দেহের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। তাই তো বন্ধু দিনের পর দিন নানা কারণে যদি চোখের পাতা এক করতে না পারেন, তাহলে "নামাস্তাসায়া নামাস্তাসায়া নামাস্তাসায়া নামো নমহঃ", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
২. আদি মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি জপ করার সময় শ্রী রাম, শ্রী হনুমান অথবা ভীমের নাম নিলে শুধু অনিদ্রার সমস্যা দূর হয় না, সেই সঙ্গে ঘুমনোর সময় খারাপ কোনও স্বপ্ন আসার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্র বলে বাড়ির অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "রামাস্কান্দম হানুমান্তাম, ভেনাত্তিয়াম ভারিকোদারাম। শায়ানিয়াহা শারে নিত্যম, দুস্যায়াপাম তাস্যিয়া নশ্যাতি।"
৩. "স্লিপিং" মন্ত্র:
যারা দীর্ঘ দিন ধরে ইনসমনিয়ার সমস্যায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত ঘুমনোর আগে যদি এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার মিলতে পারে। শুধু তাই নয়, স্ট্রেস লেভেল কমাতেও এই মন্ত্রটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, গত এক দশকে যে যে রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার সিংহভাগের সঙ্গেই স্ট্রেস এবং ইনসমনিয়ার যোগ রয়েছে তাই এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করা কতটা জরুরি, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। মন্ত্রটি হল: "ওম আগাস্থি শাহিনা"।
৪. কুন্দলিনি যোগা মন্ত্র:
"সা তা না মা", এই শব্দগুলি চোখ বন্ধ করে এক মনে উচ্চারণ করলে দেখবেন নিমেষে ঘুম এসে যাবে। শুধু তাই নয়, এত সুন্দর ঘুম হবে যে সকাল উঠে মনে হবে নতুন জন্ম হল। আর একথা তো আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ৮ ঘন্টা সাউন্ড স্লিপ ঘুম হলে শরীর এতটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। শুধু তাই নয়, শরীরের কর্মক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, "সা" শব্দটির অর্থ হল অনন্ত। "তা" শব্দটির মানে হল জীবন, আর "মা" শব্দের অর্থ হল পুনর্জন্ম।
৫. মহা শিব মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ঘুমনোর আগে এক মনে "ওম নম শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করলে ঘুম আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে খারাপ স্বপ্ন আসার সম্ভাবনাও কমে। শুধু তাই নয়, শরীর এবং মন এত মাত্রায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে দেহ রোগমুক্ত হয়, সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটার কারণে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে উঠতে সময় লাগে না। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়।
৬. শান্তি মন্ত্র:
স্ট্রেস এবং দুশ্চিন্তার কারণে কি দিনের পর দিন ঠিক করে ঘুম হয় না? তাহলে বন্ধু নিয়মিত এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ শাস্ত্র মতে এই মন্ত্র বলে মনের সব ভয় দূর হয়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমতে থাকে। ফলে মন এত মাত্রায় শান্ত হয়ে যায় যে অনিদ্রার মতো সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না। এখানেই শেষ নয়, এই মন্ত্রটির প্রভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "হার হার মুকুন্দে"।
৭. ওম মন্ত্র:
ঘুমনোর আগে মনে মনে ওম উচ্চারণ করলে মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে মন এত শান্ত হয়ে যায় যে ঘুম আসতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ওম মন্ত্র বলে শরীরের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।