Just In
- 11 hrs ago পেটের মেদ কমাতে চান? দ্রুত চর্বি পোড়াতে এই বসার ভঙ্গি ব্যবহার করে দেখুন, ওজন কমবে
- 13 hrs ago মাছির উপদ্রবে নাজেহাল? জ্বালাতন থেকে বাঁচতে ঘরোয়া টোটকা
- 14 hrs ago দোল পূর্ণিমার পরই ভাগ্যবান ৩ রাশি, হুহু করে আসবে টাকা, ভাগ্য ফিরছে কাদের?
- 17 hrs ago পোস্ট হোলি চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে? এক নজরে রইল বিশেষ টিপস
জীবনের সব সমস্যা দূর হবে হনুমান মন্ত্র পাঠেই! কোন কোন মন্ত্র জপ করবেন? দেখুন
অঞ্জনি পুত্রের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়, এমন লোকের সংখ্যা যে নেহাতই কম, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! এমনকী যারা নিজেদের নাস্তিক বলে দাবি করে থাকেন, তারাও যে মারুথির গল্প শুনতে বেজায় পছন্দ করেন, সে বিষয়েও কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু একটি বিষয় রয়েছে, যে সম্পর্কে অনেকেই খোঁজ রাখেন না, তা হল হিন্দু ধর্মের উপর লেখা প্রাচীন কিছু বইয়ে এমন কিছু মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা পাঠ করা শুরু করলে নাকি হনুমানজি জাগ্রত হয়ে ওঠেন। ফলে নানাবিধ উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো বলি বন্ধু, জীবনের ক্যানভাসকে যদি খুশি এবং আনন্দের বাহারি রঙে রঙিয়ে তুলতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ পাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই লেখায় সেই সব শক্তিশালী হনুমান মন্ত্রগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলি পাঠ করা মাত্র জীবন বদলে যেতে দেখবেন সময় লাগবে না।
প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে মঙ্গলবার হল হনুমানজির আরাধনা করার দিন। এদিন যদি এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করতে পারেন, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হল, দেবের আশীর্বাদ লাভ করতে কী কী মন্ত্র পাঠ করতে হবে এবং এমনটা করলে কী কী উপকার মিলবে?
১. হনুমান মূলা মন্ত্র:
শাস্ত্রে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে এই মন্ত্রটি মঙ্গলবারের পাশাপাশি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে কর্মক্ষেত্র চরম সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হয়। সেই সঙ্গে মানসিক এবং শারীরিক শক্তিও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, মনের জোরও বাড়ে। এই কারণেই এই মন্ত্রটিকে "কার্য সিদ্ধি মন্ত্র" নামেও ডাকা হয়ে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, নানাবিধ সমস্যায় যাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, তারা এই মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"ওম হানুমাতে নমহ"।
২. হনুমান বিজ মন্ত্র:
"আম ইম ভ্রিম হনুমাতে শ্রী রাম দোত্যায় নমহ", এই মন্ত্রটিকে হনুমান বিজ মন্ত্র নামে ডাকা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, দেবের পুজো করার পাশাপাশি এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে হনুমানজি এতটাই প্রসন্ন হন যে দেবের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। আর হনুমানজির নেক দৃষ্টি যার উপর একবার পরে, তার জীবনে বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৩. হনুমান গায়েত্রী মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র মনের জোর তো বাড়েই, সেই সঙ্গে শারীরিক এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্লান্তি, স্ট্রেস এবং অবসাদের প্রকোপ কমতে শুরু করে। আর শরীর এবং মন যখন চাঙ্গা হয়ে ওঠে, তখন জীবনে পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরিয়ে এগিয়ে যেতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই তো বলি বন্ধু, জীবনে যখনই বিপদ পরবেন হনুমান গায়েত্রী মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"ওম অঞ্জনিয়া বিদমাহে বায়ুপুত্রায় ধিমাহে। তানো হানুমাত প্রাচোদায়াৎ।"
৪. অঞ্জনি মন্ত্র:
মনের মতো চাকরি পেতে চান? সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি ঘটুক, এমনও স্বপ্ন দেখেন? তাহলে এই শক্তিশালী হনুমান মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই মন্ত্রটি প্রতি মঙ্গলবার ১১ বার পাঠ করলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সামনে আসা যে কোনও সমস্যা যেমন দূর হয়, তেমনি প্রমোশন পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। ফলে কর্মজীবনে সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ছাত্র-ছাত্রীরা যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করেন, তাহলে নাকি পড়াশেনায় উন্নতির সম্ভাবনা বাড়ে। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় ভাল ফল হওয়ার চান্সও বৃদ্ধি পায়। মন্ত্রটি হল-"ওম শ্রী বজ্রধিয়া রামাভক্তায় বায়ুপুত্রায় নমস্তুতে।"
৫. মানোজাভাম মারুতাৎতুল্যিয়াভেগম মন্ত্র:
"মানোজাভাম মারুতাৎতুল্যিয়াভেগম জিতেন্দ্রিয়াম বুদ্ধিমাতাম বিরষ্টাম। ভাতাৎমাজাম বানারাইউথামুকিয়াম শ্রী রামাদুত্তাম শারানাম প্রপাদ্যিয়া", এই মন্ত্রটি প্রতি মঙ্গলবার পাঠ করার মধ্যে দিয়ে দেবের পুজো করতে হবে। এমনটা যদি করতে পারেন তাহলে হনুমানজি এবং শ্রী রামের আশীর্বাদে মনের যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হকে সময় লাগবে না, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
৬. ভক্ত হনুমান মন্ত্র:
শাস্ত্রানুসারে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কাটতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পরার আশঙ্কা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি কালো যাদু এবং খারাপ শক্তির কারণে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও দূর হয়। শুধু তাই নয়, ভক্তের উপর সারাক্ষণ হনুমানজির নজর থাকে। ফলে কোনও গাড্ডায় পরার আশঙ্কাও থাকে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"অঞ্জনি গর্ভা সামভূতা কাপি ইন্দ্র সসিভ উত্তম। রামা প্রিয় নামাস তুভিয়াম হানুমান রাক্সা সর্বদা।"
৭. হানুমান মন্ত্র:
"হং হনুমাতে রুদ্রাৎমাকিয়া হাং ফট", এই মন্ত্রটিকে সবথেকে শক্তিশালী হনুমান মন্ত্র হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্রই নাকি নানাবিধ সুফল মিলতে শুরু করে। বিশেষত মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি আনন্দে কাটাতে চান, তাহলে প্রতি মঙ্গলবার এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৮. হনুমান ভগবত মন্ত্র:
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে শরীর ভিতর এবং বাইরে থেকে এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় সব রোগই দূরে পালায়। সেই সঙ্গে ভূত-প্রেতের খপ্পরে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "ওম নমো ভগবতে অঞ্জনিয়া মহাবলায় সোয়াহা।"