Just In
বাকিদের মতো কামড়া-কামড়ির জীবন না কাটিয়ে যদি শান্তিতে থাকতে চান তাহলে এই মন্ত্রগুলি জপ করতে ভুলবেন
হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে মন্ত্রচ্চারণ করার সময় সৃষ্টি হওয়া শব্দ তরঙ্গ আমাদের ব্রেনের অন্দরে কিছু পরিবর্তন করতে শুরু করে, যার প্রভাবে মন এবং শরীরের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্
এই মন্ত্রগুলি নিয়মিত পাঠ করলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমবে নিমেষে, সেই সঙ্গে পদন্নতি এবং মাইনে বাড়ার পথও প্রশস্ত হবে। ফলে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি তো ফিরে আসবেই, সেই সঙ্গে সফলতার ছোঁয়ায় সুখ শান্তিতে ভরে উঠবে জীবন। এক কথায় এই মানব জীবনকে সব দিক থেকে সার্থক করে তুলতে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বলি, অনেক হল ভয়ে ভয়ে বাঁচা। এবার মাথা উঁচু করে জীবন কাটানোর সময় এসে গেছে বন্ধুরা।
হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে মন্ত্রচ্চারণ করার সময় সৃষ্টি হওয়া শব্দ তরঙ্গ আমাদের ব্রেনের অন্দরে কিছু পরিবর্তন করতে শুরু করে, যার প্রভাবে মন এবং শরীরের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, যে কোনও শৃঙ্গ জয় করতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মন্ত্র বলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাবও বাড়তে থাকে। ফলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্র হল একটি সংস্কৃত শব্দ, যা "মন" এবং "ত্রা", এই দুটি শব্দের যোগে সৃষ্টি হয়েছে। মন কথার অর্থ মাইন্ড, আর ত্রা কথার অর্থ হল মাধ্যম। অর্থাৎ যে মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে মনকে প্রভাবিত করা যায়, তাই হল মন্ত্র। তাই মনকে বাগে এনে স্ট্রেসকে যদি ডজন খানেক গোল দিতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, অনেক অনেক টাকার মালিক হতে এবং সুখে-শান্তিতে থাকতে যে যে মন্ত্রগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. লোকাষ্মিতা সুখিনু ভভান্তু:
প্রতিদিন প্রাণায়ম করার সময় যদি এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে আশেপাশে এত মাত্রায় শুভ শক্তির বিকাশ ঘটে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে রাগের মাত্রা কমতে শুরু করে এবং পরিবারের অন্দরে সুখ-শান্তির পরিবেশ বিগ্নিত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে কাটাতে হয়, তাহলে প্রতিদিন এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
২. ওম মন্ত্র:
প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫-২০ মিনিট যদি "ওম" উচ্চারণ করা যায়, তাহলে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তা দূর হয়। ফলে মন এবং শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আর এমনটা হলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, ওম মন্ত্রটি জপ করার সময় যে শব্দ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যার প্রভাবে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, মনোযোগ বাড়ে, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং আশেপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে সুখ-শান্তিতে ভরে ওঠে জীবন।
৩. ওম সার্বেশাম সাবাস্থির ভবতু:
শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি সারা দিন ধরে নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে মনের শক্তি এতটাই বেড়ে যায় যে স্ট্রেসের কারণে শরীর এবং মন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে খারাপ চিন্তা দূরে পালায়। ফলে চিন্তায় চিন্তায় ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "সার্বেশাম সাবাস্থির ভবতু, সার্বেশাম শান্তির ভবতু, সার্বশাম পুর্নাম ভবতু, সার্বেশম মাঙ্গালাম ভবতু।"
৪. ওম নমহ শিবায়:
শাস্ত্র মতে সারা দিন ধরে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মন শান্ত হয়, সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস বাড়তে শুরু করে। ফলে যে কোনও বাঁধা পেরতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয় এই মন্ত্র বলে স্ট্রেস ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে সুখ-শান্তিতে ভরে ওঠে জীবন। শুধু তাই নয়, ভগবান শিবের আশীর্বাদের জোড়ে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেতেও সময় লাগে না। এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি জপ করতে হবে, সেটি হল-"ওম নমঃ শিবায়।"
৫. ওম মানি পাদ্মে হাম:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় বৌদ্ধ ধর্মে জন্ম নেওয়া এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা তো বৃদ্ধি পায়ই, সেই সঙ্গে সুপ্ত গুণেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করে। ফলে কর্মক্ষেত্রে তো উন্নতি ঘটেই। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পরার আশঙ্কা যায় কমে।
৬. ওম গাম গনপাতায়ে নমহ:
এই মন্ত্রটি পাঠ করার মধ্যে দিয়ে নিয়মিত যদি ভগবান গণেশের আরধনা করতে পারেন, তাহলে জীবনে সুখ-শান্তির আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতি উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে মনের সব ইচ্ছাও পূরণ হয়। এই কারণেই তো এই মন্ত্রটিকে হিন্দু শাস্ত্রের অন্যতম শক্তিশালী মন্ত্র হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে।
৭. গায়েত্রী মন্ত্র:
মনকে নানাবিধ চিন্তার খপ্পর থেকে বাঁচাতে নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। সেই সঙ্গে আপনার আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যাবে যে দুঃখ দূরে পালাতে শুরু করবে, সেই সঙ্গে সফলতা অপনার রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এক মনে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়, শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের পথও প্রশস্থ হয়। তাই কর্মক্ষেত্রে যদি দ্রুত উন্নতি লাভ করতে চান, তাহলে আজ থেকেই এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। মন্ত্রটি হল- "ওম ভুর ভুবহ সোয়াহা, তাৎ সাভিতুর ভারেনইয়াম, ভার্গো দেবাসিয়া ধিমাহি, দিয়ো ইয়ো না প্রচোদায়াত।"