Just In
যে কাজই করুন না কেন, তাতে যদি সফলতার স্বাদ পেতে চান তাহলে এই মন্ত্রগুলির কোনওটি জপ করতে ভুলবেন না য
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন দেবাদিদেবের সামনে বসে "ওম নমঃ শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করলে যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়,
কথায় বলে ভাগ্য সহায় থাকলে তবেই জুটবে "মেওয়া"। না হলে তো সবই ফক্কা! তাই তো বলি বন্ধু সফলতাকে যদি রোজের সঙ্গী বানাতে হয়, তাহলে গুড লাকের জন্য অপেক্ষা না করে, ভাগ্যকে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে ফেলুন। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে হতে সময় লাগবে না। এখন প্রশ্ন হল, এই কাজটি করবেন কীভাবে?
গুড লাককে পকেটে পোরা যায় কীভাবে, এই প্রশ্নেরই তো উত্তর খোঁজা হয়েছে এই প্রবন্ধে। তাই তো বলি বন্ধু, চটজলদি যদি সফলতার স্বাদ পেতে চান, তাহলে ভুলেও এই লেখাটা পড়তে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, হাজার হাজার আগে জন্ম নেওয়া হিন্দু ধর্মের উপর লেখা হাজারো মেনুস্ক্রিপ্টে এমন কিছু মন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে, যা নিয়মিত এক মনে পাঠ করলে জীবন বদলে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
এখন প্রশ্ন হল কী কী মন্ত্রকে সাফল্যের মন্ত্র বা "মন্ত্র অব সাকসেস" হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে?
১. সরস্বতী মন্ত্র:
"শ্রীম হ্রিম সরস্বতীয় সোয়াহা, আম হ্রিম ইং হ্রিম সরস্বতীয় নামহ", এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে ধীরে ধীরে ব্রেন পাওয়ার বাড়তে শুরু করে, যার সঙ্গে বৃদ্ধি পায় স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধির ধারও। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হতে সময় লাগে না।
২. শিব মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন দেবাদিদেবের সামনে বসে "ওম নমঃ শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করলে যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করতেও সময় লাগে না।
৩. রাম মন্ত্র:
নতুন অফিসে জয়েনিং-এর সময় মনে মনে এই রাম মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে দেখবেন তার প্রভাবে নতুন জয়গায় বিজয় পতাকা স্থাপন করতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে মনের জোড় এতটাই বেড়ে যাবে যে চাকরি জীবন একেবারে জল-ভাত হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করলেও একই কাজ করবেন। দেখবেন এত মাত্রায় সাফল্য আসবে যে টাকা রাখার জায়গা করে উঠতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি জপ করতে হবে, সেটি হল- "পরবাসি নগর কিজাই সাব কাজে, হৃদয়ারাশি কসলপুর রাজা!" প্রসঙ্গত, চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময়ও যদি মনে মনে এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে ফল মেলে একেবারে হাতে-নাতে!
৪. খারাপ ভাগ্যকে দূরে ঠেলতে মন্ত্র:
খেয়াল করে দেখবেন অনেক সময়ই কোনও ভাল কাজ হতে হতে একেবারে শেষ মূহুর্তে এসে খারাপ হয়ে যায়। এমনটা কেন হয় জানা আছে? যখন খারাপ ভাগ্য পিছু নয়, তখনই সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু এমনটা যাতে আপনার সঙ্গে আর না ঘঠে, তা সুনিশ্চিত করতে একটা মন্ত্র জপ করা শুরু করুন। দেখবেন দারুন ফল পাবেন। কী মন্ত্র? "সাথেনা হৃষিকেশ তাভ প্রকৃতিয়া জগত পারাহুশায়েত আনুরাআনুরাজয়িতা রাকশানি ভিতানি দিশোদ্রাভান্তি সার্ভে নম শান্তি চা সিদ্ধসঙ্গ"। এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করলে দেখবেন ব্যাড লাকের প্রভাব কেটে যেতে শুরু করবে। ফলে সাফলচার স্বাদ পেতে সময় লাগবে না।
৫. শ্রী গণেশ মন্ত্র:
হিন্দু ধর্মে গণেশ ঠাকুরকে সমৃদ্ধির দেবতা হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই তো বন্ধু নিয়মিত সকালে উঠে স্নান সেরে এক মনে "ওম গাম গনপাতায়ে নমহঃ", এই মন্ত্রটি জপ করার মধ্যে দিয়ে গণেশ ঠাকুরের আরাধনা করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ তো প্রশস্ত হয়ই, সেই সঙ্গে কর্মজীবনে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত শ্রদ্ধা সহকারে গণেশ ঠাকুরের পুজো করলে জীবন পথে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা ছোট-বড় নানা সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না।
৬. সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্র:
জীবনে চলার পথে এমন অনেক সময় আসে, যখন মানসিক অবস্থা এমন হয় যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। এমন ক্ষেত্রে যদি এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে কিন্তু বন্ধু দারুন উপকার মিনতে পারে। কারণ শাস্ত্র মতে "জেহি বিধি হোই নাথ হিতো মোরা কারাহু সো ভেগি দাস মে তোরা," এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে মন এত মাত্রায় শান্ত হয়ে যায় যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কোনও সমস্যাই হয় না। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের সমস্যাও মিটে যায় চোখের পলকে।