Just In
প্রতি সোমবার এই জিনিসগুলি দিয়ে শিব ঠাকুরের আরাধনা করলে কত উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি দিয়ে যদি সর্বশক্তিমানের আরাধনা করা যায়, তাহলে এমন সব সুফল মিলতে শুরু করে, যে সম্পর্কে আপনি ধরণাও করে উঠতে পারবেন না।
সোমবার জল এবং দুধ দিয়ে দেবের অরাধনা করলে যে অনেক ফল পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে তো প্রায় সবারই জানা আছে। কিন্তু একথা জানেন কি প্রতি সোমবার, এই প্রবন্ধে আলোচিত জিনিসগুলি দিয়ে যদি সর্বশক্তিমানের আরাধনা করা যায়, তাহলে এমন সব সুফল মিলতে শুরু করে, যে সম্পর্কে আপনি ধরণাও করে উঠতে পারবেন না। তাই তো বলি বন্ধু জীবনকে যদি সুখ-শান্তিতে ভরিয়ে তুলতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
বেদ এবং শিব পুরাণ এমনটা দাবি করা হয়েছে যে শিব ঠাকুরের আরাধনা করার সময় যদি বিশেষ কিছু ধরনের শস্যদানা নিবেদন করা হয়, তাহলে নানা ধরনের উপকার মিলতে শুরু করে। যেমন ধরুন...
১. যব বা বার্লি:
একের পর এক খারাপ ঘটনার সম্মুখিন হতে হতে কি ক্লান্ত হয়ে পরেছেন বন্ধু? তাহলে যব বা বার্লি দিয়ে দেবের অরাধনা করা শুরু করুন, দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি সোমবার এই শস্যদানাটি দিয়ে দেবের অরাধনা করলে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তি দূরে পালাতে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে, তেমনি শুভ শক্তির প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসে। ফলে জীবন অনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধিরও ছোঁয়া লাগে।
২. জোয়ার:
শিব পুরাণ অনুসারে দেবের পুজো করার সময় যদি জোয়ার নিবেদন করা হয়, তাহলে একাধিক সুফল মেলে। যেমন ধরুন মনের মতো জীবনসঙ্গী পওয়ার স্বপ্ন তো পূরণ হয়ই, সেই সঙ্গে বৈবাবিক জীবনে কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বস করা হয় যে নিয়মিত জোয়ার দিয়ে সর্বশক্তিমানের পুজো করলে পাপের শাস্তি পাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা মেলে। তাই তো বলি বন্ধু যারা এতদিন বহু মানুষের ক্ষতি করে এসেছেন, তারা বাকি জীবনটা সুখ-শান্তিতে কাটাতে এই নিয়মটি মেনে দেবের অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
৩. চাল:
অল্প দিনে কি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান? তাহলে প্রতি সোমবার দেবের অরাধনা করার সময় অল্প পরিমাণে চাল নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন! আসলে শিব পুরাণ অনুসারে চাল দিয়ে সর্বশক্তিমানের পুজো করলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, হঠাৎ করে মাইনি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৪. গম:
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা বেশ কিছু বই অনুসারে প্রতি সোমবার গম নিবেদন করে শিব ঠাকুরের পুজো করলে বাবা-মা হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, যারা শত চেষ্টা করেও বাবা-মা হয়ে উঠতে পারছেন না, তারা গম নিবেদন করে দেবের অরাধনা করা শুরু করুন। দেখবেন সুফল মিলতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে শ্রাবণ মাস চলাকালীন প্রতি সোমবার এই নিয়মটি মেনে দেবাদিদেবের পুজো করলে বেশি তাড়াতাড়ি ফল মেলে। এবার নিশ্চয় বুঝেতে পেরেছেন বিবাহিত মাহিলাদের কেন প্রতি সোমবার গম দিয়ে দেবের পুজো করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৫. তিল বীজ:
নানাবিধ রোগের আক্রমণ সইতে সইতে কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু তিল বীজ দিয়ে দেবাদিদেবের আরাধনা শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই প্রকৃতিক উপাদানটি দেবের বেজায় পছন্দের। তাই তো পুজোর সময় তিল বীজ নিবেদন করলে ছোট-বড় যে কোনও ধরনের রোগ দূরে পালাতে সময় লাগে না। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, তীল বীজ নিবেদন করার সময় যদি মনে মনে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে পারেন, তাহলে তো কতাই নেই। কারণ সেক্ষেত্রে আরও বেশি মাত্রায় সুফল পাওয়া যায়।
৬. মুগ ডাল:
শিব পুরাণ অনুসারে দেবের অরাধনা করার সময় যদি সবুজ মুগ ডাল নিবেদন করা হয়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত নেগেটিভ এনার্জির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মুগ ডাল দিয়ে দেবের অরাধনা করলে জীবনে পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতেও সময় লাগে না।
কী বন্ধু এবার থেকে শিব ঠাকুরকে দুধ এবং জল নিবেদন করার পাশাপাশি এই শস্যদানাগুলি নিবেদন করবেন তো!