Just In
- 1 hr ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 17 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 18 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 21 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
Don't Miss
ক্লান্তি, দুঃখ এবং অবসাদের কারণে কি জীবন থেকে খুশি পালিয়েছে? তাহলে এই শিবমন্ত্রগুলি পাঠ করতেই হবে!
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে শ্রাবণ মাস হল সেই মাস যখন মহাদেবের ক্ষমতা একদম চরমে গিয়ে পৌঁছায়।
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে শ্রাবণ মাস হল সেই মাস যখন মহাদেবের ক্ষমতা একদম চরমে গিয়ে পৌঁছায়। তাই তো এই সময় যদি দেবাদিদেবকে প্রসন্ন করতে পারা যায়, তাহলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। বিশেষত জীবনে পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও দুঃখের পাহাড় সরে যায় চোখের পলকে। সেই সঙ্গে মনের জোর এতটা বৃদ্ধি পায় যে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন প্রতিটি দিন যে আনন্দে ভরে ওঠে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তবে এখানেই শেষ নয়, দেবকে খুশি করতে পারলে মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এতদূর পড়ার পর দেবের আশীর্বাদে কী কী সুফল মিলতে পারে, সে সম্পর্কে না হয় জানা গেল। কিন্তু এখন ভাবছেন নিশ্চয় শিব ঠাকুরকে প্রসন্ন করা যায় কীভাবে? কি তাই তো! তাহলে জেনে রাখুন বন্ধু এই প্রবন্ধে আলোচিত হতে চলা শক্তিশালী শিব মন্ত্রগুলি শ্রাবণ মাস চলাকালীন যদি নিয়মিত পাঠ করা যায়, তাহলে দেব তো প্রসন্ন হনই, সেই সঙ্গে গৃহস্থে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যেতেও সময় লাগে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও কমে। তাই তো বলি বন্ধু, কান্না কি তা যদি ভুলে যেতে চান, তাহলে এই লেখায় একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, সারা শ্রাবণ মাস জুড়ে যে যে মন্ত্রগুলি পাঠ করার প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলি হল...
১. পঞ্চকেশরি শিব মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে যে কোনও বাঁধা পেরতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে দুঃখ-কষ্টের প্রকোপও কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র দেহের অন্দরের শক্তি বৃদ্ধি পায় চোকে পরার মতো। ফলে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। আর এমনটা যখন হয়, তখন আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "ওম নমঃ শিবায়"। এই মন্ত্রটি প্রতিদিন মনে মনে ১০৮ বার জপ করতে হবে, তাহলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।
২. রুদ্র মন্ত্র:
মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হোক এমনটা যদি চান, তাহলে নিয়মিত শক্তিশালী শিব রুদ্র মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! "ওম নম ভগবতে রুদ্রায়", এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাস্ত্র আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গুজ লাকও রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে জীবনের ক্যানভাসটা অনন্দের রঙে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৩. শিব গায়েত্রী মন্ত্র:
চটজলদি চরম সফলতার স্বাদ যদি পেতে হয়, তাহলে প্রতি সোমবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে এক মনে শিব গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন সুফল পাবেই পাবেন! আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি সোমবার ১০৮ বার "ওম তাতপুরুশায় বিধমাহে বিদমাহে মহাদেবায় ধিমাহী তানো রুদ্রা প্রচোদায়াত", এই মন্ত্রটি পাঠ করলে কর্মক্ষেত্রে সম্মান বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়, সেই সঙ্গে পদন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো।
৪. শিব ধ্যান মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মন, শরীর এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ফলে মন খারাপ যেমন ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি শরীর এবং মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কোন রোগও ছুঁতে পারে না। ফলে সার্বিকভাবে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকালে উঠে শিব ধ্যান মন্ত্র জপ করলে দেখবেন সুফল মিলতে সময় লাগবে না। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন জেনে ফেলা যাক মন্ত্রটি সম্পর্কে। শিব ধ্যান মন্ত্রটি হল- "কারচর্চাক্রিতম ভাঁ কায়াজম কর্মাজাম ভা শ্রবণায়াজম ভা মানসাম ভা প্রদাম। ভিতাম ভিতাম ভা সার্ভ মেতাত কিশামভাবা জয় জয় করুনাবধা শ্রী মহাজেব সম্ভবা।।"
রুদ্রাক্ষের মালা:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে উপরে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করার সময় যদি হাতে রুদ্রাক্ষের মালা রাখা যায়, তাহলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। আসলে রুদ্রাক্ষ হল শিব ঠাকুরের বেজায় পছন্দের। তাই দেবের আশীর্বাদ পেতে ১০৮ টি রুদ্রাক্ষ রয়েছে, এমন মালা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
কী কী ফুল নিবেদন করতে হবে:
শিব ঠাকুরের সামনে বসে মন্ত্র জপ করার সময় দেবের সামনে বেল পাতা, জবা ফুল, ধুতরো ফুল এবং পদ্ম ফুল পরিবেশ করা যায়, তাহলে দেব বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে দ্রুত উপকার মেলে।