Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
বাড়িতে মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণ করবেন কী ভাবে? জানুন এটি শিশুর জন্য কতটা উপকারি
মায়ের দুধই যে শিশুর প্রাথমিক ও প্রধান খাদ্য এবং শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা করার জন্য প্রতিবছর এক থেকে সাত অগাস্ট পালিত হয় 'বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ'। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী, মায়ের দুধ নবজাতকের জন্য পুষ্টির এক দুর্দান্ত উৎস। এতে থাকা ফ্যাট, শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে এবং বিকাশে সহায়তা করে।
কিন্তু বর্তমান দিনে কর্মজীবনের ব্যস্ততার কারণে চাকুরিজীবী মায়েরা তাদের সন্তানকে সঠিক সময়ে এবং পরিমাণমতো মাতৃদুগ্ধ পান করাতে অপারক হন। কারণ, অফিসের সময় এবং কাজের চাপের কারণে নবজাতককে বেশ কয়েক ঘণ্টা ছেড়ে থাকতে হয় মায়েদের। আবার কর্মজীবী মায়েরা যখন মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দেন, তখন তাদের বাচ্চা দীর্ঘ সময় ধরে মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয়। যার কারণে শিশুর শরীরে মায়ের দুধের পুষ্টির অভাব থেকেই যায়। পাশাপাশি পেটে গ্যাস, বদহজম, ঘন ঘন পায়খানা, পেট ব্যথাসহ নানান অসুবিধা দেখা দেয় শিশুর। তাই, বর্তমান দিনে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই মাতৃদুগ্ধ বাড়িতে স্টোর করে রাখেন মায়েরা। তবে অনেকেই জানেন না মাতৃদুগ্ধ স্টোর করার পদ্ধতি। তাই আমাদের এই আর্টিকেল থেকে দেখে নিন কীভাবে মাতৃদুগ্ধ স্টোর করবেন।
কীভাবে ব্রেস্ট মিল্ক সংগ্রহ করবেন?
মায়েরা তাদের সন্তানের জন্য হাতের সাহায্যে বা ব্রেস্ট পাম্প মেশিনের সাহায্যে স্তন থেকে দুধ বের করে ফিডিং বোতলে সংরক্ষণ করে রাখেন। তবে ইলেকট্রিক বা ম্যানুয়াল ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। পাশাপাশি হাতের সাহায্যে কীভাবে স্তন থেকে দুধ সংরক্ষণ করবেন সেই পদ্ধতিও চিকিৎসকের থেকে জেনে তবেই করবেন। ব্রেস্ট মিল্ক সংগ্রহের সময় যদি স্তনে ব্যথা অনুভব করেন তবে তা করা থেকে বিরত থাকুন, নইলে আপনার স্তনের সংবেদনশীল টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে।
কোন ধরনের পাত্রে সংরক্ষণ করবেন?
মায়ের দুধ সংরক্ষণের ব্যাপারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকেই প্লাস্টিকের বোতলে দুধ সংরক্ষণ করে রাখি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে প্লাস্টিকের বোতল এড়িয়ে চলাই বাচ্চার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। বাচ্চার দুধ সংরক্ষণ করতে হলে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে -
১) বোতলটি অবশ্যই যেন ঢাকনাযুক্ত হয়।
২) কাঁচের বোতলটি গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
৩) যদি একান্তই প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করতে হয়, তবে অবশ্যই ফুড গ্রেড বোতল ব্যবহার করুন।
৪) বোতলে দুধ রাখার পর খেয়াল রাখবেন যাতে ঢাকনাটি ভাল করে বন্ধ থাকে।
কীভাবে বাড়িতে মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণ করবেন?
দুধ সংরক্ষণের বিষয়ে একটা সাধারণ বিষয় মনে রাখা অত্যন্ত জরুরী, সেটি হল - ফ্রিজারে দুধ দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা গেলেও দুধের গুণগতমান কিন্তু একদম ফ্রেশ দুধের মতো থাকে না। কারণ দুধটি বরফে পরিণত হওয়ার ফলে দুধের কিছু ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। তবে সংরক্ষণ তো করতেই হবে, তাই দেখে নিন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কী কী পদ্ধতি মেনে চলবেন।
১) ছোট ছোট বোতলে দুধ সংরক্ষণ করুন।
২) সংগৃহীত দুধগুলি ফ্রিজ এবং পরিবেশের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে পারেন।
৩) ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে ফ্রিজের একেবারে শেষ মাথায় দেওয়াল ঘেঁষে রাখুন। কারণ ফ্রিজের এই জায়গাটিতে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা থাকে এবং খুব সহজেই এখানকার তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় না।
৪) দুধগুলি ফ্রিজের এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে কাঁচা মাংস বা রান্না করা খাবার থাকবে না।
৫) বাচ্চাকে খাওয়ানোর আগে ফ্রিজ থেকে বার করে দুধ সাধারণ তাপমাত্রায় এনে রাখুন, তারপর খাওয়ান।
৬) বরফ হয়ে যাওয়া ঠান্ডা দুধ একবার গরম করার পর পুনরায় তা ফ্রিজে ঢোকাবেন না।
৭) দুধ গরম করার উপায় হিসেবে কখনোই চুলা বা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করবেন না। পরিবেশের সাধারণ তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রেখে দিলেই তা ধীরে ধীরে গলে যাবে অথবা হালকা গরম জলের উপরে কাঁচের-দূরের বোতলটি রেখে দিলে তা তরল হয়ে যাবে।
কোলোস্ট্রাম কী? এটি কীভাবে শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কত সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়?
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর তথ্য অনুযায়ী,
১) সদ্য পাম্প করে বের করা দুধ সাধারণ জায়গায় অর্থাৎ ৭৭ ডিগ্রী ফারেনহাইট অথবা এর থেকে ঠান্ডা স্থানে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে।
২) নর্মাল ফ্রিজের ঠান্ডায় ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে।
৩) ফ্রিজে জিরো ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ৬-১২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে।
৪) খাবার পর অবশিষ্ট দুধ সাধারণ তাপমাত্রায় দু'ঘণ্টার বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না, এই সময় পেরিয়ে গেলে দুধ ফেলে দিন।
Disclaimer : এই আর্টিকেলে দেওয়া সমস্ত তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।