Just In
- 12 hrs ago আপনার সুন্দর নখ ভেঙে গিয়েছে? ভাঙা নখ ঠিক করার কিছু ঘরোয়া টোটকা
- 14 hrs ago ধূমপান ছাড়তে চান, কিন্তু পারছেন না! মৃত্য়ুর হাত থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই উপায়গুলি
- 15 hrs ago উচ্চ কোলেস্টেরল দূর করতে এক কাপ লবঙ্গ চা যথেষ্ট, ভাবচ্ছেন বানাবেন কীভাবে?
- 18 hrs ago ৫০ বছর পর বিরল সূর্যগ্রহণ, কোথায়, কিভাবে দেখতে পাবেন? জানুন
কেন আপনার গর্ভাবস্থায় নারকেল খাওয়া উচিত
নারকেল যেভাবেই খান না কেন, নারকেলের জল, নারকেলের দুধ, নারকেলের তেল, পাকা নারকেল, প্রত্যেকটিই গর্ভাবস্থার জন্য খুবই উপকারী এবং দরকারি। নয় মাস গর্ভাবস্থার যেকোনো সময়েই নারকেল খাওয়া নিরাপদ।
নারকেলে অতিআবশ্যকীয় সমস্ত পুষ্টিগুণ থাকায় গর্ভাবস্থার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় , মা এবং শিশু উভয়েরই স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য। নারকেল তেলে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড বাচ্চার সুষম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
নারকেলে উপস্থিত লরিক অ্যাসিড মাতৃদুগ্ধ তৈরিতে সাহায্য করে এবং গর্ভাবস্থায় জয়েন্ট পেন বা গাঁটে ব্যথাও দূরে রাখে। নারকেলে উপস্থিত ভিটামিন ই-ও গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই জরুরি।
সুতরাং গর্ভাবস্থার যে কোনো পর্যায়েই একটি সুস্থ শিশু পেতে এবং গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত যে কোনো জটিলতা দূরে রাখতে নিয়মিত নারকেল খাওয়া উচিত।
মর্নিং সিকনেস দূরে রাখে
নারকেলের মধ্যে উপস্থিত নারকোল তেলে মাথা ঘোরা, গা গোলানো, বমিবমি ভাব এবং বমি দূরে রাখে। অ্যাসিডিটি এবং বুকজ্বালা সারায়। আপনার সকালবেলায় হয় নারকেল খাওয়া উচিত বিরক্তিকর মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। নারকোলের দুধ বা নারকোলের জলও খেতে পারেন।
স্ট্রেচ মার্ক বা পেটের চুলকানি দূর করে
গর্ভাবস্থায় পেটের উপর নিয়মিতভাবে নারকোল তেল লাগালে পেটে স্ট্রেচ মার্ক হয় না। নারকোল তেল আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বকে পুষ্টি দেয় এবং পেটের চুলকানি ভাব কমায়।
মাতৃদুগ্ধ তৈরি করে
গর্ভাবস্থায় রোজ নারকেল খেলে তা আপনার শরীরে আপনার শিশুর জন্য সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর মাতৃদুগ্ধ তৈরি করতে সাহায্য করবে। নারকোল তেলে লরিক অ্যাসিড থাকে যা আপনার ল্যাক্টেশন চলাকালীন স্তনদুগ্ধ তৈরির প্রধান সহায়ক।
রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে
গর্ভাবস্থায় রক্তের আয়তন বেড়ে জয়ায় প্রায় ৫০শতাংশ এবং তার ফলে পা এবং পায়ের পাতা ফুলে জয়ায়। রক্তচলাচল কম হলে পায়ে ব্যথা হয় এবং পা ফুলে জয়ায়। নারকোল খেলে রক্ত চলাচলের গতিবৃদ্ধি হয় এবং পা ব্যথা এবং পা ফোলা হয় না।
ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাব সংক্রমণ থেকে বাঁচায়
নারকোলের জল শরীরে প্রস্রাবের পরিমাণ এবং বেগ দুইই বাড়িয়ে দেয় , ফলে যেসব ব্যাক্টেরিয়া শরীরে প্রস্রাবের সংক্রমণ ঘটায়, তারাও প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এই সময় শুধু গোটা নারকোলই নয়, নিয়মিত নারকোলের জলও খাওয়া উচিত।
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা থেকে রক্ষা করে
যেসব হবু মা গর্ভাবস্থায় আয়রন-স্মৃদ্ধ খাবার খান না, তারা সাধারণভাবে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভোগেন, নিয়মিত ভাবে নারকেলের দুধ খেলে এই সমস্যা দূর হয়। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, এবং হবু মায়েরা তাঁদের আয়রনের প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন নারকেলের দুধ খেয়ে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সাহায্য করে
নিয়মিতভাবে নারকেল এবং নারকেলের জল খেলে গর্ভাবস্থায় কন্সটিপেশান বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না, কারণ নারকেলের জল ল্যাক্সাটিভ বা রেচক হিসাবে কাজ করে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিতভাবে নারকেল খাওয়ার প্রধান উপকারগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।