Just In
আমি কি মা হতে পারবো?
সারভিক্সে কোনও সমস্যা থাকলে বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।
মা হতে চান না, এমন মেয়ে খুঁজে পাওয়া সত্যিই খুব মুশকিল। কিন্তু বর্তমানে মা হওয়াটাও অনেকটা লটারির মতো হয়ে গেছে। ব্যস্ত জীবন, অনিয়মের কারণে সর্বনাশ হতে চলেছে আমাদের এই সাধের স্বপ্নের। অতীতে এক বা একাধিক, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো ততোধিক সন্তানের মা হওয়াও কোনও ব্যাপার ছিল না। তবে যত সময় এগচ্ছে, ততই নারীদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে এসেছে। এর জন্য শুধুমাত্র অনীহা নয়, অনেকাংশেই দায়ী নানারকম সমস্যাও। প্রসঙ্গত, নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে পুরুষদের মধ্যেও কমে আসছে শুক্রাণুর পরিমাণ। ফলে পিতা হওয়ার স্বপ্নেও বাঁধ সাধছে শরীর। কী কী সমস্যা মা হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, সেই নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন।
সারভিক্সের সমস্যা
মহিলাদের ক্ষেত্রে জরায়ু এবং যোনির মধ্যে একটি অংশ থাকে, যা সারভিক্স নামে পরিচিত। নারী পুরুষের মিলনের পরে শুক্রাণু সারভিক্সের মাধ্যমে জরায়ুর মধ্যে প্রবেশ করে। তাই সারভিক্সে কোনও সমস্যা থাকলে এই পদ্ধতিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
অম্লত্ব-ক্ষারত্বের ভারসাম্যহীনতা
সুস্থ ও স্বাভাবিক যোনি, ডিম্বাণু নিষিক্ত হতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে যোনির মাত্রাতিরিক্ত অম্লত্ব বা ক্ষারত্ব ডিম্বাণুকে নিষিক্ত হতে বাধা দেয়।
ক্ষত:
কোনও ক্ষত, সংক্রমণ, গর্ভনালীতে সমস্যা, ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডস, পলিপ এবং অন্যান্য নানা কারণেও সন্তান ধারণ করা মুশকিল হতে পারে। এক কথায় যে কোনও কারণে শুক্রাণু যদি ডিম্বাণুতে পৌছতে বাধা পায়, তাহলে মাতৃত্ব বিলম্বিত হয়। আবার ডিম্বাণু জরায়ুতে যাওয়ার সময় কোনও কারণে দেরি হলেও সন্তানধারণের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
পিসিওএস
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম যা, ডিম্ব স্ফোটনে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং গর্ভবতী হওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
সাধারণ কিছু সমস্যা
এছাড়াও খুব বেশী পরিমাণে মদ্যপান করা, অতিরিক্ত ওজন, অনিয়মত পিরিয়ডস প্রভৃতি সন্তান ধারণে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
বয়সজনিত সমস্যা
যারা ৩৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর মা হওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমান তালে বেড়ে চলে নানারকম শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও। প্রথমত, ডিম্বাণুর কার্যক্ষমতা কমে এবং দ্বিতীয়ত, ডিম্বাণুর সংখ্যাও কমতে থাকে। এমনকি জরায়ু থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের ক্ষমতাও দ্রুত হারে হ্রাস পায়।
অন্যান্য কারণ:
যে সকল নারীর দেহে প্রয়োজনীয় ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে, তাঁদেরও গর্ভ ধারণ করতে অসুবিধা হয়। শুধু তাই নয়, নানারকম যৌনরোগ যেমন, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া এবং তলপেটে প্রদাহ জনিত সমস্যা যদি শরীরে বাসা বাঁধে, তাহলেও গর্ভ ধারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়।