Just In
- 50 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 2 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 5 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 7 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
গর্ভাবস্থায় পা এবং গোড়ালি কেন ফুলে যায়? দেখুন এর থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে রক্ত এবং তরলের উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আর রক্ত এবং তরল পদার্থের এই অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণেই গর্ভাবস্থার সময় দেহের বিভিন্ন অংশ ফুলে ওঠে। প্রেগনেন্সির সময় একজন মহিলার শরীরে প্রায় ২৫ শতাংশ ওজন বাড়ে এই অতিরিক্ত তরলের কারণে। সেই জন্যই হাত, মুখ, পা এবং গোড়ালি ফোলা ফোলা দেখায়।
তরল জমার কারণে দেহের প্রভাবিত অংশ ফুলে যায়। সাধারণত গর্ভাবস্থায় এই শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় এডিমা বা ফুলে যাওয়া খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। এর ফলে পা, পায়ের পাতা এবং গোড়ালির জায়গাগুলিতে ফুলে যেতে লক্ষ্য করতে পারেন। সাধারণত এটি হয়ে থাকে গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক মাসে।
হরমোনের পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে, যা দেহে সোডিয়াম এবং তরলের মাত্রা বাড়ায়। ফলস্বরূপ, শরীরের অনেক অংশ ফুলে যায়।
জরায়ু বৃদ্ধি হওয়া
গর্ভাবস্থায় ক্রমবর্ধিত জরায়ু পেলভিক শিরা এবং ভেনা কাভাতে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে। এর ফলে পেলভিক-এ রক্ত প্রবাহের গতি বেশ ধীর হয়ে যায় এবং রক্ত শরীরের নীচের অংশে জড়ো হতে শুরু করে। জড়ো হওয়ার রক্ত টিস্যুতে উপস্থিত তরলের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং পায়ে ফোলাভাব ঘটায়।
প্রি এক্লাম্পশিয়া
প্রি এক্লাম্পশিয়ার কারণেও গর্ভবতী মহিলাদের হাত ও মুখে ফোলা হতে পারে। প্রি এক্লাম্পশিয়া এমন একটি দশা, যার ফলে গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেতে পারে। এর সাথে আবার দ্রুত ওজন বৃদ্ধি এবং প্রস্রাবে প্রোটিনের মত অন্যান্য কিছু উপসর্গও যুক্ত হতে পারে।
গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে এই খাবারগুলি খাওয়া অবশ্যই এড়িয়ে চলুন
পা এবং পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়
ক) যখন বসে থাকবেন সেই সময় পা দুটি মুড়ে বা আড়াআড়িভাবে ভাঁজ করে রাখবেন না। কিছুক্ষণ পরপর সেগুলিকে প্রসারিত করুন। পা ঝুলিয়ে রাখার পরিবর্তে তুলে রাখুন।
খ) দীর্ঘ সময় একভাবে একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে চলুন।
গ) সহজেই যাতে পায়ের পাতা প্রসারিত করতে পারেন এমন ধরনের আলগা জুতো পরুন।
ঘ) নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। হাঁটাচলা করা ও সাঁতার অনুশীলনও করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এইসব করুন।
ঙ) স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলুন। অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।