Just In
প্রেগন্য়ান্সি সম্পর্কে আজনা কিছু তথ্য়
প্রেগন্য়ান্সির সময় মায়েদের শরীরে এমন কিছু বদল আসে যে সম্পর্কে তাদের আগে থেকে জেনে নেওয়াটা খুব জরুরি। তাই অবশ্য়ই পড়ুন এই প্রবন্ধটি।
ভাবী মায়েরাই কেবল এই লেখাটি পড়বেন, এমন নয় কিন্তু! কারণ এমন কিছু আজানা বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হল, যা পড়লে যে কেউ অবাক হয়ে যাবেন।
একজন মহিলা যে মুহূর্তে জানতে পারেন সে গর্ভবতী, অমনি তার জীবন বদলে যেতে শুরু করে। করণ সেই সময় থেকে তার জীবনে একমাত্র একটা বিষয়ই গুরুত্ব পেতে শুরু করে, আর তা হল তার শিশু। শুধু কী তাই! কীভাবে নিজেকে ভালো রেখে বাচ্চাকে সুস্থ রাখা যায়, তাই নিয়ে শুরু হয়ে যায় মায়েদের দুঃশ্চিন্তা। তাই তো কখনও ডায়েটে পরিবর্তন এনে, তো কখনও শরীরচর্চা করে মায়েরা তাদের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যান বাচ্চাকে ভালো রাখার।
মায়েদের এই লড়াইয়ের কথা ভেবেই এই লেখাটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। তাই তো এখানে এমন কিছু তথ্য় দেওয়া হল যা ভাবী মায়েদের জন্য় খুবই দরকারি প্রমাণিত হতে পারে।
১:
প্রেগন্য়ান্সি যখন চার সপ্তাহে গিয়ে পৌঁছায়, তখন মায়ের পেটে থাকা বাচ্চা দিনে কম করে এক লিটার প্রস্রাব করে। শুধু কী তাই, সেই প্রস্রাব সে নিজে পান করেও ফেলে।
২:
এই সময় অনেক মায়েরই পায়ের মাপ বেড়ে যায়। আসলে এই সময় পা মারাত্মক ফুলে যাওয়ার কারণেই এমনটা হয়।
৩.
প্রেগন্য়ান্সির একেবারে প্রথম ধাপে জরায়ুর সাইজ থাকে একটা জামের মতো। আর সেটাই এক সময় বাড়তে বাড়তে একেবারে তরমুজের মাপে হয়ে যায়।
৪.
আপনাদের কি জানা আছে, কনসিভ করার মাত্রা ৪-১২ সপ্তাহের মধ্য়েই বাচ্চার আঙুল তৈরি হয়ে যায়।
৫.
মনে করা হয় প্রেগন্য়ান্সির একেবারে শেষ ধাপে প্লাসেন্টা যে পরিমাণ ইস্ট্রজেন হরমোন তৈরি করে, তা একজন স্বাভাবিক মহিলার শরীর প্রায় তিন বছর ধরে তৈরি করে থাকে।
৬.
গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের পেটে থাকাকীলন কিছু বাচ্চা আজব রকমের কাজকর্ম করে থাকে। যেমন কেউ পায়ের আঙুল চোষে তো, আবার কেউ হাসতে থাকে।
৭.
প্রেগন্য়ান্সির সময় হরমোনের ভারসাম্য় নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ১০ জনের মধ্য়ে প্রায় ৯ জন মায়েরই স্কিন টোন বদলে যেতে শুরু করে।
৮.
গর্ভবতী হওয়ার ৬ মাস পর থেকেই দেখা গেছে অনেক বাচ্চা তার মায়ের পেটে কাঁদছে। বাচ্চা কাঁদে, আর মা শুনতে পায় না, এমনটা কিভাবে হয়? আসলে সেই সময় বাচ্চা এত রকম টিস্য়ু দিয়ে ঘেরা থাকে যে তার কান্না মায়ের কান পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগই পায় না।