Just In
গর্ভাবস্থার পর স্ট্রেচ মার্ক কমাতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
স্ট্রেচ মার্ক কমাতে দারুন কাজে আসে এই পদ্ধতিটি। এই বিষয়ে আরও জানতে চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
মা হওয়া কম আনন্দের নয়। তবু বলতে দ্বিধা নেই যে গর্ভাবস্থার আগে ও পরে এমন কিছু শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়, যেগুলি মোটেও সুখকর নয়। যার অন্য়তম হল স্ট্রেচ মার্ক।
যেমনটা আমরা সকলেই জানি যে প্রেগন্য়ান্সির সময় নানা কারণে মায়ের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। আর সে করণেই দেখা দিতে শুরু করে হাজাও ছোট-বড় অসুবিধা।
ভাবুন তো একবার, গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে মায়ের পেটে বাচ্চা একেবারে ছোট অবস্থায় থাকে। তার পর যত দিন যায়, তত বাড়তে শুরু করে মায়ের পেট। তাই তো প্রেগন্য়ান্সির শেষ ধাপে এত বড় ফিটাসকে বহন করার জন্য় মায়ের শরীরও ফুলতে শুরু করে। এই সময় তার শরীর প্রায় ১০-১৫ কিলো ওজন গেইন করে।
একথা তো বুঝতে অসুবিধা হয় না যে ওজন বাড়ার করণে মায়ের শরীরে একাধিক স্ট্রেচ মার্ক জন্ম নিতে শুরু করে, যা দেখতে একেবারেই ভালো লাগে না।
বাচ্চা জন্মের পর তাকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হয়। এই কারণেও অনেক সময় মায়ের শরীরে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হয়। তবে চিন্তা নেই, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এমন কিছু চিকিৎসার বিষয়ে লেখা আছে যা অনুসরণ করলে এইসব স্ট্রেচ মার্ক একেবারেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
ওষুধ বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১.
অ্যালো
ভেরা
জুস-
২
চামচ
২.
হলুদ-
১
চামচ
৩.
রেড়ীর
তেল-
১
চামচ
প্রতিদিন এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি করলে স্ট্রেচ মার্ক অনেকটাই কমে যায়। তাই নতুন মায়েরা এক্ষুনি পড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটি আর নিস্তার পান শরীরের এইসব দাগ থেকে।
এক্ষেত্রে একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে, স্ট্রেচ মার্ক একেবারে চলে যায় না। তবে অনেকাংশেই হালকা হয়ে যায়।
অ্যালো ভেরা এবং রেড়ীর তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে টান টান রাখতে সাহায্য় করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রেট মার্ক কমতে শুরু করে।
অন্য়দিকে, হলুদেও রেয়েছে এমন কিছু এনজাইম যা ত্বকের কুঁচকে যাওয়া কমায়। ফলে যে মুহূর্তে চামড়া টানটান হতে শুরু করে। সেই সময় থেকেই কমতে শুরু করে শরীরের এই অনাবশ্য়ক দাগগুলি।
কীভাবে
বানাবেন
এই
ওষুধ:
১.
এটা
বাটিতে
সব
উপকরণ
পরিমাণ
মতো
দিন।
২.
উপকরণগুলি
এবার
ভালো
করে
মেশান।
৩.
এবার
মিশ্রনটি
অনেকটা
পরিমাণে
নিয়ে
শরীরে
যে
যে
অংশে
অবাঞ্চিত
দাগ
হয়েছে
সেখানে
সেখানে
লাগান।
৪.
২০
মিনিট
রেখে
মিশ্রনটি
ধুয়ে
ফেলুন।
৫.
তিন
মাস
যদি
নিয়মিত
এই
মিশ্রনটি
লাগানো
যায়,
তাহলে
দাগ
অনেকাংশেই
হালকা
হয়ে
যায়।