Just In
গর্ভজাত সন্তানের নড়াচড়া থেকে তার লিঙ্গ নির্ধারণ
বেশিরভাত দেশেই গর্ভজাত ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ণয় করা আইনি।কিন্ত ভারতবর্ষে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে শিশুকন্যার ভ্রুণে হ্ত্যা করা হয়, তাই এর নির্ধারণ বেআইনি।আমরাও এই কদর্য্য সামজিক প্রথার হাত থেকে দুরেই থাকতে চাই। কিন্ত যদি নির্মল আনন্দের জন্য সন্তানের লিঙ্গ জানতে চান, তাহলে আমরা সাহায্য করতে পারি।আপনি কি জানেন যে গর্ভে সন্তানের নড়াচড়া থেকে সন্তানের লিঙ্গ বোঝা যায়?
হ্যাঁ, আদপে আপনি ওর গতিবিধি থেকে বুঝতে পারেন যে ছেলে না মেয়ে।এখন বৈঞ্জানিক ভাবে এটা কতটা সঠিক,সেটা যথেষ্ট প্রশ্নোযোগ্য।কিন্ত এককালে যেমন দাইমারা যেমন গল্প করে বলে দিত সন্তান ছেলে না মেয়ে,এরমই এটাও হজম করে নিন এক চিমটে নুনের সাথে।এখানে গুছিয়ে দেওয়া হল কী করে গর্ভে সন্তানের নড়াচড়া থেকে বুঝবেন তার লিঙ্গ?
বাচ্চার নড়াচড়া যদি তাড়াতাড়ি শুরু হয়,তাহলে ছেলে
স্বভাবত ২০ সপ্তাহের পর বোঝা যায় সন্তানের নড়াচড়া।আবার অনেক মা মাত্র ১৬ সপ্তাহের পরই সন্তানের নড়াচড়া বুঝতে শুরু করেন। এই ক্ষেত্রে বলা হয়,বাচ্চাটা হয়ত ছেলে।
বাচ্চা যদি খুব ছটফটে হয়,তাহলে মেয়ে
মেয়ে বাচ্চাকে মনে করা হয় ছেলে বাচ্চার থেকে শক্তিশালী।এটা বৈঞ্জানিক মতেও প্রমাণিত।যেহেতু মেয়ে ভ্রুণের XX ক্রোমসোম থাকে,তাই ছেলের থেকে বেশি সুস্থিত।এর ফলে মেয়ে বাচ্চা গর্ভে অনেক বেশি নড়াচড়া করতে পারে।আধা ঘন্টায় তিনবার ভ্রুণের আন্দোলন স্বাভাবিক মানা হয়। এর বেশি নড়াচড়া করলে বুঝতে হবে,আপনার মনে হয় মেয়ে সন্তাণ হতে চলেছে।
ছেলে বাচ্চারা যখন নড়ে তখন বেশি লাথি মারে
গর্ভে থাকা বাচ্চার মারা লাথি ও নড়াচড়ার মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়।মেয়েরা পেটে বেশি নড়ে।আবার ছেলেরা তাদের ফুটবল খেলার দক্ষতা বোধহয় পেটে থাকতেই শুরু করে দেয় জন্মের আগেই।বলা হয় ছেলেরা বেশি লাথি মারে মেয়ে বাচ্চার থেকে।বাচ্চার এই গতিবিধি অনেকটা নির্ভর করে তার প্রতিস্থাপন ও নাড়ীর অবস্থানের ওপর।
তাই যতই মজা পান এইসব বাচ্চার লিঙ্গ জানার অদ্ভূত সব পদ্ধতি জেনে, এগুলোকেই আবার ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেবেন না!