Just In
- 13 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 14 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 18 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 19 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
৭টি ভুল যা আপনাকে গর্ভবতী হতে বাধা দেয়
সন্তানলাভের জন্য প্ল্যানিং শুরু করার এক বছর পর বা তারও বেশি সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ করতে না পারলে, অনেক দম্পতিই একটি সন্তান পাওয়ার জন্য মরীয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু এই মরীয়াভাব আরো মানসিক চাপ এবং হতাশাই ডেকে আনে এবং এই সব কিছুই সন্তানলাভের পথে আর বেশি অন্তরায় হয়ে ওঠে।
মনে রাখবেন, গর্ভধারণ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং প্রকৃতি নিজের সময় নিতেই পারে। যদি আপনার বাকি সব কিছু ঠিক থাকে, তবে একটু ধৈর্য ধরুন এবং কিছু ভুল যা আপনার গর্ভধারণে বাধা দিচ্ছে, সেই ভুলগুলি এড়িয়ে চলুন।
জানি, আপনার বন্ধুদের সন্তানদের দেখে এবং আপনি নিজেকে দলছুট ভেবে, আপনার পক্ষে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু না, নিজের চিন্তায় একটু বদল আনুন, আশাবাদি হোন, পজিটিভ চিন্তা করুন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ও মিনারেলস-সমৃদ্ধ খাবার খান।
স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন, আপনার সঙ্গীর সাথে সময় কাটানোটা উপভোগ করুন এবং সবসময় "বাচ্চা বাচ্চা" করে উতলা হবেন না। যেই উদ্বিগ্ন হওয়া বন্ধ করবেন, নিশ্চিতভাবেই আপনার প্রেগন্যান্সি টেস্টের আশাব্যঞ্জক ফল পাবেন। এখানে কিছু সাধারণ ভুলের কথা দেওয়া হল, যেগুলি কিন্তু আপনাকে সন্তানধারণে বাধা দিচ্ছে।
লেখাটি পড়ে আপনার অজান্তে করে চলা ভুলগুলোর সম্পরকে জেনে নিন, যেগুলি আপনাকে গর্ভধারণ করতে দিচ্ছে না।
নিজের ওভুলেশনের দিন না জানা
এটা জেনে রাখা খুবই জরুরি এবং অবশ্যই আপনার ওভুলেশন পিরিয়ডের অন্তত ৩দিন আগে এবং ৩দিন পর যৌনমিলন ঘটা উচিত। সেক্ষেত্রে আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা প্রায় ৩০শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। যদিও আপনার ওভুলেশনের একদম সঠিক দিন কোনটি এটা হিসাব করা বেশ শক্ত। কিন্তু নির্দিষ্ট দিন অন্তর অন্তর যৌনমিলন ঘটা উচিত কারণ ইউটেরাসের ভিতর একটি স্পারম প্রায় ৩ থেকে ৪দিন বেঁচে থাকতে পারে।
যৌনমিলনের সময় লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করা
যদি আপনি যৌনমিলনের সময় কোনোধরণের লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করেন, তাহলে সেটিও আপনার গর্ভধারণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। লুব্রিক্যান্টগুলির মধ্যে স্পারম নষ্ট করে দেওয়ার মত রাসায়নিক থাকে, যেমন ননোঅক্সিনল-৯। এই রাসায়নিকটি স্পারম নষ্ট করে দিলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও কমে যায়।
বয়স বিবেচনা না করা
বয়স বাড়ার সাথে সাথে একজন মহিলার গর্ভ ধারণ করার ক্ষমতা কমতে থাকে। সাধারণত ২৫বছর থেকে শুরু করে ২৮বছর বয়স পর্যন্ত ওভুলেশন এবং এগ কাউন্ট তুঙ্গে থাকে। আপনার বয়স ৩৫ বছর হলে, এগ কাউন্ট প্রায় ৩০শতাংশ কমে যায়। সুতরাং যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব, গর্ভধারণের চেষ্টা করা উচিত।
অতিরিক্ত যৌনমিলন
যদি আপনি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত সেক্সের জন্য জোরাজুরি করেন, সেই মানসিক চাপও কিন্তু ওনার স্পারম কাউন্ট কমিয়ে দিতে পারে। ওনাকে কোনো জোরাজুরি ছাড়াই নিজের থেকেই এগিয়ে আসতে দিন। এতে আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে, যেহেতু আপনার সঙ্গী খোলা মনে কোনো মানসিক চাপ ছাড়াই এগিয়ে এলে ওনার স্পারম কাউন্ট বেড়ে যাবে।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর যাতে নিয়মিতভাবে যৌনমিলন ঘটে, সেই দিকটাও খেয়াল রাখুন।
রাতারাতি গর্ভধারণ করার ভুল ধারণা
রাতারাতি গর্ভধারণ করতে পারবেন বা প্রথম শারীরিক মিলনেই গর্ভধারণ করতে পারবেন - এটি একটি ভুল ধারণা। এই যে আপনি এই আশায় থাকছেন যে আপনি খুব দ্রুত গর্ভবতী হবেন, তা কিন্তু মানসিক চাপ ডেকে এনে আপনার ওভুলেশনে বাধা দিতে পারে। ডাক্তাররা বলেন গর্ভবতী হতে সাধারণত এক বছর লেগে যেতে পারে; কিন্তু যদি তার থেকেও অনেক বেশি সময় লাগে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আপনার বেড়ে যাওয়া ওজন এবং মানসিক চাপ
গর্ভধারণের ক্ষেত্রে আপনার ওজনের কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত হয়, সেক্ষেত্রে হরমোনাল ব্যালেন্সের তারতম্য এবং ওবেসিটির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যার কারণে কিন্তু আপনার গর্ভ ধারণের সম্ভাবনা কমে যায়। সুতরাং, রোজ কিছুক্ষণ শারীরিক ব্যায়াম করুন, অথবা রোজ হাঁটতে যান আপনার ওজন আয়ত্ত্বে রেখে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস ও কিন্তু আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
আপনার বদভ্যাস
যদি আপনার ধূমপান বা মদ্যপানের মত বদভ্যাস থেকে থাকে (নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য), তাও কিন্তু আপনার গর্ভধারণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও জাংক খাবার খাওয়ার অভ্যাস, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস এবং টাটকা ফল ও শাকসব্জী না খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু গর্ভ ধারণ করায় বাধা হতে পারে।