Just In
- 2 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 18 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 19 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 22 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
Don't Miss
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে খান কাঁঠাল, জানুন এর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় নিজেকে এবং গর্ভস্থ সন্তানকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে ফল, শাকসবজি ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। এগুলি শিশুকে সঠিক পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি মায়ের শারীরিক দুর্বলতা দূর করতেও সাহায্য করে। এই সমস্ত ফল বা শাকসবজির মধ্যে একটি হল কাঁঠাল। তবে, বহু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কাঁঠাল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কিছু চিকিৎসকদের মতে, কাঁঠাল মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে কখনোই ক্ষতিকর হয় না। তাই তাঁরা মায়ের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই এই ফলটি খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
গ্রীষ্মকালীন এই ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর। চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কাঁঠাল সেবন, মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারি। তবে চলুন জেনে নিন গর্ভবতী মহিলাদের কাঁঠাল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
কী কী পুষ্টি উপাদান রয়েছে?
কাঁঠাল, ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার এবং অন্যান্য কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের একটি ভালো উৎস। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার-এর রিপোর্ট অনুযায়ী এক কাপ কাঁঠালে পুষ্টির পরিমাণ -
১৫৭ ক্যালোরি
২.৮৪ গ্রাম প্রোটিন
১.০৬ গ্রাম ফ্যাট
৩৮.৩৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
২.৫ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার
৩১.৪৮ গ্রাম শর্করা
৪৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম
৭৩৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম
২২.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি
গর্ভাবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে খান তরমুজ, দেখে নিন এর উপকারিতা
স্বাস্থ্য উপকারিতা
১) ইমিউনিটি বুস্টার
কাঁঠালে থাকা ভিটামিন-সি অন্তঃসত্ত্বাকালীন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অপরিসীম।
২) অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে
কাঁঠালে থাকা ম্যাগনেসিয়াম অস্টিওপোরোসিস-এর সমস্যা রোধে সহায়তা করে। এটি মা এবং বাচ্চা, উভয়ের হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৩) শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে
কাঁঠালে থাকা ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ শরীরে শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল সেবন শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৪) ভ্রূণের বিকাশে
কাঁঠাল ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, দস্তা, বিটা ও ক্যারোটিন-এর একটি ভালো উৎস, যা ভ্রূণের বিকাশে সাহায্য করে। এই সকল পুষ্টিকর পদার্থগুলি শিশুর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গঠনেও সহায়তা করে।
৫) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
গর্ভাবস্থায় রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি হওয়া মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে কাঁঠালে থাকা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপাদান গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৬) মানসিক চাপ হ্রাস করতে সাহায্য করে
গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁঠাল অত্যন্ত উপকারি। এই সময়ে মায়েরা মানসিক চাপে ভুগলে তা শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবার তালিকায় কাঁঠাল যোগ করতে পারেন এবং এর সাথে হালকা ধ্যান ও যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
৭) কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে
কাঁঠালে থাকা ডায়েটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করে হজম ক্ষমতাকে ঠিক রাখে।
কারা খাবেন না?
কাঁঠাল কখনোই অতিরিক্ত খাবেন না। কতটা পরিমাণ খাওয়া উচিত তা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করে তারপরেই খাবেন। ডায়াবেটিস এবং কাঁঠাল থেকে অ্যালার্জি হয় এমন মহিলাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য - এই আর্টিকেলটি কয়েকটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা। গর্ভাবস্থায় কোন কিছু করার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নেবেন। কোনও অবস্থাতেই নিজে থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।