Just In
গর্ভাবস্থায় ভুলেও এই খাবারগুলি খাবেন না, তাহলেই বিপদ!
গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মহিলাকেই চিকিত্সকরা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া দিয়ে থাকেন। তবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট ছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া এড়ানো উচিত। কারণ মা যা কিছু খায় তার সরাসরি প্রভাব তার সন্তানের উপর পড়ে, তাই কোনও কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে জানাব যে, গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবারগুলি একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এগুলি খেলে শরীরের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে!
জাঙ্ক ফুড
গর্ভবতী মহিলাদের বাইরের জাঙ্ক ফুড খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি এই জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে আপনাকে ঔষধ খেতে হবে, আর গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর জন্য সমস্ত ওষুধ একেবারেই ভাল নয়। তাই স্ট্রিট ফুড, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকাই ভাল।
অ্যালকোহল
মাঝেমধ্যে অ্যালকোহল সেবন করলে কোনও সমস্যা হয় না! তবে আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন করেন, তবে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধূমপান বা অ্যালকোহল কোনওটাই এই সময় নেওয়া উচিত না। অতিরিক্ত ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ এই সময় বাচ্চার ক্ষতি করে।
উচ্চ পারদযুক্ত মাছ
পারদ অত্যন্ত বিষাক্ত। গর্ভবতী মহিলাদের এক মাসে এক বা দুইবারের বেশি মাছ খাওয়া একদমই উচিত নয়। উচ্চ পারদযুক্ত মাছের মধ্যে হাঙর, সওয়ার্ডফিশ, টুনা, কিং ম্যাকেরেল এবং টাইল ফিশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কাঁচা স্প্রাউটস
স্প্রাউটস খুব স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তবে রান্না না করা স্প্রাউটস গর্ভবতী মহিলাদের পক্ষে ভাল নয়। কাঁচা স্প্রাউটস-এ সালমোনেলার মতো ব্যাকটিরিয়া থাকতে পারে। রান্না করার পরে এটা দূর হতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা রান্না করা হলে তবেই এটি খান।
গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে এই খাবারগুলি খাওয়া অবশ্যই এড়িয়ে চলুন
তৈলাক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন
গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্যের প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত। যতটা সম্ভব তৈলাক্ত এবং জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন, কারণ এতে উচ্চ পরিমাণে নুন এবং চিনি থাকে ও প্রচুর প্রিজারভেটিভ কেমিকেলও উপস্থিত থাকে যা গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই টাটকা খাবার খাওয়া উচিত এবং খাবারে যতটা সম্ভব ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ বাড়ানো উচিত।
ক্যাফেইন
অনেকের মধ্যেই চা বা কফি খাওয়ার প্রবণতা আছে। স্ট্রেস কমাতে অনেকে এক কাপ চা বা কফি বেছে নেন। চেষ্টা করুন এই প্রবণতা কমানোর বা এর থেকে দূরে থাকার। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে গেলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বা কম ওজনের শিশু হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।