Just In
- 48 min ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 2 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
- 4 hrs ago মেষ রাশিতে অস্ত যাবে বুধ, কাজে বাধা-অসাফল্য়, কোন কোন রাশির জন্য বিপদ?
- 20 hrs ago আপনার সুন্দর নখ ভেঙে গিয়েছে? ভাঙা নখ ঠিক করার কিছু ঘরোয়া টোটকা
যে খাবারগুলি গর্ভাবস্থাকালীন দেহ তাপ কমাতে সাহায্য করে
গর্ভধারণ করার পরে গর্ভবতী মহিলারা নানা ধরণের সমস্যার প্রতি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েন এবং একের পর এক এই সমস্যাগুলির থেকে পরিত্রাণ পাওয়াও খুবই জরুরী। ঘরোয়া প্রতিকারই সবথেকে ভাল এবং একমাত্র নিরাপদ সমাধাণ। গর্ববতী মহিলারা, বমিবমিভাব থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ভার, ব্যাথা ইত্যাদি নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন।
এছাড়াও, অনেক মহিলারাই দেহ তাপ অথবা হঠাৎ করে দেহ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। দেহের তাপমাত্রার এই বেড়ে যাওয়া ক্রমবর্ধমাণ ভ্রূণের জন্য নিরাপদ নয়, কারণ এটি গর্ভপাতের দিকেও ঠেলে নিয়ে যাতে পারে, যা একইসাথে মায়ের জন্যও বিপদ্দজনক।
তারজন্যই, ৩৬.৫ থেকে ৩৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মাঝামাঝি, একটা ভাল দেহ তাপ বজায় রাখাই শ্রেয়। যদি আপনার দেহের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, তবে নিচে দেওয়া এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলিই সেরা, কারণ এতে গর্ভস্থ শিশুর জন্য কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না।
গর্ভবস্থাকালীন দেহ তাপ বৃদ্ধির লক্ষণগুলি কি কি?
প্রথম লক্ষণটিই হল বুক ধড়ফড় করা, যা কিনা একটি সাধারণ ইঙ্গিত। শরীরের উপরের অংশে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার অনুভব হওয়া এমনই আরেকটি লক্ষণ যা গর্ভবতী মহিলাদের কখনোই উপেক্ষা করা উচিৎ না। অত্যাধিক ঘাম হওয়া, মুখ, গলা, বুকে লাল ছোপ দেখা যাওয়া, গর্ভাবস্থাকালীন দেহতাপ বেড়ে যাওয়ার অপর একটি লক্ষণ।
গর্ভাবস্থায় দেহতাপ বেড়ে যায় কেন?
এর সাম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে একটি হল, শারীরবৃত্তীয় হরমোনগুলির ওঠানামা করা। ইস্ট্রোজেনের লেভেলের কমে যাওয়া, গর্ভাবস্থায় স্ট্রেসের লেভেলকে বাড়িয়ে তোলে আর যার ফলে দেহ তাপ বেড়ে ওঠে।
এবং কিছুক্ষেত্রে, ডায়েট অনুসরণ করাও দেহ তাপ বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভ্রুণের আরো ক্ষতি হওয়া প্রতিরোধ করতে, এই ৯ মাসের পূর্ণ সময়কাল যাবৎ, গর্ভবতী মহিলা কি খাচ্ছেন, তার ওপর তাকে নজর রাখতে হবে।
ডাবের জলঃ
সপ্তাহে, তিনদিন কমপক্ষে তিন গ্লাস ডাবের জল পান করা উচিৎ। ডাবের জলে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা দেহকে আরাম দিতে ও ঠান্ডা করতে সাহায্য করে, আর এইভাবেই গর্ভাবস্থায় দেহতাপও কমায়।
মেথির বীজঃ
গর্ভাবস্থায় দেহের তাপ কমাতে, গর্ভবতী মহিলাকে প্রতিদিন প্রাতরাশের আগে মেথি ভেজানো জল পান করা উচিৎ। এই ঘরোয়া প্রতিকারটি বমিবমি ভাব দূর করতেও সাহায্য করে।
সবজিঃ
গর্ভাবস্থায়, গর্ভবতী মহিলার জন্য স্বাস্থ্যকর শাক-সবজি ক্ষাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শাক-সবজি ভ্রুণকে পরিপোষক তত্ব ও প্রোটিন যোগায়, যা ভ্রূণের বৃদ্ধি ঘটায় ও ভালভাবে শারীরিক গঠন হতে সাহায্য করে।
ফলঃ
গর্ভাবস্থায় দেহ তাপ কমাতে তরমুজ একটি সেরা খাবার। তরমুজে খুব ভাল পরিমাণে জল থাকে যা দেহকে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে। আরেকদিকে, তরমুজে উপস্থিত প্রাকৃতিক শর্করা, একজন গর্ভবতী মহিলাকে, ৯ মাস ধরে, তার জন্য অতি প্রয়োজনীয় এনার্জির সরবারহ করতে সক্ষম।
আমলকিঃ
গর্ভাবস্থায় দেহ তাপ কমাতে সাহায্যকারী সেরা খাবারগুলির মধ্যে ভারতীয় গুসবেরী বা আমলকি অন্যতম। কিন্তু, অত্যাধিক পরিমাণে এটি খাওয়া উচিৎ নয় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা সময়ের পূর্বেই প্রসব করিয়ে দেওয়ার সম্ভবনাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও, আমলকির রস গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই কার্যকারী।
জলঃ
গর্ভবতী হোন বা না হোন, পান করার জন্য এটি একটি সেরা তরল। জল, বহুলাংশেই দেহতাপকে কমাতে সাহায্য করে এবং এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। আরেকদিকে, গর্ভবতী মহিলাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অন্যান্য গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিৎ।