For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাবার

By Staff
|

গর্ভাবস্থা এমন একটি সময় যখন মহিলারা অস্বাভাবিক খাবারের ইচ্ছা আর না শেষ হওয়া ক্ষিদের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এখানে কিছু সেরা খাবার রইল, যা একজন গর্ভবতী মহিলার খাওয়া উচিৎ।

গর্ভবতী মহিলাদের বারবারই খিদে পেতে থাকে, কিন্তু সঠিক ধরণের খাবার খাওয়ায় অত্যাবশ্যক কারণ এটি শরীরের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং সাথেসাথে ক্রমবর্ধমান শিশুর স্বাস্থ্যকেও সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থাকে সকলেই উপভোগ করে, কিন্তু দুটি প্রাণকে একসাথে লালন করা মানে এই নয় যে আপনাকে দুটি মানুষের জন্য খাবার খেয়ে নিতে হবে।

এক দিনে, একজন অগর্ভবতী মহিলার তুলনায়, একজন গর্ভবতী মহিলার অতিরিক্ত প্রায় 300 ক্যালোরি প্রয়োজন হয়ে থাকে। একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি, সঠিক খাবার থেকেই পাওয়া যেতে পারে।

তাই, আমরা একজন গর্ভবতীর জন্য সেরা খাবারগুলির লিস্ট তৈরি করেছি। গর্ভবতী মহিলারা কি কি খেতে পারবেন, তর সম্পর্কে আপনি যদি আরো জানতে চান তবে নিচে এর সম্বন্ধে পড়ুন।

১. ডিম

১. ডিম

ডিম একটি বহুমুখী খাদ্য, যা মানুষের শরীরকে উচ্চ প্রোটিন, কম ক্যালোরি ও বিভিন্ন ধরণের ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের যোগান দেয়। বলা হয় যে, একজন গর্ভবতী মহিলাকে বেশি পরিমাণে ডিম খেতে হয়, কারণ এটি শিশুর মস্তিষ্কের ও সুস্থ দৃষ্টিশক্তির বিকাশে সাহায্য করে। যদিও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যেন, না রান্না করা বা কাঁচা ডিমের থকে দুরে থাকেন, কারণ এটি সাথাসাথে বমি করিয়ে দিতে পারে।

২. অ্যাভোকাডো

২. অ্যাভোকাডো

একজন গর্ভবতী মহিলা যে সব স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারে, তাঁর মধ্যে অ্যাভোকাডোও রয়েছে। অ্যাভোকাডোতে ফলিক অ্যাসিড রয়েছে যা শিশুর শারীরিক বিকাশকে সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এই ফলে যে পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, তা শিশুকে সুস্থ ইমিউন সিস্টেম গড়ে তুলতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অ্যাভোকাডো এই কারণেও ভাল, কারণ এটি গর্ভবতী মহিলাদের মরনিং সিকনেস (morning sickness) ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

৩. সৈন্ধব লবন

৩. সৈন্ধব লবন

অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন যারা গর্ভবতী মহিলাদের সৈন্ধব লবন বা সামুদ্রিক নুনের থেকে দুরে থাকতে বলেন, কারণ এটি একজন ব্যাক্তির রক্তচাপ বারিয়ে তোলে। কিন্তু একজন গর্ভবতী মহিলার সৈন্ধব লবন খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয় যেহেতু এটি ভ্রূণের বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। বলা হয়ে থাকে যে, সঠিক পরিমানে সৈন্ধব লবন খাওয়া, গর্ভবতী মহিলাদের পক্ষে খুবই উপকারী।

৪. পালং শাক

৪. পালং শাক

এই সবুজ শাকটি দেহের জন্য প্রয়োজনীয়, পরিপোষক পদার্থ, ভিটামিন, প্রোটিন ও সঠিক পরিমাণে ফাইবার-এ পরিপূর্ন। পালং শাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ও ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ সমস্যা, যেহেতু এই সময়ে বেশির ভাগ গর্ভবতী মহিলারাই এতে ভুগে থাকেন। প্রতিদিন এক বাটি পালং শাক খেলে, তা আপনাকে সুস্থ ও শক্তিশালী থাকতে সাহায্য করবে।

৫. বাদাম

৫. বাদাম

গর্ভাবতী অবস্থায় আপনার সবসময় খিদে পেতে থাকে। সারা দিন ধরে টুকটাক খেয়ে যেতে পারবেন, এমন একটি সেরা খাবার হল বাদাম। বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর ও সহজপাচ্য খাবার, যাতে অত্যাধিক মাত্রায় জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ও আরো অনেক উপাদান রয়েছে। বাদাম খেলে, তা শরীরে খনিজ পদার্থের অসন্তুলন হতে দেয় না ও শিশুর সার্বিক সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করে।

৬. গাজর

৬. গাজর

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভিটামিন-এ অপরিহার্য, কারণ এটি শিশুর জন্য ভাল ত্বক, চোখ, চুল এবং হাড় সুনিশ্চিত করে। সঠিক মাত্রায় ভিতামিন-এ একজন শিশুর সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। গর্ভাবস্থায় সেরা খাবারগুলির মধ্যে গাজর একটি। গাজর ভিটামিন-এ তে সমৃদ্ধ ও এটি আপনার অন্ত্রের ক্রিয়াকে সুস্থ-স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। অনেক মহিলাই এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগে থাকেন, আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তবে আপনার খাদ্যতালিকায় টাটকা গাজর যোগ করুন।

৭. আম

৭. আম

আম সুস্বাদু হওয়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুবই ভাল। আমে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি রয়েছে, যা ভ্রূণের বিকাশে সাহায্য করে ও একজন ব্যক্তির মধ্যে রক্তে সঞ্চালনের উন্নতি ঘটায়। আম পটাশিয়ামের একটি চমৎকার উৎস, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ও শরীরের স্ট্রেস কমায়।

৮. পপকর্ণ

৮. পপকর্ণ

আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন, যে গর্ভাবস্থার জন্য সেরা খাবারগুলির মধ্যে পপকর্ন অন্যতম? হ্যাঁ, এতে উপস্থিত বিশাল পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কারণে, গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য এটি একটি সেরা খাবার। পপকর্ণে, সেলেনিয়াম ও অনান্য কিছু প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানের সাথে সাথে ফাইবারও রয়েছে, যা শিশুর কঙ্কাল সম্বন্ধীয় গঠনের বিকাশে সাহায্য করে। যখনই আপনার খিদে পাবে আপনি কিছুটা করে পপকর্ন খেয়ে নিতে পারেন। প্রয়োজনে কৃত্রিম গন্ধযুক্ত পপকর্ন এড়িয়ে চলুন।

৯. চিকেন

৯. চিকেন

একটি ভ্রূণের বিকাশে যে পরিমান প্রোটিনের প্রয়োজন হয়ে থাকে তা সঠিক পরিমানেই চিকেনে উপস্থিত থাকে এবং তাই এই সময়ে চিকেন খাওয়া ভাল। চিকেনে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে যা ভ্রূণের বিকাশকে সুনিশ্চিত করে। তবে খেয়াল রাখবেন, সেই চিকেন যেন ক্ষতিকর স্বাদ-গন্ধ বিহীন হয় এবং অতিরিক্ত কষিয়ে রান্না করা চিকেন খাবেন না , কারণ এতে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া থাকে যা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল না।

১০. দই

১০. দই

অনান্য খাবারের তুলনায় দই সবসময়ই আলাদা ও অনন্য একটি উপকরণ। দই-এ ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-ডি রয়েছে, যা মস্তিষ্ক ও দেহের গঠনে প্রয়োজনীয়। ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-ডি, পাকস্থলীতে পরিপোষক পদার্থগুলির শোষণ উন্নত করতে সাহায্য করে। এক কাপ দই খেলে, তা আপনার ও আপনার শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় মিনারেল, প্রোটিন ও ভিটামিনের সঠিক পরিমানকে সুনিশ্চিত করে।

১১. মাছ

১১. মাছ

কিছু বিশেষজ্ঞরা বলেন যে শরীরের পক্ষে মাছ খাওয়া খুবই ক্ষতিকারক, আবার অপর কিছু বিশেষজ্ঞরা বলেন যে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মাছ খুবই উপকারী। মাছে মারকারি অর্থাৎ পারদ ও অনান্য কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার ও আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। যদিও স্যামন ও সার্ডিনের মতো মাছগুলিতে কম পরিমানে এই ক্ষতিকর উপাদানগুলি থাকায়, গর্ভবতী মহিলারা এই মাছগুলি খেতে পারেন। অপরিহার্য উপাদান ও ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মাছ খাওয়া উপকারী বলেই প্রমাণিত।

১২. এডমামে বা সয়াবিনের বীজ

১২. এডমামে বা সয়াবিনের বীজ

এডমামে বা সয়াবিনের বীজ, তার কার্যকারিতার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। এডমামে একধরণের জাপানিস খাবার যা অনেকটা ভারতে পাওয়া রান্না করা সোয়াবিনের বীজের মতো। এডমামে, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা শিশুর শরীর ও মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। যদিও দিনে কতোটা পরিমাণে এডমামে খাবেন তা নির্নয় করতে আপনাকে আপনার ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

১৩. ওটমিল

১৩. ওটমিল

ওটমিল, মিনারেল, কপার, আয়রন ও প্রোটিনে পূর্ণ। ওটমিলে ফাইবার রয়েছে, যা আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এবং ব্যাথা কমাবার জন্যও অত্যন্ত উপকারী। ওটমিল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী, কারণ ওটমিল বমি-বমি ভাব ও অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, যা নিয়ে গর্ভাবস্থায় মহিলারা হামেশাই ভুগে থাকেন, সেইগুলিকে কমিয়ে দেয়।

১৪. মুসুর জাতীয় ডাল

১৪. মুসুর জাতীয় ডাল

এই ছোট ছোট ডালগুলি ফোলেট-এ পূর্ণ থাকে, যা গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে গুণবর্ধক হিসাবে কাজ করে। ডালে উচ্চ মাত্রায় আইরন, ফাইবার ও জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা অনেকটা সময়ের জন্য আপনার পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এটা আপনাকে অস্বাভাবিক ক্ষিদেগুলোর থেকেও দুরে রাখে। ডাল আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল, যেহেতু এটি আপনার শিশুকে স্নায়বিক টিউবের (neural tube) ত্রুটির থেকে রক্ষা করে।

১৫. দুগ্ধজাত দ্রব্য

১৫. দুগ্ধজাত দ্রব্য

গর্ভাবস্থায় দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর। দুগ্ধজাত দ্রব্যে উচ্চ মাত্রায় ক্যালশিয়াম রয়েছে যা শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালশিয়াম ছাড়াও দুগ্ধজাত দ্রব্যে সঠিক মাত্রায় মিনারেল, ফাইবার, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি ইত্যাদি রয়েছে, যা কিনা একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরের জন্য অপরিহার্য।

English summary

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাবার। গর্ভবতী মহিলারা কি খেতে পারবেন। গর্ভবতী মহিলারা কি যেকোনো খাবারই খেতে পারবেন।

Pregnancy is a time when women suffer from unusual cravings and experience endless hunger problems. Here are some of the best foods that should be eaten by a pregnant woman.
X
Desktop Bottom Promotion