Just In
গর্ভাবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে বর্ষাকালে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন
আমরা সবাই জানি যে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে রোগ ভোগের সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে। এইসময় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, সর্দি-কাশি, জ্বর, মাথা ব্যাথা, পেট খারাপ একটা না একটা লেগেই থাকে। তাই, বর্ষাকাল একদিকে যেমন রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করে অন্যদিকে তেমন কষ্টকরও বটে। বর্ষার স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়াতে ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস জেগে ওঠে, পাশাপাশি পোকামাকড়ের প্রজননের সময়ও এটি। আর এই সমস্ত কারণেই সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এইসময় গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সামান্য অযত্নের কারণেও নানান সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হতে পারে। কারণ বর্ষার স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়াতে ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে, পাশাপাশি পোকামাকড়ের প্রজননের সময়ও এটি। আর এই সমস্ত কারণেই সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে, যা মা এবং শিশুর জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
আরও পড়ুন : গর্ভাবস্থা এবং করোনা ভাইরাস : গর্ভবতী মহিলা ও মায়েদের জন্য করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কিছু নির্দেশিকা
তাই, এইসময় গর্ভবতী মহিলাদের উচিত খাদ্য ও পানীয়ের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া। বাইরের কোনও কিছু খাওয়ার আগে তা বিশুদ্ধ কিনা সেদিকে নজর রাখা উচিত। এই মরসুমে, গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। বর্ষাকালে, খাওয়া এবং পান করার ক্ষেত্রে অসাবধানতা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। তাই, এখানে এমন কিছু টিপস্ দেওয়া হল, যা মেনে চললে এই বর্ষাকালে আপনি নিরাপদ থাকতে পারবেন।
ফিল্টারের জল পান করুন
পানীয় জলের ক্ষেত্রে যদি কোনও গাফিলতি হয়, তবে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বেশিরভাগ চিকিৎসকদের মতে, গর্ভবতী মহিলাদের উচিত বিশুদ্ধ জল পান করা। বর্ষাকালে দূষিত জল থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সর্বদা ফিল্টারযুক্ত জল পান করুন। গর্ভাবস্থায় ডিহাইড্রেশনের সমস্যাও খুব দেখা যায়। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
রাস্তার খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন
বর্ষাকালে গর্ভবতী মহিলাদের স্ট্রিট ফুড একদমই খাওয়া উচিত নয়। দূষিত স্ট্রিট ফুড থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই, গর্ভাবস্থায় যতটা সম্ভব রাস্তার খাবার থেকে দূরে থাকুন। এমনিতেই গর্ভাবস্থায় অনাক্রম্যতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তাই মহিলারা সহজেই সংক্রমণের শিকার হন। এইসময় তাজা ফল এবং বাড়িতে তৈরি তাজা খাবার খাওয়া উচিত।
ঘর পরিষ্কার রাখুন
প্রেগনেন্সির সময় মহিলাদের উচিত নিজের বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের দিকে খেয়াল রাখা। বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য ভাল মানের জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন। এই মরসুমে জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এই সময়ে, আপনি সহজেই যেকোনও সংক্রমণের শিকার হতে পারেন, যা আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে। তবে, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের সমস্ত কাজ খুব সাবধানে করা উচিত।
হাত ও পায়ের যত্ন নিন
বৃষ্টির নোংরা জল থেকে ইনফেকশেন হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই আপনার হাত ও পা পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। সমস্ত কাজ হাত দিয়েই করা হয়, তাই হাত পরিষ্কার থাকা খুব জরুরি। নোংরা হাত মুখে দেবেন না। বাইরে থেকে আসার পরে সর্বদা হাত, পা ধুয়ে নিন এবং বাইরে বেরোনোর সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার আপনার সাথে রাখুন। খালি পায়ে বাইরে বেরোবেন না।
ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
বর্ষার সময় আবহাওয়া স্যাঁতস্যাঁতে হওয়ার কারণে, বৃষ্টির পরে আর্দ্রতা বাড়তে শুরু করে। যার কারণে বেশি ঘাম হয়। গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। এজন্য ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরুন। সিন্থেটিক পোশাক পরলেও বেশি ঘাম হতে পারে, তাই সিন্থেটিক পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন।