Just In
- 44 min ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 2 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 3 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 20 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের মন ভালো রাখার উপাদান: এসেনশিয়াল অয়েল
এসেনশিয়াল তেলের মূল কাজ হল হবু মায়েদের এই শারীরিক ও মানসিক অবস্থার যথাযথ ট্রিটমেন্ট করা।
প্রেগন্যান্সির সময় একদিকে যেমন মা হওয়ার অপরিসীম আনন্দ, তেমনই অন্যদিকে শারীরিক ও মানসিক হাজারও সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় প্রতিটি মেয়েকেই। এই সময় মুডসুইংয়ের মত ঘটনা ঘটে প্রায়শই। এসেনশিয়াল তেলের মূল কাজ হল হবু মায়েদের এই শারীরিক ও মানসিক অবস্থার যথাযথ ট্রিটমেন্ট করা।
এই তেল তৈরি হয় প্রকৃতি থেকে সংগৃহীত ভেষজ থেকে ও সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিকমতে। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ভেষজ, পাতা, ফল, ফুল ইত্যাদি থেকে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় এসেনশিয়াল তেল তৈরি করা হয়। অ্যারোমাথেরাপিতেও এই তেল ব্যবহৃত হয়। এই তেল প্রেগন্যান্সির সময় কী কী উপকারে আসে ও কীভাবে ব্যবহার করা উচিত, তা নিয়ে এই প্রতিবেদন।
১। মাথা ধরা, বমিভাব থেকে মুক্তি
প্রেগন্যান্সির সময় সবচেয়ে পরিচিত সমস্যা হল ক্ষণে ক্ষণে মাথা ধরা ও সঙ্গে বমি বমি ভাব( বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম নসিয়া)। এই সময় শরীরের হরমোনাল ভারসাম্য ঠিক না থাকায় এই লক্ষণগুলো মাঝে মাঝেই প্রকাশ পায়। মাসাজ ল্যাভেন্ডার,আদা ও চন্দনকাঠের এসেনশিয়াল তেল এই সমস্যায় খুব কাজ দেয়।
২। বুকজ্বালা ও হজমের সমস্যা
প্রেগন্যান্সির সময় হজমের সমস্যায় বুকে জ্বালা হওয়া খুব স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে পিপারমিন্ট তেল খাওয়াদাওয়ার পর পেটের মাঝখানে মালিশ করলে বা মধুর সঙ্গে খেলে সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
৩। অনিদ্রা থেকে মুক্তি
প্রেগন্যান্সির সময় অনিদ্রা সব হবু মায়েদের আরেক সমস্যা। সব ভালোয় ভালোয় হবে কিনা, সন্তানের স্বাস্থ্য কেমন ফবে, নিজে সেসময় কতটা সুস্থ থাকবেন, এসবই ভাবিয়ে তোলে হবু মায়েদের, যার থেকে আসে অনিদ্রা। বার্গামট ও ইলাং ইলাং ভেষজ থেকে পাওয়া এসেনশিয়াল তেল মনকে এইসব চিন্তা থেকে মুক্তি দেয় ও ঘুম এনে দেয়। অ্যাংজাইটি থেকে মুক্তির জন্য বাসিল( basil) এর তেল সমান উপকারী। নেরোলি ( neroli) এসেনশিয়াল তেলও একইভাবে মুক্তি দেয় অ্যাংজাইটি থেকে।
৪। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি
ডিপ্রেশন প্রেগন্যান্সির সময় এক সাধারণ সমস্যা যা শুধু মানসিক কারণে হয় না, হতে পারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকেও। মার্তিল( Myrtle) এসেনশিয়াল তেল থাইরয়েড গ্ৰন্থির ক্ষরণকে বাড়িয়ে দেয় ও শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৫। জীবাণু থেকে মুক্তি
খাদ্যনালীতে থাকা যেকোনওরকম জীবাণু ও গ্যাস উৎপন্ন হলে তাকে শরীর থেকে বের করে দেয় পাতিলেবু( lemon) এর এসেনশিয়াল তেল। এইসময় পেটে অ্যাসিডিটির পরিমাণ অনেকের ক্ষেত্রেই বাড়তে থাকে। তা থেকে মুক্তির এই তেলের পাশাপাশি রয়েছে আদার এসেনশিয়াল তেল যা হজমের সমস্যা সহজেই মিটিয়ে দেয়।
৬। শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা থেকে মুক্তি
প্রেগন্যান্সির সময় কোমরে পিঠে ব্যথা ও নানা জয়েন্টে ব্যথা বেড়ে যায় মাঝে মাঝেই। ল্যাভেন্ডার ও আদার তেল মাসাজের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মালিশ করলে সহজেই এর থেকে মুক্তি মেলে।
৭। কখন ব্যবহার করবেন না এসেনশিয়াল তেল
অতীতে যদি কখনও মিসক্যারেজ হয়ে থাকে তবে এসেনশিয়াল তেল এড়িয়ে চলাই ভালো। কিছু এসেনশিয়াল তেল গর্ভপাত ঘটাযে পারে, তাই জেনে নেওয়া ভালো কোন ভেষজের তেল ব্যবহার করবেন। প্রথম ট্রাইমেষ্টার এসেনশিয়াল তেল কক্ষনও ব্যবহার করবেন না কারণ এই সময় ভ্রুণের বৃদ্ধি হয়, তাই তার শরীর যথেষ্ট সেনসিটিভ থাকে। এছাড়া আপনি যদি থাইরয়েডের পেশেন্ট হন বা আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়, এড়িয়ে চলুন এই তেল। রোদে বেরোনোর আগে এই তেল কখনোই নয়, এমনকি যদি অনেকদিন কৌটো বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে তবে তা ব্যবহার না করাই ভালো।
৮। কীভাবে ব্যবহার করবেন
এসেনশিয়াল তেল কিন্তু যথেষ্ট ঘন হয় তাই একেকবারে এক বা দুই ফোঁটাই যথেষ্ট ব্যবহারের জন্য। ব্যবহারের আগে একে পাতলা করে নিন।কিছু তেলে ফেনল বা অ্যালডিহাইডের মত যৌগও মেশানো হয়ে থাকে, তাই ব্যবহার পাতলা করে নেওয়া খুবই দরকার। ঘন তেল সরাসরি ত্বকে এটি প্রয়োগ না করাই ভালো, এতে ক্ষতি হতে পারে ত্বকের। একঘন্টার বেশি সময় ধরে এই তেল ব্যবহার করলে ভার্টিগো, নসিয়াজাতীয় সমস্যা গুলি দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিদিন এসেনশিয়াল তেল ব্যবহার করা উচিত নয়।