For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

গর্ভাবস্থায় ৮-টা খাবার বুদ্ধিমান সন্তান লাভের জন্য

By Riddhi Ghosh
|

এটা সব মায়েরই স্বপ্ন যে তার সন্তান যেন বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়।এটা অনেকটাই নির্ভর করে মায়ের খাবার অভ্যেসের ওপর।যদি কোন মা সঠিক মাত্রায় ঠিকঠাক সাপ্লিমেন্ট না খায়, ফলিক এ্যাসিড, ভিটামিন ডি, লোহা ইত্যাদি তাহলে কিছু কমতির সম্ভাবনা থাকে যার ফলে সন্তানের মধ্যেও আসে। এর ফলে হয়ত তার মানসিক অক্ষমতার সাথে ব্যবহারগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।গর্ভাবস্থায় মা কী খায় সেটা সন্তানের শারীরিক ও মানসিক গঠনে বড় অংশ পালন করে।আপনি এমন কিছু ।

খাবার খেতে পারেন যা আপনার গর্ভস্থিত সন্তানের ব্রেন পাওয়ার বা বুদ্ধি বাড়াতে পারে।আসলে এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় কেন, যবে থেকে সন্তান ধারণের কথা ভাববেন তখন থেকেই খাওয়া উচিত।এই সাপ্লিমেন্ট ও খাবারগুলো আপনার বাচ্চার আই.কিউ (ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট)বাড়াতে পারে।জন্মের পরেও আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খাইয়েও সন্তানের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারেন।

আপনার সন্তান যখন জন্ম গ্রহণ করে ওর মস্তিষ্কের মাপ যে কোন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ২৫% হয়।২ বছর বয়সে সেটা বেড়ে হয় ৭৫% এক স্বাভাবিক মস্তিষ্কের।প্রথম ২ বছর সন্তানের জন্য খুব দরকার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য।আপনি দেখে নিন কী খাবেন গর্ভাবস্থায় বুদ্ধিমান সন্তানের জন্য...

ফ্যাটি বা মেদযুক্ত মাছ

ফ্যাটি বা মেদযুক্ত মাছ

স্যালমন,টুনা,ম্যাকারেল ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ।এগুলো বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই জরুরী।একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলনামূলক ভাবে যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুবারের কম মাছ খায় তাদের সন্তানের আই.কিউ মাত্রা কম সেই সব মায়েদের থেকে যারা সপ্তাহে অন্তত দুবার মাছ খায়।

ডিম

ডিম

ডিম এ্যামিনো এ্যাসিড কোলিন সমৃদ্ধ,যাতে মস্তিষ্কের গঠন ভাল হয় ও স্মরণশক্তি উন্নতি হয়।গর্ভবতী মহিলাদের দিনে অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়া উচিত যার থেকে কোলিনের প্রয়োজনের অর্ধেক পাওয়া যায়।ডিমে থাকা প্রোটিন ও লোহা জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়। কম ওজনের সাথে কম বুদ্ধি বা আই.কিউ-র সাথে সম্পর্ক রাখা হয়।

দই

দই

আপনার শরীর প্রচুর পরিশ্রম করে আপনার সন্তানের স্নায়ু কোষগুলো গঠনের জন্য।এর জন্য আপনার বাড়তি কিছু প্রোটিন লাগবে।আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে যেমন দই ছাড়াও অন্য খাবার।দই-এ ক্যালসিয়াম আছে যেটা গর্ভাবস্থায় লাগে।

পালং শাক,মেদ ছাড়া মুরগির মাংস ও বিনস

পালং শাক,মেদ ছাড়া মুরগির মাংস ও বিনস

এগুলো লোহা সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার সন্তানকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য করে।এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খাওয়া উচিত।লোহা আপনার গর্ভস্থিত সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এছাড়াও ডাক্তারের পরামরশে আপনার লোহার সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত।

ব্লুবেরি

ব্লুবেরি

ব্লুবেরির মত ফল, আর্টিচোক (ডাটা গাছ),টমেটো ও লাল বিন্স এ্যান্টিওক্সিডেন্ট থাকে ও গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত।এই ফলগুলো আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের টিস্যুকে রক্ষা করে ও বিকাশে সাহায্য করে।

ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি

এটা বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুব দরকার।এটা গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েদের ভিটামিন মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক দুর্বল হয়।ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট ছাড়া সূর্য্যের আলো নিন।ডিম,চীজ্,বিফ,লিভার ইত্যাদি ভিটামিন ডি যোগায়।

আয়োডিন

আয়োডিন

আয়োডিনের অভাব,বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে সন্তানের আই.কিউ কম করে দিতে পারে।গর্ভাবস্থায় আয়োডিন যুক্ত নুন খান। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ,সামুক,ডিম,দই ইত্যাদি খান আয়োডিনের জন্য।

ফলিক এ্যাসিডযুক্ত জন্মপূর্ব সাপ্লিমেন্ট

ফলিক এ্যাসিডযুক্ত জন্মপূর্ব সাপ্লিমেন্ট

মস্তিষ্কের কোষ গঠনে ফলিক এ্যাসিড খুব প্রয়োজনীয়।একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে যেসব মহিলারা গর্ভবস্থায় সন্তান প্রসবের ৪ সপ্তাহ আগে ও ৮ সপ্তাহ পরে অবধি ফলিক এ্যাসিড নিয়ে থাকে তাদের ৪০ শতাংশ প্রবণতা কম হয় অটিস্টিক বাচ্চা জন্ম দেওয়ার।সবুজ শাক পাতা যেমন পালং শাক,ডাল ইত্যাদি ফলিক এ্যাসিড সরবরাহ করে।এছাড়াও ফলিক এ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি-১২-র সাথে খাওয়া উচিত।

English summary

গর্ভাবস্থায় খাবার বুদ্ধিমান সন্তান লাভের জন্য।কী করে গর্ভাবস্থায় বুদ্ধিমান সন্তান ধারণ করবেন।যে সব খাবার খেলে গর্ভাবস্থায় আপনার সন্তান বুদ্ধিমান হবে।কী খাবেন যাতে আপনার সব্তান বুদ্ধিমান হয়

It is a dream of every mother to have smart and intelligent babies. All this depends on a mother's diet. If a mother is not taking proper supplements such as folic acid, vitamin D, iron etc, then there are chances that their deficiency may cause the baby to be born mentally weak with behavioral problems also.
Story first published: Thursday, December 1, 2016, 11:37 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion