Just In
পরিবারে নতুন সদস্য আগমনের সখবর ঘোষনায় সৃজনশীল হবেন কীভাবে?
কবে আপনি বাবা বা মা হচ্ছেন, তাই নিয়ে ছোটখাটো জল্পনা চলতেই থাকে। কিন্তু কীভাবে জানাবেন এই খুশির খবর?
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতাও আছে। এই দায়বদ্ধতা থেকে আমাদেরকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হয়, তেমনি বেঁচে থাকার জন্যে লড়াই করতে হয়। জীবন জীবিকার তাগিদে আমরা কাজ করতে থাকি। একাকিত্ব কাটানোর জন্য পরিবারের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। ধরা বাঁধা রোজকার জীবনে একটু পরিবর্তন আসলে সেটা ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করি সবার সাথে। ভালো খাবার থেকে খুশির খবর, সবই আমরা পরিবারের সবার সাথে ভাগ করে নি। খুশির খবর যতটা অপ্রত্যাশিতভাবে আসে, ততোটাই ভালোলাগে। পড়াশুনায় থাকাকালীন সবাই চায় পরীক্ষার ফলাফলের খবর জানতে। পড়াশুনা শেষ হলে সবাই চায় চাকরি, তারপর বিয়ের খবর জানতে। এরপর কবে আপনি বাবা বা মা হচ্ছেন, তাই নিয়ে ছোটখাটো জল্পনা চলতেই থাকে। কিন্তু কীভাবে জানাবেন এই খুশির খবর? পরিবারের নতুন সদস্য আসা ঠিক যতটাই আনন্দের, ততোটাই নিজের ভালোলাগার। আপনার সন্তান হওয়ার আগের এই সময় অব্দি ভালো থাকার, সুস্থ থাকার পাশাপাশি আপনার ফোনের ইনবক্স যাতে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে ওঠে, তার জন্যে কি করবেন? কিভাবে পরিবার, পরিজন, আত্মীয়, সহকর্মী, বন্ধুদের জানাবেন এই খুশির খবর? চলুন জেনে নি ছোট্ট কিন্তু ভীষণ কার্যকরী কিছু টিপস।
১. কাছের লোকটাকে সবার আগে জানান:
আপনি মা হলে অবশ্যই টেস্ট করার সময় জানতে পারবেন। কিন্তু আপনার স্বামীকে কিভাবে জানাবেন? সরাসরি বলার থেকে যদি একটু খেলাচ্ছলে বলা যায়? কাজ থেকে ফিরলে স্বামীর সাথে ছোটবেলার মত word game খেলতে পারেন। যেখানে লুকিয়ে রাখলেন আপনার খুশির খবর। কোনো ছোট উপহার কিনে আনতে পারেন আপনার কাছের মানুষের জন্যে। প্যাক করা গিফটের মধ্যে রইলো ভাঁজ করা কাগজে লেখা খুশির খবর। তাকে নিয়ে বাইরে খেতে যেতে পারেন। রোজকার ব্যস্ত রুটিনের ফাঁকে একটা ছোট্ট ডিনারে জানালেন নতুন মানুষটার আসার খবর। অবশ্য এসব করার ফাঁকে নিজের ফোনের ক্যামেরা অন করে রাখতে ভুলবেন না। খবর জানার পরের মুহূর্তের ছবিও কিন্তু খবরের মতই সমান আনন্দের হবে।
২. প্রাতরাশ বা ডিনারের সময়:
কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে সবাই কম বেশি সকালের পরে বেরিয়ে যায়। সবাইকে একসাথে পাওয়ার সময় এই দুটো: ব্রেকফাস্ট আর ডিনার। কাছের মানুষকে নাহয় বলে দিলেন, বাড়ির বাকি সদস্যকে কিভাবে জানাবেন? মুখে বলার থেকে অন্য উদ্ভাবনী চিন্তা ভাবনা করতে পারেন। যেমন একটা বেশি চেয়ার রাখলেন ডাইনিং টেবিলে। কিংবা ছোট বাচ্চার খাওয়ার জন্যে ছোট প্লেট, গ্লাস। নিজে বলার থেকে পরিবারের সবাইকে বুঝে নিতে দিন নাহ। দেখুন সেই হঠাৎ করে পাওয়া আনন্দের সাড়া কেমন হয়!
৩. নিজের বাবা মা কে কিভাবে জানাবেন:
নতুন অতিথির আসার খবরে যতটা আনন্দ আপনি পাচ্ছেন, ততোটাই আনন্দ কিন্তু আপনার বাবা মায়ের। প্রথাগতভাবে না বলে যদি তাদের হাতে ধরিয়ে দেন ছোট বাচ্চাদের গল্পের বই, বা ছড়ার বই। পড়তে বললেন কারন নতুন অতিথি এলে এই দায়িত্ব তো তাদেরই। কিংবা ফ্যামিলি অ্যালবাম দেখতে চেয়ে নিলেন। আগে থেকে হাতে আঁকা কিছু ছবি রেখে দিলেন যাতে বোঝা যায় আপনি মা বা বাবা হতে চলেছেন। পাতা উল্টানোর শেষ পর্বে তাদের মুচকি হাসির উষ্ণতা তখনই বুঝতে পারবেন।
৪. বাকি দুনিয়াকে কিভাবে জানাবেন:
পরিবার পরিজন তো হলো। আত্মীয় স্বজনকে জানানোর কাজও শেষ হলো। বাকি দুনিয়াকে জানাবেন কিভাবে? আপনার বন্ধু, সহকর্মীরা কি এই খুশির খবর থেকে বঞ্চিত হবেন? কখনোই না। আর এর জন্যে সবথেকে সহজ মাধ্যম আপনার সোশাল মিডিয়া। ফেসবুকে পোস্ট করতে পারেন কোন পোস্টার বানিয়ে।কিংবা কোন টি শার্টে নিজে ফেব্রিক করে খুশির খবর লিখে পরতে পারেন। সেই ছবি দিন নিজের প্রোফাইলে। আগে কোন ছেলে বা মেয়ে থাকলে সে ভাই বা বোন হচ্ছে এভাবেও জানাতে পারেন অনলাইন দুনিয়াতে। ইনস্টাগ্রামে একই ভাবে জানাতে পারেন নতুন নতুন লেখা বা quote এর সাথে। যতটা সম্ভব আপনার উদ্ভাবনী শক্তিকে ডানা মেলতে দিন। নতুন নতুন ইডিয়ার সাথে আপনার খুশির খবরকে ভাগ করে নিন সবার সাথে।