Just In
ব্রেস্ট ফিডিং করেন এমন মায়েরা কি তাদের চুলে রং লাগাতে পারবেন?
ব্রেস্ট ফিডিং করেন এমন মায়েরা কি তাদের চুলে রং লাগাতে পারবেন?
প্রসবের পরে অনেক কিছুই বদলে যায়। ত্রিপেল এক্সেল জামাকাপড়ের জায়গা নেয় কেতা দুরন্ত সব আধুনিক পোশাকআসাক। আর এই সময় একটু স্টাইল করতে সব মহিলাই চায়। ৯ মাস সেই একই ধরনের জামাকাপড় পড়তে পড়তে সেগুলির উপর বিরক্তি জন্মানো মোটেই অস্বাভাবিক কিছু না।
জামাকাপড় নিয়ে কিছু বলার না থাকলেও কিছু বিষয় আছে ,যাখানে ভাবী মায়েদের একটু সাবধান হাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাচ্চার শরীরের উপরে। বিশেষত কোনও ধরনের স্কিন কেয়ার বা হেয়ার কেয়ার করার আগে ভাববেন। কারণ এই সময় মায়ের শরীরে কোনও কেমিকেলের ব্য়বহার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
৯ মাস একভাবে থাকার পর একটু সাজতেগুজতে কার না ভালো লাগে! তবে একটাই প্রশ্ন, ব্রেস্ট ফিডিং যখন চলছে তখন কি নতুন মায়েরা চুলে রং করতে পারবেন?
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে কিন্তু এই প্রবন্ধটি পড়তেই হবে। এই সময় চুলে কালার করা যেতেই পারে, তবে কতগুলি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাহলেই দেখবেন বাচ্চার আর কোনও ক্ষতি হবে না।
প্রথমেই যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, তা হল সেইসব চুলের রং-ই ব্য়বহার করা যাবে, যাতে কোনও ধরনের টক্সিক উপাদান নেই। তবু যেন একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, কোনও রং যতই ক্ষতিকর না হোক, তা কি সত্যিই পরোক্ষভাবে বাচ্চার উপর প্রভাব ফেলে না?
চুলের রং-এ থাকা নানা ধরনের কেমিকাল:
কালার করার আগে একবার জেনে নেবেন তাতে কী কী কেমিকাল ব্য়বহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সাধারণত বলে থাকেন চুলের কালারে থাকা কেমিকেল স্কাল্পের মধ্য়ে দিয়ে গিয়ে রক্তে মেশে না। তাই অকারণ চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তাই একথা বলতেই হয় যে নতুন মায়েরা নিশ্চিন্তে চুলে রং লাগাতেই পারেন।
রং লাগান চুলে, স্কাল্পে নয়:
যদি দেখেন কোনও হেয়ার কালার লাগানোর বিষয়ে আপনি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। তাহলে অন্য় কোম্পানির কালার ব্য়বহার করুন। আর যদি নতুন কোনও কালার ব্য়বহারের কখা ভেবে থাকেন, তাহলে তা চুলে লাগান। স্কাল্পে সেই রং যেন না লাগে, সেদিকে খেয়াল করবেন। প্রয়োজনে একজন হেয়ার স্টাইলিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন। তাতে আপনি অনেকটাই চিন্তা মুক্ত হবেন।
ভেজিটেবল কালার:
হেয়ার কালার বাচ্চার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে না তো? এই নিয়ে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে ভেজিটেবল কালার ব্য়বহার করুন। এতে একেবারেই কেমিকাল থাকে না, যা থাকে বাজার চলতি নানা চুলের রঙে। প্রসঙ্গত, হেনা এক্ষেত্রে ভালো অপশন হতে পারে। কারণ এটি চুলকে কালার প্রদান তো করেই, সেই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্য়ও ভালো রাখে।
বাড়িতেই হেয়ার ডাই করুন:
একটা পছন্দসই অর্গেনিক হেয়ার কালার কিনে বাড়িতে নিজে নিজেই সেটা করে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন কালার লাগানোর সময় ভালো একটা গ্লাভস পরবেন আর অনেকক্ষণ কালারটা চুলে লাগিয়ে রাখবেন না। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। যেমন- ভালোভাবে হাওয়া-বাতাস খেলে এমন ঘরে কালার করবেন এবং রং করার পর চুল ভালো করে ধুয়ে নেবেন। চুলে যাতে কোনও ভাবে রং লেগে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কিন্তু আপনাকে।
অস্থায়ী চুলের কালার ব্য়বহার করুন:
বাচ্চার স্বাস্থ্য়ের কথা ভেবে এই সময় কোনও ধরনের স্থায়ী রং ব্য়বহার না করাই ভালো। তাই খুব যদি হেয়ার কালার করতে ইচ্ছাই হয়, তাহলে অস্তায়ী কালার লাগান। তাতে আপনার সৌন্দর্য তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।