Just In
- 32 min ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 3 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 20 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 20 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
প্রেগন্য়ান্সির সময়কার শারীরিক পরিবর্তন
গর্ভবতী হলেই মায়েদের শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে। কী সেই বদল? সে সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই মায়ের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। কারণটা কেন জানেন? মা যাতে ফিটাসকে ঠিক মতো বহন করতে পারেন তার জন্য়ই শরীরে এই পরিবর্তনগুলি আসাটা জরুরি হয়ে পড়ে। কিছু পরিবর্তন চোখে দেখা গেলেও বাকিটা হয় শরীরের মধ্য়ে, যা কেবল একজন মা-ই বুঝতে পারেন।
শরীর এক আজব যন্ত্র, যার গঠন এবং কার্যপ্রণালী বাস্তবিকই সবাইকে অবাক করে। ৯ মাস প্রেগন্য়ান্ট থাকাকালীন শরীর ধীরে ধীরে মায়ের দেহকে তৈরি করে আসন্ন লড়াইয়ের জন্য় এবং অবশ্য়ই শিশুকে ঠিক মতো এই পৃথিবীতে আনার জন্য়। এই সময় ভাবী মায়ের শরীরে কেমন বদল আসে, চলুন সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
রেসপিরেটরি সিস্টেমে বদল আসে:
ফিটাসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে মায়ের রেসপিরেটরি রেট অনেক বেড়ে যায়। সেই কারণই তো প্রেগন্য়ান্সির সময় মাঝে মাঝেই মায়েদের শ্বাস কষ্ট হয়।
ইউরিনারি সিস্টেমে পরিবর্তন আসে:
ইউটেরাস বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্লাডারে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। সেই সঙ্গে শরীর থেকে অতিরিক্ত ময়লা বের করতে কিডনিকেও অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় এই সময়। যে কারণে ভাবী মায়েদের বারংবার প্রস্রাবের বেগ আসে।
কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমও কিছু বদল আসে:
ফিটাসের আয়তন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের হার্ট রেট বাড়ার একটা আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের পর থেকে মায়ের রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো ঘটনাও অনেক সময় ঘটে থাকে।
অ্যাবডোমেনে পরিবর্তন আসে:
মায়ের পেট বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সময় অ্যাবডোমেনের দুপাশে এবং পিঠে যন্ত্রণা হতে পারে। আসলে এত ভারি পেটকে ধরে রাখার জন্য় এই সময় শরীরের বেশ কিছু পেশি তার অবস্থানের পরিবর্তন করার কারণেই পিঠে যন্ত্রণা হয়।
এন্ডোক্রাইন সিস্টেমে বদল আসে:
হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই সময় মায়েদের মেটাবলিক রেট খুব বেড়ে যায়।
গ্য়াস্ট্রোইন্টেস্টানাল সিস্টেমে পরিবর্তন আসে:
ইউটেরাস স্ফীত হওয়ার কারণে ভিসারেল অর্গানগুলি নিজের জায়গায় থাকতে পারে না। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বেড়ে যায়। এই সময় অনেক মা কনস্টিপেশনের মতো অসুবিধাতেও আক্রান্ত হন।
ব্রেস্টে বদল আসে:
এই সময় শরীরে প্রোজেস্টরন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্রেস্টের প্রকৃতিতে একটু পরিবর্তন আসে। সেই সঙ্গে প্রসবের সময় যত এগিয়ে আসে, তত ব্রেস্টর আয়তনও বাড়ে। এমনটা কেন হয় জানেন, শরীরকে ব্রেস্ট ফিডিং-এর জন্য় তৈরি করতেই এই বদলটা আসে।
আরও কিছু পরিবর্তন:
সেলাইয়ের দাগ আসবে, সেই সঙ্গে কিছু হরমোনের কারণে চুল এবং নখ বেড়ে যাবে, পা ফুলবে এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে। এইভাবে প্রেগন্য়ান্সির সময় শরীরে নানা বদল আসতে শুরু করবে ভাবী মায়েদের।