For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

গর্ভবতী মহিলারা পায়ে রিং পরলে কত উপকার পেতে পারেন জানেন?

প্রাচীন কাল থেকে আমাদের দেশে এমন কিছু নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, যা আপাত দৃষ্টিতে ভিত্তিহীন মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু সেগুলি বেজায় কার্যকর! যেমন ভাবী মায়েদের পায়ে রিং পরার প্রথাটার কথাই ধরুন না!

By Nayan
|

প্রাচীন কাল থেকে আমাদের দেশে এমন কিছু নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, যা আপাত দৃষ্টিতে ভিত্তিহীন মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু সেগুলি বেজায় কার্যকর! যেমন ভাবী মায়েদের পায়ে রিং পরার প্রথাটার কথাই ধরুন না! হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে গর্ভবতী মহিলারা পায়ে রিং পরালে মা এবং বাচ্চার দারুন উপকার হয়। সেই সঙ্গে প্রসবের সময় কোনও ধরনের জটিলকা হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তবে এখানেই শেষ নয়, প্রাচীন এই প্রথাটি মেনে চললে মেলে আরও অনেক উপাকার। যেমন ধরুন...

১. মন শান্ত থাকে:

১. মন শান্ত থাকে:

প্রেগন্যান্সির সময় মায়ের শরীরের অন্দরে এত মাত্রায় পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে স্ট্রেস লেভেলও খুব বেড়ে যায়। ফলে নানা ধরনের জটিলতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো এই সময় পায়ে আংটি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনও শান্ত হয়। ফলে ধীরে ধীরে শরীর, ভিতর এবং বাইরে থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, পায়ে আংটি পরলে আরও কিছু উপকার মেলে। যেমন ব্লাড প্রসোর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে প্রসবকালে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

২. সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়:

২. সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়:

পায়ে আংটি পরলে নির্দিষ্ট একটি আঙুলে চাপ পরতে শুরু করে। যার প্রভাবে ইউটেরাসে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। এমনটা হওয়ার কারণে একদিকে যেমন বাচ্চার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, তেমনি মায়ের সঙ্গে বাচ্চার সম্পর্কও আরও গভীর হতে শুরু করে। যার সুফল বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর পাওয়া যায়। আসলে বাচ্চার সঙ্গে তার মায়ের সম্পর্ক যত গভীর হয়, তত বাচ্চার বেড়ে ওঠার পথে কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৩. আকুপ্রেসারের সুফল মেলে:

৩. আকুপ্রেসারের সুফল মেলে:

একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে আমাদের শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে আকুপ্রেসারের ভূমিকাকে কোনওভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তাই তো পায়ে আংটি পরার প্রয়োজন আরও বৃদ্ধি পয়েছে। কারণ এমনটা করলে পায়ের বিশেষ কিছু অংশে চাপ পরতে শুরু করে। যার প্রভাবে বাচ্চার স্বাস্থ্যের মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ভাবী মাও নানাবিধ উপকার পেয়ে থাকেন। ফলে সময়ের আগে ডেলিভারি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি প্রাসবকালীন অন্যান্য সব সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৪. পজেটিভ এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

৪. পজেটিভ এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

স্পিরিচুয়ালিটির উপর লেখা যে কোনও বইয়ের দিকে নজর ফেরালেই জানতে পারবেন প্রায় প্রতিটি বইয়েই উল্লেখ রয়েছে আমাদের শরীর আদৌ রোগমুক্ত থাকবে কিনা তা অনেকাংশে নির্ভর করে আমরা কতটা পজেটিভ ভাবছি তার উপর। তাই তো ভাবী মায়েদের এমন বিশেষ সময়ে পায়ে অংটি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে মন এবং মস্তিষ্ক পজেটিভ শক্তিতে ভরে ওঠে। ফলে মায়ের শরীরের উপর কোনও খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা হ্রাস পায়। আর মা সুস্থ থাকলে স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চারও কোনও ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৫. মানসিক শান্তি বজায় থাকে:

৫. মানসিক শান্তি বজায় থাকে:

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে প্রেগন্যান্সির সময় ভাবী মা যত আনন্দে থাকবেন, যত শান্ত থাকবেন, তত তার এবং বাচ্চার শারীরিক উন্নতি ঘটবে। আর একথা প্রামাণিত হয়ে গেছে যে রুপা অথবা লোহার রিং পরলে মাটির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। যার প্রভাবে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে কোনও ধরনের শারীরিক জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। যার সুফল মা এবং বাচ্চা উভয়ই ভোগ করে থাকেন।

৬. ইউটেরাসের ভারসাম্য ঠিক থাকে:

৬. ইউটেরাসের ভারসাম্য ঠিক থাকে:

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে মায়ের শরীরের অন্দরে এনার্জির ভারসাম্য যত ঠিক থাকবে, তত মা এবং বাচ্চার শারীরিক উন্নতি ঘটবে। এই কারণেই তো এই সময় পায়ে আংটি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে দেহের অন্দরে এনার্জির ব্যালেন্স ঠিক থাকে। ফলে প্রেগন্যান্সি সম্পর্কিত কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৭. হরমোনাল ইমব্যালেন্স হওয়ার আশঙ্কা কমে:

৭. হরমোনাল ইমব্যালেন্স হওয়ার আশঙ্কা কমে:

গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হয় না বলেই তো নানা সব সমস্যা ঘিরে ধরে। তাই যদি হরমোনের ক্ষরণ একবার ঠিক মতো হতে শুরু করে, তাহলে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। এখন প্রশ্ন করতে পারেন প্রেগন্যান্সির সময় হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হবে না, এটাই তো স্বাভাবিক, এমনটা আটকানো যায় কীভাবে? এক্ষেত্রে উত্তর একটাই! পায়ে রিং পরা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এমনটা করলে দেহের অন্দরে নানা পজিটিভ পরিবর্তন হতে শুরু করে। যার প্রভাবে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

প্রাচীন কাল থেকে আমাদের দেশে এমন কিছু নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, যা আপাত দৃষ্টিতে ভিত্তিহীন মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু সেগুলি বেজায় কার্যকর! যেমন ভাবী মায়েদের পায়ে রিং পরার প্রথাটার কথাই ধরুন না!

Wearing toe rings adds more value when a woman is pregnant. It won't be wrong to say that our ancestors knew scientific as well as spiritual reasons for wearing or doing things in a certain way.In India a pregnant woman is proposed to wear toe ring for certain reasons and here are a few of them...
X
Desktop Bottom Promotion