Just In
শীতকালে বাচ্চার ত্বকের যত্ন নিতে মেনে চলুন এই ৬ টিপস
বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের ও ত্বকের যত্ন নেওয়া মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। বিশেষ করে শীতকালে বাচ্চাদের ত্বকের যথাযথ যত্ন নেওয়া উচিত, নাহলে সমস্যা বাড়তে পারে। বাচ্চাদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই একটুও অসাবধানতা ত্বকের বড়োসড়ো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বাচ্চাদের ত্বকের যত্নে কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, শীতকালে বাচ্চাদের ত্বকের যথাযথ যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
১) নিয়মিত তেল মালিশ করুন
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ত্বক বেশি দুর্বল এবং সংবেদনশীল হতে পারে। বাচ্চাদের ত্বক খুব তাড়াতাড়ি আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে, ফলে তাদের ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, শীতকালে বাচ্চাদের ত্বকের বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। তাই আপনার শিশুকে নিয়মিত তেল মালিশ করুন, এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। বেবি অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করা শিশুর কোমল ত্বকের জন্য খুবই উপকারি।
২) স্ক্যাল্পের বিশেষ যত্ন নিন
অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে শিশুদের ফ্ল্যাকি স্ক্যাল্পের সমস্যা হয়। তাই শিশুর মাথায় লাগানোর জন্য সঠিক তেল বেছে নিতে, আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। মাথায় তেল মালিশের ফলে ফ্ল্যাকি স্ক্যাল্প প্রতিরোধ হতে পারে।
৩) স্নানের সময়
শিশুর ত্বকের যত্নের রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল স্নান করানো। দীর্ঘ সময় ধরে উষ্ণ জলে বাচ্চাকে স্নান করানো এড়িয়ে চলুন। এতে বাচ্চাদের কোমল ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই শীতকালে উষ্ণ জলে শিশুকে বেশিক্ষণ না রেখে ঝটপট স্নান করানো সবচেয়ে ভাল। এতে ত্বকের আর্দ্রতা সহজে কমবে না। স্পঞ্জ বাথও করাতে পারেন।
বাচ্চাদের সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন, যা পিএইচ ভারসাম্যপূর্ণ, হাইপোঅ্যালার্জেনিক এবং বিশেষভাবে শিশুর ত্বকের জন্যই তৈরি হয়েছে। বাচ্চাদের জন্য তৈরি মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৪) সঠিক ক্রিম এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
বাচ্চাদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়। তাই যেকোনও ক্রিম এবং লোশন ব্যবহারের আগে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুর ত্বকে ব্যবহার করার জন্য প্রাকৃতিক পণ্য কিংবা চিকিৎসক অনুমোদিত কোনও ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যাতে কোনওরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। তাছাড়া, শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক খুব দ্রুত রুক্ষ হয়ে যায়। স্নানের পরে শিশুর ত্বকে অবশ্যই বেবি লোশন লাগান।
৫) ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধ করুন
শীতকালে বাচ্চাদের ঠোঁট ফেটে যাওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। এই ঠোঁট ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করতে বাচ্চার ঠোঁটে, পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা চিকিৎসক অনুমোদিত লোশন ব্যবহার করুন। তবে, কৃত্রিম রঙ এবং সুগন্ধযুক্ত লিপ বাম প্রয়োগ না করাই ভাল।
৬) ডায়াপার জনিত সমস্যার দিকে নজর রাখুন
বাচ্চাদের ডায়াপার জনিত সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। ডায়াপার ব়্যাশের মোকাবিলায় সঠিক পদ্ধতিতে ক্রিম এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সঠিক পণ্য চয়ন করুন এবং আপনার মনে যদি কোনও ধরনের বিভ্রান্তি থাকে তাহলে সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এছাড়া, অ্যালকোহল-মুক্ত এবং সাবান-মুক্ত ওয়াইপস দিয়ে ডায়াপার এলাকা পরিষ্কার করুন, যাতে ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। ভেজা ডায়াপার ঘন ঘন পরিবর্তন করুন, কারণ এতে ইনফেকশন এবং ব়্যাশ হতে পারে।