Just In
Don't Miss
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২০ : গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে জানেন কি?
মহিলাদের মধ্যে ধূমপানের মাত্রা আগের তুলনায় বেশ অনেকটাই বেড়েছে। নেশার ফলে অনেক মহিলাই রয়েছেন যারা গর্ভবতী অবস্থাতেও ধূমপান ছাড়তে পারেন না। কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা কি জানেন? সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিশ্বের গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ৮ শতাংশ ধূমপান করেন। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ধূমপাণের জেরে গর্ভে থাকা সন্তান বা ভ্রূণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই মহিলাদের অবশ্যই উচিত গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান থেকে দূরে থাকা। তামাক সেবন থেকে দূরে থাকতে প্রতি বছর ৩১ মে 'বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস' পালন করা হয়।
সবারই কম বেশি জানা আছে যে অতিরিক্ত ধূমপানের জেরে শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে ফুসফুস। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অতিরিক্ত ধূমপানের জেরে শুক্রাণুর মান খারাপ হতে থাকে। অন্যদিকে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সিগারেট, চুরুট বা হুক্কার ধোয়ার মধ্যে থাকা কার্বন মনোক্সাইড রক্তে মিশে যায়। যা মহিলাদের গর্ভের সন্তানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই অবস্থায় ঠিক কী কী সমস্যা হতে পারে আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক -
ঝুঁকি ১
গর্ভবতী অবস্থায় অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে 'সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিন্ড্রোম' হতে পারে। অর্থাৎ জন্মের ১ বছরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় আচমকা মৃত্যু হতে পারে শিশুর।
ঝুঁকি ২
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথায়, নিথর শিশুকে জন্ম দেওয়া বা গর্ভস্রাব অর্থাৎ মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
ঝুঁকি ৩
অতিরিক্ত ধূমপানের জেরে অকালপক্ক বা প্রিম্যাচিওর শিশুর জন্ম দিতে পারেন না। শিশুর স্বাভাবিক ওজন জন্মের সময় কমও হতে পারে।
ঝুঁকি ৪
গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে মানসিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে শিশুর জন্ম হতে পারে। শুধু মানসিকই নয়, শিশু বিকলাঙ্গ হয়েও জন্ম নিতে পারে।
ঝুঁকি ৫
আপনি হয়তো জানেন না গর্ভবস্থায় মা যদি ধূমপান করেন তাহলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে গর্ভে থাকা শিশুর হৃদযন্ত্রের উপর। চিরকালের জন্য আপনার সন্তানের হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শিশুর জন্মের সময় থেকেই হৃদযন্ত্রে ফুটো থাকতে পারে।
ঝুঁকি ৬
ধূমপানের জেরে গর্ভে থাকার সময়ই শিশুর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এবং জন্মের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে সমস্যা বাড়তে পারে।
ঝুঁকি ৭
মায়ের ধূমপানের জেরে গর্ভে থাকা শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না, ফলে মায়ের গর্ভেই সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।