Just In
এই ৬টি খাবার বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করবে!
বাচ্চাদের খাওয়ানো কোনও যুদ্ধের থেকে কম কিছু নয়। বেশিরভাগ বাচ্চারাই খাবার নিয়ে ঝামেলা করে, ঠিকমতো খেতে চায় না। কিন্তু বাচ্চার সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য, পুষ্টিকর খাদ্যসমূহ খাদ্যতালিকায় রাখা অত্যন্ত আবশ্যক।
মস্তিষ্ক, শরীরের অন্যান্য অংশের মতো, খাবার থেকে পুষ্টি শোষণ করে। সঠিক খাবার বাচ্চার স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে। তাই চিকিৎসকদের মতে, বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে উচ্চ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, বাচ্চার ব্রেন ফাংশান ঠিক রাখতে কী কী খাবার খাওয়ানো উচিত।
১) ডিম
ব্রেকফাস্টের প্লেটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সংমিশ্রণ, শুধুমাত্র বাচ্চার পেটই ভরাবে না, পাশাপাশি বাচ্চাকে সারাদিন এনার্জিতে পরিপূর্ণ রাখবে। ডিম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং এর মধ্যে কোলিন থাকে, যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
২) অয়েলি ফিশ
অয়েলি ফিশ উচ্চ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ হয়, যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোষ তৈরীর প্রয়োজনীয় উপাদান। স্যালমন, ম্যাকারেল, টুনা, ট্রাউট, সার্ডিন এবং হারিং জাতীয় মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের খুব ভালো উৎস। সপ্তাহে একদিন বাচ্চাদের এই মাছগুলো খাওয়ানো প্রয়োজন।
৩) ওটস
ওটস-এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা বাচ্চাদের পেটকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ হয়, যা বাচ্চাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখে। ওটস আরও সুস্বাদু করে তুলতে মধু, আপেল, কলা, ড্রাই ফ্রুটস ব্যবহার করতে পারেন।
৪) রঙিন শাকসবজি
রঙিন শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয়, যা বাচ্চাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে স্বাস্থ্যকর রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। মিষ্টি আলু, গাজর, পালং শাক, বিট, ব্রকোলি, টমেটো, কুমড়ো, প্রভৃতি আপনার বাচ্চার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
৫) দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্য
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্য, যেমন - দই, পনির, চিজ প্রভৃতির মধ্যে প্রোটিন এবং ভিটামিন বি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলি মস্তিষ্কের টিস্যু, নিউরোট্রান্সমিটার এবং এনজাইম-এর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় এবং এই সবকিছু মস্তিষ্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়ামও প্রচুর পরিমাণে থাকে এগুলিতে, যা স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিশালী দাঁত ও হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরী। বাচ্চাদের ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা, তাদের বয়সের উপর নির্ভর করে এবং পরিবর্তিত হতে থাকে। তবে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে পারেন। আপনার বাচ্চার যদি দুধ খেতে পছন্দ না করে, তাহলে চিন্তা করবেন না। বাচ্চাদের প্রিয় পুডিংস, শেক, স্মুদি অথবা প্যানকেক তৈরির সময় জলের বদলে দুধ ব্যবহার করুন।
৬) বিনস
বিনস প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের দুর্দান্ত উৎস। কিডনি এবং পিন্টো বিনস-এ প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ থাকে। আপনার বাচ্চা স্যালাডে বিনস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।